বারবার প্রতিশ্রুতির পরও সীমান্ত হত্যা বন্ধের বাস্তব প্রতিফলন হচ্ছেনা চুক্তি অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না সমস্যার মূলে অনুসন্ধান করছে না দুই দেশই
বানিজ্যিক ঘাটতি পূরণ এবং দুই দেশের মধ্যে সহজ যাতায়াত বন্দোবস্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ
, ২৬ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
সীমান্তে হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। সেখানে সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করতে একমত হয় দুই দেশ।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি সীমান্তে।
সীমান্তে হত্যা শূন্যতে নামিয়ে আনা আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকবার সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার চলছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ে কাগজে-কলমে মিটিংয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেটাকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার, দুই পক্ষ থেকে যদি সেটা করা হতো, তাহলে সীমান্তে এমন হত্যাকা-ের মতো ঘটনা আর ঘটতো না।
সীমান্তে হত্যা বন্ধে আছে আন্তর্জাতিক আইন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেও নিয়মিত হয় আলোচনা। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা।
এতদ্বপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের নতুন অভিযোগগুলোর তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআর ডব্লিউ)।
সংস্থাটি জানায়, দশ বছর আগে ভারত সরকার 'ট্রিগার হ্যাপি'র ঘোষণা দেয়। সেখানে বলা হয়েছিল, বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশী গুলির পরিবর্তে রাবার বুলেট ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের বাসিন্দার ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করে যাচ্ছে।
তবে বিএসএফ সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের ওপর আক্রমণ এলেই তারা শক্তি প্রয়োগ করেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বলেন, সীমান্ত বাহিনীর সংযত আচরণ ও মারণাস্ত্র ব্যবহার সীমিত রাখার ভারত সরকারের আদেশের পরেও হত্যাকা-, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধ কমেনি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি করতে সরকারের ব্যর্থতা একে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং এতে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সীমান্ত হত্যাকা- শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও তা বিএসএফ মানছে না। বরং বছরের পর বছর ধরে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও লালমনিরহাট সীমান্তে তিন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২২ জনকে এবং গত ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ জনসহ মোট ২৫ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৩ জন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০তম সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ প্রধান রাকেশ আস্তানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সীমান্ত হত্যাকা- শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। এই প্রতিশ্রুতির পরও হত্যাকা- বন্ধ হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত সীমান্ত হত্যাকা- শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য পুনরায় সম্মত হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বিএসএফ কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই হত্যাকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ১৫০ কিলোমিটার। ভারতের সাথে চীন, পাকিস্তান, নেপালের সীমান্ত থাকলেও এর কোনোটির সীমান্তে বিএসএফ সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের হত্যা করতে সাহস দেখায় না, যতটা সে বাংলাদেশী হত্যার ক্ষেত্রে দেখাচ্ছে। সেসব দেশের সীমান্তে কোনো হত্যাকা- হয় না বললেই চলে। এর কারণ, ঐসব দেশের সীমান্ত বাহিনী কিংবা সরকার যথেষ্ট শক্ত অবস্থানে থাকে। দুঃখের বিষয়, বিএসএফ প্রতি মাসে গড়ে দুই জনের বেশি বাংলাদেশী হত্যা করলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় না। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভারত তার সব চাওয়া-পাওয়ার অবাধ ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশকে। যখন যেটা চাচ্ছে, তখন সেটা পেয়ে যাচ্ছে। তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে সহজ যোগাযোগ এবং মালামাল পরিবহনের করিডোর, সমুদ্র ও নৌবন্দর ব্যবহারের অবারিত সুবিধা পেয়েছে। বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য সমূহের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বানিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম বড় বাজারে পরিণত করেছে। দেশটির জনশক্তির আয়ের শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি বাংলাদেশ। লাখ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের দেশ। প্রতি বছর প্রায় দশ বিলিয়ন ডলার দেশটি বাংলাদেশ থেকে আয় করে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে একচেটিয়া সুযোগ নিচ্ছে। বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। ভারত তিস্তা চুক্তি আজও করেনি। বাংলাদেশী পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। এমনকি, নেপালের সাথে স্থল যোগাযোগের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে যে প্রায় ২২ কিলোমিটার করিডোর রয়েছে, তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করছে। করিডোরটুকুর পূর্ণ সুবিধা পেলে নেপালের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অধিক সহজ হয়ে যেত। ভারত তা দিতে নারাজ। সে বাংলাদেশ থেকে তার সব চাওয়া পূর্ণ করবে, বাংলাদেশকে কোনো সুবিধা দেবে না। উল্টো সীমান্তে বাংলাদেশীদের পাখির মতো গুলি করে মারছে। নৃশংসতার উদাহরণ হিসেবে কিশোরী ফেলানিকে হত্যা করে কাটাতারে বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিল। প্রায় প্রতি মাসেই নিরীহ বাংলাদেশীকে হত্যা করে উল্লাস প্রকাশ করে। সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার কথা বলা হলেও বিএসএফ তা মানছে না। শুধু গুলি করে হত্যাই নয়, বাংলাদেশীদের তুলে নিয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন করেও হত্যা করছে।
বিশ্বের বহুদেশেই স্থলসীমান্ত রয়েছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেরই একটির সাথে আরেকটির স্থলসীমান্ত রয়েছে। সেখানো হত্যাকা- দূরে থাক নাগরিকদের কোনো ধরনের হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হয় না। অথচ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে দুই দেশই এমনসব কথাবার্তা বলে যে, পৃথিবীতে আর কোনো দেশের সাথে যেন এমন সম্পর্ক নেই। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, রাখিবন্ধন এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্কের কথা বললেও ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সাথে বিরূপ আচরণ করে চলেছে। এ কারণে, বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতবিদ্বেষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন এ বিদ্বেষ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, কোনো খেলায় ভারত হারলে বাংলাদেশের জনগণ উল্লাস প্রকাশ করে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারত সরকারের আচরণের কারণে দুই দেশের জনগণের মধ্যেও পারস্পরিক বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিদ্বেষের অন্যতম সীমান্ত হত্যাকা-।
সঙ্গত কারণেই সীমান্তে এরূপ হত্যাকা- আমরা সমর্থন করতে পারি না। অন্যদিকে দুই পক্ষেরই সীমান্তে চোরাচালান থামানো প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ে যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বিধায়, সীমান্তে হত্যাকা- বন্ধ হয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই এমন হত্যা দেখছি। যতদিন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সুষ্ঠু বাণিজ্য চুক্তি না হবে, যতদিন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া সহজতর না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনাগুলো বোধহয় ঘটতেই থাকবে। অন্যান্য দেশে এমনটা হয় না। কারণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া অনেক সহজ।
এ সহজ পদ্ধতি ভারতের সদিচ্ছা থাকলে বাস্তবে প্রতিফলন একান্তই সহজ। ভারত, বাংলাদেশের সাথে তার অনন্য বন্ধুত্বমূলক সম্পর্কের কথা বারবার ব্যাক্ত করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ সক্রিয় হলে খুব সহজেই সীমান্ত সমস্যা তথা সীমান্ত হত্যা বন্ধে সফল হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












