মন্তব্য কলাম
প্রসঙ্গ: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শহীদ করা জায়নবাদী তথা বর্বর ইহুদীরা কাপুরুষতার প্রমাণ দিয়ে অতীত ইতিহাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যা করে আসছে ইহুদীদের গুপ্তহত্যার অনেক নিন্দা, ধিক্কার এবং প্রচারণা ও প্রতিহতের প্রচেষ্টা দরকার (পর্ব-১)
, ১৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৩ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত শুক্রবার নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে প্যারিজিয়েন জানিয়েছে, এই বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই ইসরায়েল তাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ইরানি গুপ্তচর ইসরায়েলকে জানায়, শুক্রবার বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাসরুল্লাহ। তিনি যখন মাটির নিচে অবস্থিত সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন তার কিছুক্ষণ পরই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। যা হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে ধসিয়ে দেয়।
এর মনে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরান গিয়েছিলেন। সেখানে ৩১ জুলাই ২০২৪ ভোরে গুপ্ত হামলার শিকার হয়ে তিনি ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হন। চলমান গাজাযুদ্ধে এর আগে হানিয়া বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ স্বজনকে হারিয়েছেন। মাত্র দু’ মাস আগে ইসরাইলি বিমান হামলায় তার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হয়। এপ্রিলে তার এক বোনকে হত্যা করা হয়। ৬২ বছর বয়স্ক হানিয়া কাতারে প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের প্রধান হন। তার নিহত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। বৈরুতে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার একদিন পর ৩১ জুলাই তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকা- ঘটে।
জায়নবাদী ইতিহাসের প্রাথমিক পর্যায়েই গুপ্তহত্যার অভিযান শুরু হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল জায়নবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানো ও প্রতিশোধ নেয়া। নির্যাতন ও মৃত্যুদ- দেয়া হয় বেদুইন পুলিশ সদস্য আরিফ-আল আরসানকে। সেই প্রথম। ১৯১৬ সালে তাকে গুলি করা হয়।
১৯৪৮ সালে দখলদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর গুপ্তহত্যা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় এবং এটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনি সামরিক ও রাজনৈতিক মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করা হয়। যেমন, ঘাসান কানাফানি, আবু হাসান সালামা, কামাল আদওয়ান, খলিল আল-ওয়াজির প্রমুখ বিখ্যাত নেতারা হত্যাকা-ের শিকার হন।
গুপ্তহত্যার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। গাড়িতে বিস্ফোরক স্থাপন, বৈরুতে কানাফানিকে এই পদ্ধতিতে হত্যা করা, বাড়িতে উচ্চক্ষমতার বিস্ফোরক ব্যবহার, প্যারিসে মাহমুদ আল-হামশারিকে হত্যা, সরাসরি গুলি করা, প্যারিসে বাসিল আল-কুবাইসির হত্যাকা-, বিষ প্রয়োগ, ইরাকে ওয়াদিহ হাদ্দাদকে, বুবি-ট্র্যাপ, তামের আল-কিলানিকে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় বুবি-ট্র্যাপ দিয়ে হত্যা করা হয়। এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিদ্রোহী অভিযান বন্ধ করার লক্ষ্যে আবু আলী মুস্তাফা, শেখ আহমেদ ইয়াসিন, সালাহ শেহাদেহ, রায়েদ আল-কারমি এবং আরো অনেককে হত্যা করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ হামাস নেতাদের বিদেশেও খুন করে।
মাহমুদ আল-মাবউহকে ২০১০ সালে দুবাইয়ে, ২০১৬ সালে মুহাম্মদ আল-জাওয়ারিকে তিউনিসিয়ায়, ওমর আল-নায়েফকে বুলগেরিয়ায় হত্যা করা হয়। ইরাকে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার ৬২ বছর বয়সী কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়, ইসরাইল এই কাজে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ায়। হত্যাকা-ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিডিয়ায় এটিকে সফল অপারেশন বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডজনখানেক পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে দেশ-বিদেশের মাটিতে। দশকের পর দশকের এই গুপ্তহত্যার পর অবশেষে গত সপ্তাহান্তে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, নেতানিয়াহু এবং প্রধান সেনাপতিকে হত্যার নির্দেশনাসহ কমান্ডো বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
জিহাদি দলকে হত্যার জন্য বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি পর্যায় থেকে পরিবার, সমাজ ও সংগঠন ধ্বংস করা এবং বিপক্ষকে নির্মূল করার বড় হাতিয়ার গুপ্তহত্যা। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে, ইসরাইল কথিত শান্তি আলোচনা সফল করার জন্য সামরিক পদক্ষেপে জড়িত প্রত্যেককে নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। একই সময়ে, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের মতো ইসলামী সংগঠনগুলো ধ্বংস করা ছিল তার লক্ষ্য।
গুপ্তহত্যার সিরিজ অভিযান গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে পরিচালিত ছিল কেননা এখান থেকেই সশস্ত্র প্রতিরোধ পরিচালিত হতো। ২০০৮ সাল থেকে আজ অবধি গাজায় বিভিন্ন যুদ্ধ ও হামলার সময়, আহমেদ আল-জাবারি, রায়েদ আল-আত্তার, বাহা আবু আল-আত্তা এবং জিহাদ আল-ঘান্নামের মতো কিছু কৌশলী প্রতিরোধ নেতাদের হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালে মারওয়ান আল-কাওয়াসমি এবং আমের আবু আয়েশাকে, ২০১৭ সালে বাসিল আল-আরজকে, ২০১৮ সালে আহমেদ জারার এবং আশরাফ নালাওয়াকে, ২০১৯ সালে ওমর আবু লায়লাকে বড় মাপের নেতাদের গুপ্তহত্যা করা হয়, এবার ২০২৪ সালে ইসমাইল হানিয়াকে অল্প সময়ের ব্যবধানে সপরিবার শহীদ করা হলো।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ের হত্যার পরেই অভিযোগের তীর উঠেছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। ইরান সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে ‘কঠিন শাস্তি’ দেওয়ার হুমকিও দেয়।
ইসরায়েলের তরফে সরাসরি কোনও বক্তব্য না এলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে তার দেশ সাম্প্রতিক সময়ে তার ‘শত্রু’দের চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়ার মতো আঘাত হেনেছে।
বিবিসি-র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন মি. হানিয়ের হত্যার পরেই বলছিলেন ইসরায়েলই মি. হানিয়েকে হত্যা করেছে বলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে।
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগে বহুবার এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদ কোন পর্যায়ের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এবং গত কয়েক বছরের ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই আন্দাজ পাওয়া যায় যে ইরানে অতি উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত ব্যক্তিদেরও তারা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অপারেশন চালানোর জন্য।
এইসব হামলার বেশ কয়েকটির মধ্যে একটা যোগসূত্র দেখা গেছে, তা হল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে যে তেহরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, যার ফলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তে পারে। ইরান সামরিক পরমাণু কর্মসূচির কথা অস্বীকার করলেও তারা বলে যে বেসামরিক পরমাণু শক্তির উন্নয়নের অধিকার তাদের আছে।
গত প্রায় দেড় দশকে ইরানের মাটিতে মোসাদ যেসব গুপ্ত হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে তার সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানুয়ারি ২০১০ :
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাসুদ-আলি-মোহাম্মদী তার মোটরসাইকেলে রাখা রিমোট পরিচালিত বোমার আঘাতে নিহত হন। বাড়ির কাছেই ওই ঘটনা ঘটেছিল।
ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ তখন দাবি করেছিল যে ধৃতরা ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন এটা তারা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন। তবে বিবিসি এটাও লিখেছিল, সেই সব স্বীকারোক্তি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয় নি।
নভেম্বর ২০১০ :
তেহরানের শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাজিদ শাহরিয়ারি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত হন। আহত হন তার স্ত্রীও। তৎকালীন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ওই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছিলেন।
নভেম্বর ২০২০ :
তেহরানের বাইরে গাড়ি চেপে যাওয়ার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ। পশ্চিমা দেশগুলি এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করতেন যে মি. ফাখরিজাদেহ ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জনক।
জাতিসংঘ ২০০৭ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্র ২০০৮ সালে তার ওপরে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল।
বিবিসির ইংরেজি ওয়েবসাইট ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর এক প্রতিবেদন লিখেছিল, “ইরানের ধারণা, শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে গুলি করে হত্যা করতে ইসরায়েল ও নির্বাসিত বিরোধী গোষ্ঠী রিমোট কন্ট্রোল অস্ত্র ব্যবহার করেছে। "
মে ২০২২ :
ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র কর্নেল হাসান সায়াদ খোদাইকে তেহরানে তার বাড়ির বাইরে পাঁচবার গুলি করে খুন করা হয়। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য মাজিদ মিরাহমাদি ওই হত্যাকা-কে 'নিশ্চিতভাবেই ইসরায়েলের কাজ' বলে অভিহিত করেছিলেন।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












