সম্পাদকীয়-২
বাজারে ভয়ংকর ঘন চিনি মিথ্যা ঘোষণায় আসছে আমদানি নিষিদ্ধ ঘন চিনি পুরুষত্বহানি, মূত্রাশয়ে ক্যান্সারের তথা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর এই ঘন চিনি বন্ধে সরকারকে এখনি জিহাদ ঘোষণা করতে হবে
, ৩০ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
খুশির যে কোন সংবাদে অথবা ঘরে আসা অতিথিকে মিষ্টি দ্রব্য না দিলে যেন বিষয়টি পূর্ণতা পায় না। মিষ্টি যেন থাকতেই হয়। আর সেই মিষ্টি যদি হয় বিষাক্ত! তাহলে মিষ্টির বিষাক্ততায় দেশের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে মরণঘাতি ক্যান্সারসহ অনেক জটিল রোগে। একটি অসাধু চক্র অল্প খরচে অতি লাভের আশায় রসগোল্লা, সন্দেশ, আইসক্রিম, দই, কেক, বেভারেজ, জুস, চকোলেট বেকারি বিস্কিটসহ মিষ্টি জাতীয় নানা উপকরণে স্বাদ আনার জন্য তাতে ঘন চিনি মেশাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, এই ঘন চিনিই হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষাক্ত যৌগ সোডিয়াম সাইক্লামেট। মিষ্টি জাতীয় খাবারে এ ঘন চিনি মিশালে ভোক্তার শরীরে মরণঘাতি ক্যান্সারসহ হতে পারে কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস, হৃদরোগ, প্রেসারসহ নানা জটিল রোগ। বাংলাদেশ সরকার এই ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) আমদানিও বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে থেমে নেই সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘন চিনির আমদানি। এখন নাম পরিবর্তন করে আমদানি করা হচ্ছে এই মরন যৌগ।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে এই বিষাক্ত ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) ব্যবহারের প্রবণতা ভয়ঙ্কর আকার ধারন করেছে। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেটের) সাধারন চিনির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। অর্থাৎ, যেখানে ৫০ কেজি চিনি যতটা মিষ্টি স্বাদ আনতে পারে, সেখানে মাত্র ১ কেজি ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেটের) পক্ষেই খাবারকে ততটা মিষ্টি করে তোলা সম্ভব। এই মারাত্মক বিষাক্ত সোডিয়াম সাইক্লামেট শরীরে ঢুকেই তা নানা বিষক্রিয়া শুরু করে।
এই সার স্বাদহীন দাম মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজি। তাই ঘন চিনিতে মিশে গিয়েও স্বাদের কোনও বদল ঘটায় না। ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঘন চিনি। আর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মেশানো ভেজাল ঘন চিনি ১৫০ টাকা কেজি। তাই অনেক মিষ্টি এবং বেকারি ব্যবসায়ী অজান্তে ঝুঁকেছেন ভেজাল ঘন চিনির দিকে। ফলে মিষ্টি, পাউরুটি, কেক, কনডেন্সড, মিল্ক, আইসক্রিমের সঙ্গে শরীরে ঢুকে পড়ছে মারাত্মক বিষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘনচিনি ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, মানব হৃৎপি-ের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়; এছাড়া পুরুষত্ব হানিও ঘটতে পারে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে দেশে ২০০৬ সালে ঘনচিনির আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য ১৯৬০ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৯ সালে ঘনচিনির ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের দেশে এই ক্ষতিকর পণ্য যারা আমদানি করছে, তাদের শাস্তি হওয়া যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি শনাক্ত হওয়ার পরও যাদের কারণে তা খালাস হয়ে দেশের বাজারে ঢুকছে, তাদেরও শাস্তি হওয়া। তবে তদন্ত কমিটি আলোচ্য জালিয়াতির ঘটনায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পায়নি। পুরো ঘটনাকে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের দুর্বলতা এবং ‘মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের কথা হলো, ঘনচিনি খালাস হওয়ার পেছনে যদি সিস্টেমের কোনো দুর্বলতা কাজ করে থাকে, তাহলে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নিতে হবে যে কোনো উপায়ে এবং অবিলম্বে। তা না হলে এভাবে আরও অনেক ক্ষতিকর পণ্য দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়বে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












