প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়মি মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্ললি আলামীন মামদূহ র্মুশদি ক্ববিলা সাইয়্যদিুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহসি সালাম উনার মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে র্বণতি اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (৭)
, ০৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহদি রহমতুল্লাহি আলাইহমি উনাদরে অভমিত
আল্লামা হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে আবূ বকর ইবনে ফাররাহ্ আনছারী খাযরাজী শামসুদ্দীন কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৬৭১ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘তাফসীরে কুরতুবী শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
وَلَـمْ يُـنْكِـرْ اَحَدٌ مِنَ السَّلَفِ الصَّالِحِ اَنَّهٗ اسْتَـوٰى عَلـٰـى عَرْشِهٖ حَقِيْـقَةً. وَخُصَّ الْعَرْشُ بِذٰلِكَ لِاَنَّهٗ اَعْظَمُ مَـخْلُوْقَاتِهٖ وَاِنَّـمَا جَهِلُوْا كَيْفِيَّةَ الِاسْتِوَاءِ فَإِنَّهٗ لَا تُـعْلَمُ حَقِيْـقَتُهٗ
অর্থ: “সালফে ছালেহীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার আরশে আযীম মুবারক-এ হাক্বীক্বীভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন। এর মাধ্যমে আরশে আযীম বৈশিষ্ট্যম-িত হয়েছে। কেননা আরশে আযীম হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাখলূকাতের মধ্যে সবচেয়ে সুমহান। ইস্তাওয়ার কাইফিয়্যাত সম্পর্কে ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই অজ্ঞ অর্থাৎ উনাদের কারো এ বিষয়ে কোনো ইলিম নেই। কেননা এটার হাক্বীক্বত অজানা। ” (তাফসীরে কুরতুবী শরীফ ৭/২১৯)
এ সম্পর্কে আল্লামা হযরত ইমাম মুহইউস সুন্নাহ আবূ মুহম্মদ হুসাইন ইবনে মাস‘ঊদ বাগভী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৫১০ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
﴿ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ﴾ قَالَ الْكَلْبِـىُّ وَمُقَاتِلٌ اِسْتَـقَرَّ وَقَالَ اَبُـوْ عُـبَـيْدَةَ صَعِدَ. وَاَوَّلَتِ الْمُعْتَزِلَةُ الْاِسْتَـوَاءَ بِالْاِسْتِيْلَاءِ فَاَمَّا اَهْلُ السُّنَّةِ يَـقُوْلُوْنَ اَلْاِسْتِوَاءُ عَلَى الْعَرْشِ صِفَةٌ لِلَّهِ تَـعَالـٰـى بِلَا كَيْفٍ يَـجِبُ عَلَى الرَّجُلِ الْاِيْـمَانُ بِهٖ وَيَكِلُ الْعِلْمَ فِيْهِ اِلَـى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: “(ছুম্মাস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ) হযরত ইমাম কালবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত ইমাম মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা বলেছেন, ‘অবস্থান করেছেন, স্থির হয়েছেন। আর হযরত আবূ উবাইদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘তিনি আরোহণ করেছেন, উপরে উঠেছেন’। বাতিল ফেরক্বা মু’তাযিলারা ইস্তাওয়া শব্দের ব্যাখ্যা করে, ইস্তীলা’ শব্দ দ্বারা। যার অর্থ হচ্ছে- প্রাধান্য ও বিজয় প্রতিষ্ঠা করা, কর্তৃত্ব করা ইত্যাদি’। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনারা বলেন, ‘(আল ইস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) এটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার একখানা ছিফত মুবারক। যার কাইফিয়াত বা ধরণ অজানা। প্রত্যেক ব্যক্তির উপর এ বিষয়ে ঈমান রাখা এবং এ ব্যাপারে ইলিমকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটে ন্যস্ত করা বা অর্পন করা ওয়াজিব। ” (তাফসীরে বাগবী শরীফ ২/১৯৭)
আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’-এ বলেন,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ قَالَ الْبَـغْوِىُّ وَاَوَّلَتِ الْمُعْتَزِلَةُ الْاِسْتِـوَاءَ بِالْاِسْتِيْلَاءِ فَاَمَّا اَهْلُ السُّنَّةِ يَـقُوْلُوْنَ اَلْاِسْتِوَاءُ عَلَى الْعَرْشِ صِفَةٌ لِلَّهِ تَـعَالـٰـى بِلَا كَيْفٍ يَـجِبُ عَلَى الرَّجُلِ الْاِيْـمَانُ بِهٖ وَيَكِلُ الْعِلْمَ فِيْهِ اِلَـى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: “(ছুম্মাস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ) হযরত ইমাম বাগভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মু’তাযিলারা ইস্তাওয়া শব্দের ব্যাখ্যা করে, ইস্তীলা’ শব্দ দ্বারা। যার অর্থ হচ্ছে- প্রধান্য ও বিজয় প্রতিষ্ঠা করা, কর্তৃত্ব করা ইত্যাদি’। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনারা বলেন, ‘(আল ইস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) এটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার একখানা ছিফত মুবারক। যার কাইফিয়্যাত বা ধরণ অজানা। প্রত্যেক ব্যক্তির উপর এ বিষয়ে ঈমান রাখা এবং এ ব্যাপরে ইলিমকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটে ন্যস্ত করা বা অর্পন করা ওয়াজিব। ” (তাফসীরে মাযহারী ৩/৩৫৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৫)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪০)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৯)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী হুলিয়া মুবারক (৪র্থ পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৮)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












