বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদেশী কোম্পানিকে সহযোগীতা করবে সরকার। সারাদেশে প্রতিদিন উৎপাদিত ২০ হাজার টন বর্জ্য দিয়ে ৫০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সরকারের উচিত বিদেশীদের নয় স্বদেশীয় সক্ষমতায় বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।
, ০৭ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
![বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদেশী কোম্পানিকে সহযোগীতা করবে সরকার। সারাদেশে প্রতিদিন উৎপাদিত ২০ হাজার টন বর্জ্য দিয়ে ৫০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সরকারের উচিত বিদেশীদের নয় স্বদেশীয় সক্ষমতায় বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।](https://www.al-ihsan.net/uploads/1700596199_লাইট.jpg)
সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে, কেউ বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। একনেকে সভায় এ সহযোগিতার আশ্বাস দেয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছে, বর্জ্য নিয়ে আমাদের সবার মাথাব্যথা এই মুহূর্তে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী। সরকারও চিন্তিত এটা নিয়ে। (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে) নানা ধরনের প্রস্তাব আসছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলো ‘রাজধানীতে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয়, তার অর্ধেক দিয়ে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিদেশি কোনো কোনো কোম্পানি আসতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছে, আসুক। আমরা সহযোগিতা করব। যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এবং এটা আমাদের পরিবেশ ও চাহিদার সঙ্গে মিলেমিশে হয়, আমরা সহযোগিতা করব।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার বিদেশীদের দিয়ে দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। অথচ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশীয় কোম্পানি দিয়েই তা করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা করছে সরকার। কিন্তু বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। ত্রুটিপূর্ণ মহাপরিকল্পনা নিয়ে বস্তাবায়ন হলে বিপাকে পড়বে দেশের বিদ্যুৎ খাত। কারণ এতে দেখা গেছে, ২০৪০ সাল নাগাদ শতভাগ আমদানি নির্ভর হয়ে উঠবে দেশের জ্বালানি খাত। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের জ্বালানিতে বিদেশি নির্ভরতা থাকবে প্রায় ৯২ শতাংশ। যা ২০৪০-এ গিয়ে দাঁড়াবে শতভাগে। অথচ সেই বছর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ৬০ হাজার মেগাওয়াট। যার আবার ৮৪ শতাংশই আসবে প্রধান তিন জ্বালানি গ্যাস, কয়লা এবং তেল থেকে। বিদেশ থেকে জ্বালানি কিনে বিদ্যুৎ তৈরি করতে গেলে বড় চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। কেননা, হিসাব বলছে, ২০৩০ থেকেই আমদানি বাবদ বাড়তি খরচ করতে হবে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার করে। যা ২০৪০ নাগাদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩০ বিলিয়ন। ফলে, এই টাকা যোগাড় করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জের। এছাড়া, কয়েকগুণ উৎপাদন খরচ বাড়লে সে প্রভাবও পড়বে জনজীবনে। অথচ এসব বাদ দিয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে এই জ্বালানি চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে দেশ ও দেশের মানুষ।
দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার গবেষণা মতে, সারাদেশে প্রতিদিন ২০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় যা থেকে কমপক্ষে ১৫০০-৫০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। বিশেষভাবে, ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এই বিপুল পরিমাণ আবর্জনা রাজধানীর আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে ফেলা হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই বর্জ্যের পরিমাণ। বিশেষজ্ঞ দলের ধারণা আর ২ বছর পর এই ল্যান্ডফিল্ডগুলোতে আর বর্জ্য ফেলা যাবে না। তখন অন্যত্র জায়গা খুঁজতে হবে। কিন্তু ঢাকার আশপাশে এত খালি জায়গা কোথায়? আর এই বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না করা হলে, মহাবিপাকে যে পড়তে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকার বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও এসব উদ্যোগ গতি পাচ্ছে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে নানা জটিলতায় মূলত থমকে আছে এ উদ্যোগ। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বললেও বাস্তবে তা কাগুজে। দীর্ঘদিন থেকে এই খাত থেকে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নানা পরিকল্পনা হাতে নিলেও তার কোনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোম্পানি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল দু’বছর আগে। এরপর দফায় দফায় সভা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কোম্পানি আর গঠন হচ্ছে না। বর্জ্যে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে নগরী। সবাই এই বর্জ্যকে মূল্যবান সম্পদ বলে দাবি করলেও কোনো কাজে আসছে না।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে অবহেলা করলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই উৎসকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানিতে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। গ্রিসের পেত্রা শহরে পরিত্যাক্ত তরল বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর বর্জ্যের বিপুল সম্ভাবনাকে ১০০ শতাংশ কাজে লাগায় জার্মানি। জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় দুই মিলিয়ন লোক চাকরি করে এই বর্জ্যভিত্তিক শিল্প-কারখানায়। এ থেকে আয় হয় প্রায় ১৪৫ থেকে ১৫০ বিলিয়ন ইউরো বা ১৯০ থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নাইরোবিতে রয়েছে এই বর্জ্য রিসাইক্লিং করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জৈব সার উৎপাদনের বিশাল শিল্প। সেইসাথে নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালিও তাদের বর্জ্যের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েছে।
কিন্তু বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত না হওয়ায় পলিথিন ও অন্যান্য বোতল শত শত টন পানির দরে বিদেশে রফতানী করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে তা বিদেশে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পেট বোতলের দানা হয়ে উচ্চমূল্যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বাংলাদেশে পুনরায় আমদানি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্জ্য বা আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করাই সাম্প্রতিককালের ভাবনা। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সে বিষয়ে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অথচ আক্বল খাটানো এবং পরিচ্ছন্ন থাকা দুটোই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশেই এ শিক্ষা কাজে লাগানোর সর্বাধিক দাবিদার। বাংলাদেশেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে না। তাই ফাইলবন্দি না থেকে সত্বর বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমাদের প্রত্যাশা- বিদ্যুৎবান্ধব প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বর্জ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকেও বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদারের আহবান প্রধানমন্ত্রীর।
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অপারেশনের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে করতে ক্লান্ত রোগীরা ওষুধ আর পরীক্ষার জন্য রোগী পাঠানো হয় বাইরে সব হাসপাতালে দালালচক্র সক্রিয়
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের শিক্ষার মান ক্রমশই নিম্নমুখী। সার্টিফিকেট ও মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রতে পরিণত হচ্ছে শিক্ষা। কর্মমূখী ও বাস্তবিক শিক্ষার অভাবে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠছে না বাংলাদেশে। সরকারের উচিত, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নমরুদের মশা আর এডিস মশার মধ্যে যেমন পার্থক্য নেই তেমনি পার্থক্য নেই নমরুদবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের মধ্যে। নমরুদ মশার ও এডিস মশার গযব থেকে বাঁচতে হলে অবিলম্বে নমরুদবাদ তথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রত্যাহার করতে হবে।
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবাণী ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স! মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা ৩.৭৫, তবুও ২.৯৫ পেয়ে অধ্যাপক অন্যান্য দেশে অধ্যাপক হতে ২০ বছর লাগলেও বাংলাদেশে লাগে মাত্র ১২ বছর! গবেষণায় যোগ্যতা না থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ পাচ্ছে নামধারী অধ্যাপকরা। গবেষণা কমছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, প্রশিক্ষণ না পেয়ে দেশ ছাড়ছে গবেষণায় উৎসাহী মেধাবীরা।
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ অথচ যথাযথ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত দেশীয় শ্রমিক স্বদেশে তো ফিরবেই পাশাপাশি বিদেশি কর্মশক্তি বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে।
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কমিশনের লোভে ১০০ টাকার ওষুধের পরিবর্তে ১৫০০ টাকার বিদেশী ওষুধ লেখেন চিকিৎসকরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নই চিকিৎসক দুর্বৃত্তায়নকে পালন ও প্রসার করছে ওপেন সিক্রেট ডাক্তারদের কমিশন বাণিজ্য বন্ধে চাই ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)