ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল চাঁদা আদায় করছে মাসে ৩০ কোটি টাকা; যা পবিত্র রমাদ্বান শরীফে ও ঈদ সামনে রেখে বেড়ে হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা যার প্রভাব পড়ছে ক্ষুদ্র আয়ের মানুষের কেনাকাটায়
অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
, ১২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৪ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ২১ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
প্রভাবশালী ব্যক্তি, স্থানীয় নেতা, পাতি নেতা ও পুলিশ- এই তিন চক্রের দখলে রাজধানীর ফুটপাত। সূত্র মতে, রাজধানীর ফুটপাত হকারদের কাছ থেকে মাসে ৩০ কোটিরও বেশি টাকা তোলে লাইনম্যানধারী চাঁদাবাজরা। আর সে হিসেবে প্রতিদিন চাঁদাবাজির মাধ্যমে ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসহায় হকারদের কাছ থেকে। অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এর সামান্য অংশ টাকা তোলা হলেও বছর শেষে সকল হকারকে পুনর্বাসন সম্ভব। পাশাপাশি সম্ভব ক্ষুদ্র আয়ের মানুষদের মাত্রারিক্ত মূল্যে দ্রব্য সামগ্রী দেয়া। বিশেষ করে রমজানে ও ঈদে এর প্রভাব প্রকট হয়। ঈদকে সামনে রেখে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লাইনম্যানদের দৌরাত্ম ও চাঁদাবাজির রেট বেড়ে যায়। যার বখরা স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা থেকে বড় নেতা প্রতি সবাইকে দিতে হয়। জনগণের চলাচলের স্বার্থে ফুটপাতমুক্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারাও নাজেহাল হয়েছে লাইনম্যানধারী চাঁদাবাজদের হাতে। তাদের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত মামলাও করেছে। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি; বরং আরো বেড়েছে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য।
হকার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ১৬৩ কিলোমিটার ফুটপাতজুড়েই রয়েছে হকারদের ব্যবসা। গোটা রাজধানীর ১২০টি ফুটপাথে আড়াই থেকে তিন লাখ হকার ব্যবসা করে। ঈদসহ বিভিন্ন মৌসুমে এই হকারদের সংখ্যা আরো ৪০-৫০ হাজার বেড়ে যায়। এদের মধ্যে কোনো হকারই চাঁদা না দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করতে পারে না। কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ সরাসরি হকারদের কাছ থেকে টাকা নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। হকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ফুটপাথে স্থায়ী হকার আছে দেড় লাখ, রাস্তায় আছে ২৫ হাজার, হাটবাজারে ২৫ হাজার, হলিডে মার্কেটে ১০ হাজার, বাসাবাড়িতে ফেরি করে এমন হকার ১৫ হাজার, গাড়িতে ভ্রাম্যমাণ হকার ১০ হাজার, মৌসুমী হকার ২৫ হাজার। এছাড়া আরো কিছু ভাসমান হকার রয়েছে। এদের মধ্যে এমন কেউ নেই- যে চাঁদা না দিয়ে হকারী করতে পারছে।
প্রসঙ্গত, হকাররাও দেশের নাগরিক। তাদেরও রয়েছে দেশের মধ্যে স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করার। কিন্তু সরকারের অবহেলার কারণে একটি অসৎ মহল তাদের ব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের মুনাফা অর্জন করছে। এজন্য তারা ব্যবহার করছে রাজধানীর ফুটপাতগুলোকে। যেগুলো তৈরি করা হয়েছে মূলত সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। কিন্তু এসব ফুটপাত দখল করে অসৎ মহল হকারদের জন্য আলাদা এলাকা তৈরি করে দিয়েছে। আর এতে করে দেখা যাচ্ছে, এসব চাঁদাবাজ অসৎ মহল বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করছে হকারদের কাছ থেকে। অন্যদিকে সরকারপক্ষ থেকে কিছুদিন পরপর এসব হকারদের উচ্ছেদ করে দেয়া হচ্ছে। এতে করে কুলকিনারা না পেয়ে মহাসঙ্কটে পড়েছে প্রান্তিক ক্ষুদ্র আয়ের অসহায় হকাররা। অথচ দোকান প্রতি গড়ে ২শ টাকা করে চাঁদা তোলা হলেও দৈনিক ১ কোটি টাকা আদায় হয় হকারদের কাছ থেকে। সে হিসেবে মাসে দাঁড়ায় ৩০ কোটি। এ চাঁদার সিকিভাগও যদি সরকারিভাবে বৈধ উপায়ে আদায় করা হয়, তাহলে বছর শেষে হকারদের পুনর্বাসনে একাধিক বহুতল ভবন করা সম্ভব। তাদের পুনর্বাসনে খুব বেশি সময় লাগতো না। তাতে সরকারও রাজস্ব পাবে। বন্ধ হবে চাঁদাবাজি। নিরাপদেও ব্যবসা করতে পারবে হকার। কিন্তু সরকার তা করছে না। ফলে বারবার উচ্ছেদে সর্বস্বান্ত হচ্ছে হকার নামক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে এসব প্রান্তিক জীবিকা নির্বাহকারীরা চাঁদাবাজি এবং সরকার কর্তৃক অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হলেও বাইরের বিভিন্ন দেশে এসব হকারদের সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। হকারদের এই ব্যবসাকে রাস্তা-অর্থনীতি বলা হয়। এশিয়া আফ্রিকার এবং আমেরিকার নিউইয়র্কেও হাজার হাজার হকার রয়েছে। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে ১৩ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে শ্রমজীবী মানুষের ১১ শতাংশ হকার। কিন্তু সেসব দেশে হকারদের কাছ থেকে লুটেরা চাঁদাবাজ মহল বাংলাদেশের মতো লুটপাট চালাতে পারে না। কারণ সেসব দেশে এসব হকারদের সরকারিভাবে খাজনা রয়েছে। সেই খাজনা দিয়েই তারা রাস্তা-অর্থনীতি পরিচালনা করে থাকে। আমাদের পার্শ^বর্তী দেশ ভারতেও একই অবস্থা। ফলে সেসব দেশে এই হকারদের আয় জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অন্যদিকে বাংলাদেশেও যে রাস্তা-অর্থনীতির সম্ভাবনা নেই, তা নয়। বাংলাদেশের হকারররাও যদি দিনে ৫০০ টাকা আয় করে তাহলে ১ লাখ হকার হিসেব করলে বছরে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হওয়ার কথা। কিন্তু সেই আয়ের সিংহভাগই চলে যায় চাঁদাবাজদের দখলে। ফলে সরকার একদিকে এই রাস্তা অর্থনীতিতে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সেইসাথে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকেও।
সঙ্গতকারণেই সরকারের উচিত- রাজধানীসহ মহানগরগুলোতে হকারদের জন্য নীতিমালা ও আইন করে পুনর্বাসনের ও নিবিঘেœ ব্যবসা করতে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া। হকারদের ব্যবহার না করে যাতে চাঁদাবাজির পসরা কেউ বসাতে না পারে, সে ব্যাপারে আলাদা নীতিমালা করে কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করা। অন্যদিকে হকারদের যত্রতত্র বারবার উচ্ছেদ না করে তাদের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করা, সময় নির্দিষ্ট করা, সাপ্তাহিক ছুটির দিনের বাজার, লাইসেন্স চালু, হকারদের নিবন্ধিত সমিতি, পুলিশ ও রাজনৈতিক মাস্তানদের চাঁদা তোলা বন্ধ করা ইত্যাদি। কারণ যত নীতি ও আইনই করা হোক না কেন, দুর্নীতি বেপরোয়া থাকলে কিছুতেই কিছু হবে না। সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, আইনজীবী, নগর বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি নীতি গবেষক, হকার নেতা প্রভৃতি- সব মাথা একত্র করে নীতি প্রণয়ন করে হকারদের স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ এবং ফুটপাত দখলের সমাধান করতে হবে। আর সমাধান করতে সর্বাগ্রে অসৎ পুলিশ ও অসৎ রাজনৈতিক নেতাদের সৎ বানাতে হবে। কিন্তু এদেরকে সৎ বানাতে পারবে শুধুমাত্র ইসলামী বিধান। সরকার সে পথে হাঁটবে কি?
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যে সমাজ ব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, প্রজাতন্ত্রের মালিক ‘জনগণকে’ করা হয় সে সমাজব্যবস্থায়, অপরাধীরা নিয়ন্ত্রিত হয়না ও অপরাধ নির্মূল হয়না। সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং ভয় করার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি। কেবলমাত্র এই অনুভূতি সমাজ থেকে সব অপরাধ নির্মূল করতে পারে।
২৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যার্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৬ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র যাকাত সঠিকভাবে আদায় না করায় দেশবাসী আক্রান্ত হচ্ছে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যাসহ নানা দুর্যোগে। সঠিকভাবে পবিত্র যাকাত আদায় এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছানোই এসব দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।
২৫ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নতি খাবার ‘মধু’ যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশে ১ লাখ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন সম্ভব। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব।
২৪ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইফতারীসহ বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয়কে লোভনীয় করতে মেশানো হয় বিভিন্ন আকর্ষণীয় রং। সাধারণ মানুষ রংবিহীন বিশুদ্ধ খাবারের পরিবর্তে রংযুক্ত ভেজাল ও ক্ষতিকর খাদ্য ও পানীয় ক্রয় করতেই বেশি উৎসাহী। এতে করে তারা আর্থিকভাবে এবং স্বাস্থ্যগতভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কোনো কৃত্রিমতা নেই।
২৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইফতারীসহ বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয়কে লোভনীয় করতে মেশানো হয় বিভিন্ন আকর্ষণীয় রং। সাধারণ মানুষ রংবিহীন বিশুদ্ধ খাবারের পরিবর্তে রংযুক্ত ভেজাল ও ক্ষতিকর খাদ্য ও পানীয় ক্রয় করতেই বেশি উৎসাহী। এতে করে তারা আর্থিকভাবে এবং স্বাস্থ্যগতভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কোনো কৃত্রিমতা নেই। এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আমল থাকলে সাধারণ মুসলমান এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।
২২ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নাগরিকের সরকারের পরিবর্তে দেশে চলছে রাজনৈতিক সরকার। দেশে নাগরিকের সরকার তবে কোথায়?
২১ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলামের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাদের মত রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-২)
১৯ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলামের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাদের মত রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-১)
১৭ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আইএস’ এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্ব ভাঙ্গার মানচিত্র বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে এখন গাজা যুদ্ধের মাধ্যমে সেই চেষ্টা করছে ক্রুসেডার জোট
১৫ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)