বালাগাল ঊলা বি কামালিহী
এডমিন, ০৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা

‘বালাগাল ঊলা বি কামালিহী’
অর্থাৎ ‘নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো মাক্বামাতের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত।’
‘কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহী’
অর্থাৎ ‘উনার মুবারক জামালিয়তে সমস্ত আঁধার বিদূরিত হয়েছে।’
‘হাসুনাত জামিয়ু খিছলিহি’
অর্থাৎ, ‘উনারই মুবারক উসীলায় সমস্ত কিছু সৌন্দর্য মন্ডিত হয়েছে।’
এতটুকু লিখে হযরত শেখ সাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি থেমে গেলেন। চতুর্থ লাইন কি হবে, তা ভাবতে লাগলেন। চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে পারছিলেন না। তিনি বেকারার পেরেশান হয়ে গেলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে পুরোপুরি রুজু হয়ে চতুর্থ লাইন মিলানোর কোশেশে নিজেকে ব্যাপৃত রাখলেন। এক পর্যায়ে নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে গেলেন।
তিনি স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘হে শেখ সাদী! আপনি এত অস্থির কেন? কি হয়েছে আপনার?’ হযরত শেখ সাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি মুবারক খিদমতে নিজের অক্ষমতা ও অপারগতার বিষয়ে আরজি করলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “আপনি চতুর্থ লাইন লিখুন,
‘ছল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী’
অর্থাৎ, ‘উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ছলাত পাঠ করুন।’ সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা কতই না মর্যাদাবান যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের সাথে উনাদের প্রতিও ছলাত মুবারক পাঠ করতে উম্মতকে নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।