মন্তব্য কলাম
প্রসঙ্গ: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শহীদ করা জায়নবাদী তথা বর্বর ইহুদীরা কাপুরুষতার প্রমাণ দিয়ে অতীত ইতিহাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যা করে আসছে ইহুদীদের গুপ্তহত্যার অনেক নিন্দা, ধিক্কার এবং প্রচারণা ও প্রতিহতের প্রচেষ্টা দরকার (পর্ব-১)
, ১৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৩ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত শুক্রবার নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে প্যারিজিয়েন জানিয়েছে, এই বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই ইসরায়েল তাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ইরানি গুপ্তচর ইসরায়েলকে জানায়, শুক্রবার বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাসরুল্লাহ। তিনি যখন মাটির নিচে অবস্থিত সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন তার কিছুক্ষণ পরই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। যা হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে ধসিয়ে দেয়।
এর মনে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরান গিয়েছিলেন। সেখানে ৩১ জুলাই ২০২৪ ভোরে গুপ্ত হামলার শিকার হয়ে তিনি ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হন। চলমান গাজাযুদ্ধে এর আগে হানিয়া বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ স্বজনকে হারিয়েছেন। মাত্র দু’ মাস আগে ইসরাইলি বিমান হামলায় তার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হয়। এপ্রিলে তার এক বোনকে হত্যা করা হয়। ৬২ বছর বয়স্ক হানিয়া কাতারে প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের প্রধান হন। তার নিহত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। বৈরুতে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার একদিন পর ৩১ জুলাই তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকা- ঘটে।
জায়নবাদী ইতিহাসের প্রাথমিক পর্যায়েই গুপ্তহত্যার অভিযান শুরু হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল জায়নবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানো ও প্রতিশোধ নেয়া। নির্যাতন ও মৃত্যুদ- দেয়া হয় বেদুইন পুলিশ সদস্য আরিফ-আল আরসানকে। সেই প্রথম। ১৯১৬ সালে তাকে গুলি করা হয়।
১৯৪৮ সালে দখলদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর গুপ্তহত্যা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় এবং এটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনি সামরিক ও রাজনৈতিক মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করা হয়। যেমন, ঘাসান কানাফানি, আবু হাসান সালামা, কামাল আদওয়ান, খলিল আল-ওয়াজির প্রমুখ বিখ্যাত নেতারা হত্যাকা-ের শিকার হন।
গুপ্তহত্যার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। গাড়িতে বিস্ফোরক স্থাপন, বৈরুতে কানাফানিকে এই পদ্ধতিতে হত্যা করা, বাড়িতে উচ্চক্ষমতার বিস্ফোরক ব্যবহার, প্যারিসে মাহমুদ আল-হামশারিকে হত্যা, সরাসরি গুলি করা, প্যারিসে বাসিল আল-কুবাইসির হত্যাকা-, বিষ প্রয়োগ, ইরাকে ওয়াদিহ হাদ্দাদকে, বুবি-ট্র্যাপ, তামের আল-কিলানিকে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় বুবি-ট্র্যাপ দিয়ে হত্যা করা হয়। এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিদ্রোহী অভিযান বন্ধ করার লক্ষ্যে আবু আলী মুস্তাফা, শেখ আহমেদ ইয়াসিন, সালাহ শেহাদেহ, রায়েদ আল-কারমি এবং আরো অনেককে হত্যা করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ হামাস নেতাদের বিদেশেও খুন করে।
মাহমুদ আল-মাবউহকে ২০১০ সালে দুবাইয়ে, ২০১৬ সালে মুহাম্মদ আল-জাওয়ারিকে তিউনিসিয়ায়, ওমর আল-নায়েফকে বুলগেরিয়ায় হত্যা করা হয়। ইরাকে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার ৬২ বছর বয়সী কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়, ইসরাইল এই কাজে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ায়। হত্যাকা-ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিডিয়ায় এটিকে সফল অপারেশন বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডজনখানেক পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে দেশ-বিদেশের মাটিতে। দশকের পর দশকের এই গুপ্তহত্যার পর অবশেষে গত সপ্তাহান্তে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, নেতানিয়াহু এবং প্রধান সেনাপতিকে হত্যার নির্দেশনাসহ কমান্ডো বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
জিহাদি দলকে হত্যার জন্য বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি পর্যায় থেকে পরিবার, সমাজ ও সংগঠন ধ্বংস করা এবং বিপক্ষকে নির্মূল করার বড় হাতিয়ার গুপ্তহত্যা। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে, ইসরাইল কথিত শান্তি আলোচনা সফল করার জন্য সামরিক পদক্ষেপে জড়িত প্রত্যেককে নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। একই সময়ে, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের মতো ইসলামী সংগঠনগুলো ধ্বংস করা ছিল তার লক্ষ্য।
গুপ্তহত্যার সিরিজ অভিযান গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে পরিচালিত ছিল কেননা এখান থেকেই সশস্ত্র প্রতিরোধ পরিচালিত হতো। ২০০৮ সাল থেকে আজ অবধি গাজায় বিভিন্ন যুদ্ধ ও হামলার সময়, আহমেদ আল-জাবারি, রায়েদ আল-আত্তার, বাহা আবু আল-আত্তা এবং জিহাদ আল-ঘান্নামের মতো কিছু কৌশলী প্রতিরোধ নেতাদের হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালে মারওয়ান আল-কাওয়াসমি এবং আমের আবু আয়েশাকে, ২০১৭ সালে বাসিল আল-আরজকে, ২০১৮ সালে আহমেদ জারার এবং আশরাফ নালাওয়াকে, ২০১৯ সালে ওমর আবু লায়লাকে বড় মাপের নেতাদের গুপ্তহত্যা করা হয়, এবার ২০২৪ সালে ইসমাইল হানিয়াকে অল্প সময়ের ব্যবধানে সপরিবার শহীদ করা হলো।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ের হত্যার পরেই অভিযোগের তীর উঠেছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। ইরান সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে ‘কঠিন শাস্তি’ দেওয়ার হুমকিও দেয়।
ইসরায়েলের তরফে সরাসরি কোনও বক্তব্য না এলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে তার দেশ সাম্প্রতিক সময়ে তার ‘শত্রু’দের চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়ার মতো আঘাত হেনেছে।
বিবিসি-র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন মি. হানিয়ের হত্যার পরেই বলছিলেন ইসরায়েলই মি. হানিয়েকে হত্যা করেছে বলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে।
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগে বহুবার এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদ কোন পর্যায়ের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এবং গত কয়েক বছরের ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই আন্দাজ পাওয়া যায় যে ইরানে অতি উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত ব্যক্তিদেরও তারা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অপারেশন চালানোর জন্য।
এইসব হামলার বেশ কয়েকটির মধ্যে একটা যোগসূত্র দেখা গেছে, তা হল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে যে তেহরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, যার ফলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তে পারে। ইরান সামরিক পরমাণু কর্মসূচির কথা অস্বীকার করলেও তারা বলে যে বেসামরিক পরমাণু শক্তির উন্নয়নের অধিকার তাদের আছে।
গত প্রায় দেড় দশকে ইরানের মাটিতে মোসাদ যেসব গুপ্ত হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে তার সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানুয়ারি ২০১০ :
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাসুদ-আলি-মোহাম্মদী তার মোটরসাইকেলে রাখা রিমোট পরিচালিত বোমার আঘাতে নিহত হন। বাড়ির কাছেই ওই ঘটনা ঘটেছিল।
ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ তখন দাবি করেছিল যে ধৃতরা ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন এটা তারা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন। তবে বিবিসি এটাও লিখেছিল, সেই সব স্বীকারোক্তি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয় নি।
নভেম্বর ২০১০ :
তেহরানের শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাজিদ শাহরিয়ারি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত হন। আহত হন তার স্ত্রীও। তৎকালীন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ওই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছিলেন।
নভেম্বর ২০২০ :
তেহরানের বাইরে গাড়ি চেপে যাওয়ার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ। পশ্চিমা দেশগুলি এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করতেন যে মি. ফাখরিজাদেহ ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জনক।
জাতিসংঘ ২০০৭ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্র ২০০৮ সালে তার ওপরে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল।
বিবিসির ইংরেজি ওয়েবসাইট ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর এক প্রতিবেদন লিখেছিল, “ইরানের ধারণা, শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে গুলি করে হত্যা করতে ইসরায়েল ও নির্বাসিত বিরোধী গোষ্ঠী রিমোট কন্ট্রোল অস্ত্র ব্যবহার করেছে। "
মে ২০২২ :
ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র কর্নেল হাসান সায়াদ খোদাইকে তেহরানে তার বাড়ির বাইরে পাঁচবার গুলি করে খুন করা হয়। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য মাজিদ মিরাহমাদি ওই হত্যাকা-কে 'নিশ্চিতভাবেই ইসরায়েলের কাজ' বলে অভিহিত করেছিলেন।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে এখনও টিকে আছে জর্ডানে বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ নামে এই রেলপথ হেজাজ রেলওয়ে পূণর্জ্জীবিত করলে এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে এক সূতায় বাধা সম্ভব সম্ভব মুসলিম বিশ্বের নিজস্ব বাণিজ্য, অর্থনীতি, সমরনীতি সমৃদ্ধ করে নতুন সোনালী অধ্যায়ের সূচনা ইনশাআল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৯০ হাজার হরিণ থাকার কথা যে নিঝুম দ্বীপে প্রতিকূল পরিবেশে সে দ্বীপে এখন হরিণ সংখ্যা মাত্র ৫ হাজার কিন্তু নারিকেল দ্বীপের কুকুর প্রেমীরা এক্ষেত্রে নির্বিকার ভয়াবহ বায়ু দূষণসহ নানা দূষণে ৩ কোটি লোকের ঢাকা বসবাসের জন্য চরম ঝুকিপূর্ণ কিন্তু তথাকথিত পরিবেশবাদীরা নিশ্চুপ! ওরা মূলত: পশু প্রেমী না শুধুই কুকুর প্রেমী, পরিবেশবাদী না শুধুই নারিকেল দ্বীপ ষড়যন্ত্রী!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশীদের টাকায় খেয়ে পড়ে বাঁচে যে কলকাতা তারাই দিলো- বাংলাদেশীদের চিকিৎসা না করার ভাওতাবাজি ঘোষণা গণমাধ্যমে এসেছে ও আসছে বাংলাদেশীরা না যাওয়ায় সব সেক্টরে ওদের মরনাপন্ন অবস্থা প্রতিবছর ভারতের মেডিক্যাল টুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারণার কবলে পড়ে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ওরা লুটে নেয় ১০ হাজার কোটি টাকা ভারতের দোসর সরকারের পতনের পর এ বিষয়ে দেশবাসীসহ সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশের শিক্ষার মান ক্রমশই নিম্নমুখী। সার্টিফিকেট ও মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রতে পরিণত হচ্ছে শিক্ষা। কর্মমূখী ও বাস্তবিক শিক্ষার অভাবে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠছে না বাংলাদেশে। সরকারের উচিত, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নারিকেল দ্বীপে মানুষের চেয়ে কুকুরের মর্যাদা বেশী দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। মানুষ না খেয়ে মরছে, শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে, চিকিৎসার অভাবে মানুষ মরছে, বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারসহ নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেদিকে নজর নেই, কার্যক্রম নেই, তৎপরতা নেই কিন্তু কুকুরের জন্য ৫০০০ ডিম ও চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জমাদী পাঠানো হচ্ছে
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)