মন্তব্য কলাম
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
, ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
বিজ্ঞান সাধনার নামে, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে যুক্ত থাকার নামে প্রগতির পথে পরিচালিত হওয়ার নামে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক সাধারণ মুসলমানদের যেমন গাফিল ও গুমরাহ করেছিল।
তেমনি সে ধারাবাহিকতায় তারা ‘ওয়ায়েজদেরও প্রভাবিত করেছিল নাউযুবিল্লাহ। ওয়ায়েজদের আলোচনায় বেশিরভাগই থাকে নারী সংক্রান্ত বিষয় এবং হুর-গেলমানদের মোহাবিষ্ট আকর্ষণীয় বর্ণনা’- ইত্যকার সমালোচনায় তারা মুখর ছিল। বিশেষ করে স্বাধীনতা উত্তর হুর-গেলমানের চিত্তাকর্ষক ওয়ায়েজের বিরোধিতা দিন দিন তীব্র ও জোরালো হয়। এ ফাঁদে পা দিয়ে তখন থেকেই অদূরদর্শী ও অজ্ঞ ওয়ায়েজরা হুর-গেলমানের ও অকল্পনীয় বেহেশতী সুখের আলোচনা থেকে বিরত রয়। এবং এখন পর্যন্ত এ আলোচনা একেবারেই অবান্তর বলে অনুশীলিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ! বিশেষ করে যে যত তথাকথিত স্মার্ট ও চৌকষ বক্তা মনে করে সে হুর-গেলমান, বেহেশতী সুখের আলোচনাকে তত বেশিভাবে পরিহার করে। নাঊযুবিল্লাহ!
আর এ সুযোগটি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারীরা চরমভাবে লুফে নেয়। তারা বেহেশতী হুর-গেলমানের কল্পনার প্রতি কটূক্তি করে। বেহেশতী হুর-গেলমানের প্রতি লোভ করার প্রতি কঠোরভাবে নিন্দাবাদ প্রচার করে ও ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ায়। কিন্তু তার বিপরীতে তারা আজকের কথিত নায়িকা, গায়িকা, মডেল, রূপজীবী তথা দেহব্যবসায়ীদের আলোচনা ও বিবস্ত্র ছবির অবাধ বিস্তার ঘটায়। যত দিন যাচ্ছে এর পরিধি ও পরিম-ল তথা পরিচর্যা ততই বাড়ছে। নাঊযুবিল্লাহ! কিছুদিন পূর্বেও এসব নায়িকা, গায়িকাদের যেসব ছবি অশ্লীল গণ্য করে আলাদা সিনে পত্রিকায় পত্রস্থ হতো; এখন তার চেয়ে অনেক বেশি অশ্লীল ছবি তথাকথিত প্রতিটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়ই অত্যন্ত অন্যায় ও গর্হিতরূপে প্রকাশিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
শুধু তাই নয়, মুসলমান নতুন প্রজন্ম থেকে শিশুরাও আজ হুর-গেলমানকে অচ্ছুৎভাবে বিবেচনা করছে। পক্ষান্তরে তারা গো-গ্রাসে গিলছে- “একান্তবাস আবেদনময়ী”, “আইটেম গার্ল”, “সেলিব্রেটি”, “বলিউড তারকা”, “ঢালিউড তারকা”, “রূপালী পর্দায় শরীর দেখিয়ে ঝড় তোলা”, “ড্রিম গার্ল”, “আইকন”, “আইডল”, “মডেল”, “র্যাম্প মডেল”, “সুপার স্টার” ইত্যাদি সব জঘন্য শব্দ।
উল্লেখ্য, নতুন প্রজন্ম থেকে আমলহীন প্রবীণরাও এখন এসব শব্দ আয়েশ করে আওড়ায়। তাড়িয়ে তাড়িয়ে এদের বিবস্ত্র ছবি দেখে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এদের ভোগ করে। দেহরেখা পাঠ করে। নাঊযুবিল্লাহ! পত্রিকাগুলো এদের রগরগে বর্ণনা দেয়। বিবসনা অঙ্গিভঙ্গীকে হিট পারফর্মেন্স বলে উল্লেখ করে। নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ এসব অশ্লীল, চরিত্রহীন, বিবস্ত্রপনা শব্দ আউরাতে, লিখতে, ছবি ছাপতে তাদের প্রতি মনোযোগ তৈরিতে এবং দিতে তাদের কোনো কুণ্ঠা নেই। নাঊযুবিল্লাহ! কিন্তু তাদের যত শ্লেষ আর ঘৃণা এবং সংকুচিত মনোভাব বেহেশতী সুখ, হুর-গেলমান ইত্যাদি নিয়ামত অনুধাবনে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ হুর-গেলমানের আলোচনা ও আকর্ষণ সাধারণ মুসলমানের নফসকে নিবৃত্ত রাখতে পারতো সব নারীদেহ অবলোকনে। বিরত রাখতে পারতো সিনেমা, টিভি ইত্যাদি সব হারাম থেকে। অনুপ্রাণিত করতো চোখ ও চরিত্র সুরক্ষায়। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ না করায়। এবং মুত্তাকী মুসলমান হওয়ায়। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি হুরদের সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, তথায় থাকবে হুর তথা আনতনয়ন নারীগণ, কোনো জিন ও মানুষ পূর্বে যাদের স্পর্শ করেনি। প্রবাল ও ইয়াকুত সদৃশ নারীগণ। সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী নারীগণ। কোনো জিন ও মানুষ পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি। তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। (পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ)
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ। এ সমস্ত আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়, তারা নিজেদের কৃতকর্মের বিনিময়ে প্রাপ্ত হবে। আমি হুরদেরকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী মনোহারিণী, সমবয়স্কা। (পবিত্র সূরা ওয়াকিয়া শরীফ)
এছাড়াও সম্মানিতা হুরদের সম্পর্কে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, পবিত্র সূরা আন নিসা শরীফ, পবিত্র সূরা আদ দুখান শরীফ, পবিত্র সূরা তুর শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মানুষের সহজাত একান্তবাস প্রবণতাকে বিকৃতভাবে ও প্রবলভাবে প্ররোচিত করছে অনৈসলামী অর্থনীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতি। এতে হারিয়ে যাচ্ছে সম্মানিত ইসলামী অনুভূতি। সুতরাং সাধারণ মুসলমানদের আমল রক্ষার্থে বেহেশতের সুখ ও হুরী নিয়ামত রোমান্থন হতে পারে এক নির্মল সহায়ক শক্তি। সঙ্গতকারণেই এক্ষেত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষীদের বিরূপ মন্তব্যকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উৎসাহব্যাঞ্জক বেহেশতী সুখ তথা হুর-গেলমানের নিয়ামত বর্ণনা, ওয়াজে, লেখনীতে, বিজ্ঞাপনে, বিলবোর্ডে আসতে হবে। মুসলমান মানসে ছড়িয়ে দিতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












