মন্তব্য কলাম
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
দেশীয় বীজে একদিকে ভেজাল দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত, মোড়কজাত ও হিমঘরে সংরক্ষণেরও দরকার পড়ে না। এতে জ্বালানি ব্যবহার কম পড়ে, কম বর্জ্য উৎপন্ন হয়। বন্যপশু ও পাখিরা ভালো থাকে। দেশীয় খাবারে যে স্বাদ বিদ্যমান ছিল তা অটুট থাকে সরকারের উচিত, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তায় হাইব্রিডের আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করা।
, ২২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৮ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০২ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, বেশি দামে বীজ সংগ্রহ করতে কৃষকের লাভের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ৯০ দশকের শেষের দিক থেকে গবেষণা চললেও এযাবত দেশে উচ্চ ফলনশীল বীজ উদ্ভাবনে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। এখনো নির্ভর করতে হয় আমদানি করা বীজের ওপর। বর্তমানে দেশের চাহিদার ৮৬ ভাগ মেটানো হয় আমদানি করা হাইব্রিড বীজ দিয়ে। ষাট দশকের শেষদিকে নিজম্ব ফসল থেকে সংগৃহীত দেশি জাতের বীজ দিয়ে ধান উৎপাদন তিন শতাংশ কমে যায়। অর্থাৎ তখন এ হার ছিল মোট উৎপাদনের শতকরা ৯৭ ভাগ।
দিন দিন বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইব্রিড বীজের উপর নির্ভরশীল থাকার কারণে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং খাদ্যপণ্যের স্বাদ বিলীনের পথে। বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইব্রিড বীজে ফলিত খাদ্যপণ্য দেখতে চকচকে, কিন্তু স্বাদ নেই, পুষ্টি নেই, নেই তেমন কোনো খাদ্যগুণ।
দেশে হাইব্রিডের চাষ হওয়ার পর থেকে উৎপাদন অনেকগুণ বেড়েছে। হঠাৎ লোভনীয় উৎপাদন দেখা দেওয়ায় কৃষকরা চরমভাবে ঝুঁকছে হাইব্রিডে। ফলে তাদের আয়ও বেড়েছে অনেক। আগে যে জমিতে ৬০ আরি (৬০০ কেজি) ধান হতো। সেখানে হাইব্রিড চাষের পর থেকে ১২০ আরি থেকে ১৬০ আরি পর্যন্ত ধান হচ্ছে। কিন্তু কৃষকরাই স্বীকার করছে, উৎপাদন যতটুটু বেড়েছে তারচেয়ে বেশিগুণ কমেছে স্বাদের মাত্রা। দেশীয় খাবারে যে স্বাদ বিদ্যমান ছিল তা মূলত হাইব্রিডে নেই বললেই চলে।
বর্তমানে দেশে হাইব্রিড ধানচাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মোট ধান আবাদি এলাকার চার-পঞ্চমাংশের বেশি আধুনিক ও হাইব্রিড জাতের দখলে চলে গেছে। ভাটিয়াল, বালাম, লতাশাইল, দাঁতখানি চাল বাজারে আর দেখা যায় না। গম, জোয়ার, কাউন, সরিষা, ছোলা, মুগ, মসুরি ইত্যাদি শস্যের চাষ প্রায় উঠে গেছে। সবজির উৎপাদনে হাইব্রিড জাতের ব্যবহারই বেশি। কাঁটাযুক্ত গোল দেশি বেগুন এখন আর পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, একই জমিতে বারবার আধুনিক বা হাইব্রিড জাতের ফসল চাষে কীটপতঙ্গ ও রোগব্যাধি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে দেশের সবজি খাতে হাইব্রিড ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। হাইব্রিড সবজি উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিরিক্ত সার-কীটনাশক ও কৃত্রিম হরমোন। কোনো রকম বিধিনিষেধ না থাকা এবং অতিরিক্ত লাভের আশায় চাষিরা নিজেদের অজান্তে জনস্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে বিপর্যয়ের হুমকিতে ফেলে শাকসবজি উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছে হাজার হাজার চাষি। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত শাকসবজি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করায় জনস্বাস্থ্য যেমন ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তেমনি নানা রকমের জটিল রোগ ছড়িয়ে পড়ছে মানবদেহে। তাছাড়া অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য পড়ছে হুমকিতে। এ কারণে আজকাল খাল বিলে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। হাইব্রিড শাক-সবজি চাষে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে দেশী সবধরনের শাকসবজির বীজ। ইতোমধ্যে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ দেশী জাতের শাকসবজি হারিয়ে গেছে।
হাইব্রিড বীজে অর্থনৈতিক ক্ষতিরও শিকার হয়েছে দেশের কৃষকরা। সেচের পানি উত্তোলনের জন্য বর্তমান হারে সারা দেশে কৃষকদের প্রতি বছর প্রায় ৮০ কোটি লিটার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। এই সঙ্গে ব্যবহার করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ। সাধারণ হিসাবে কৃষকদের কমবেশি ২৫ হাজার কোটি টাকার সার, ১ হাজার কোটি টাকার কীটনাশক, ৬ হাজার কোটি টাকার ডিজেল এবং ৫০০ কোটি টাকার নতুন জাতের ও ৬০০ কোটি টাকার হাইব্রিড ধানের বীজ কিনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের বছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকার কৃষি উপকরণ ব্যবহার করতে হচ্ছে। অথচ, দেশীয় জাতের ফসলের ক্ষেত্রে কিংবা বীজের ক্ষেত্রে এত বিপুল পরিমান উৎপাদন খরচের প্রয়োজন হতো না।
গত বছর প্রতিটি ফুলকপির চারার দাম পড়েছে ২ টাকা। অথচ একটা কপি থেকে ১শ গ্রাম বীজ পাওয়া যায়। ১০ গ্রামে ৩ হাজারটি দেশি জাতের বীজ পাওয়া যায়। একটি ফুলকপির বীজে এক উপজেলার ৩০ হাজার পরিবারের এক দিনের চাহিদা পূরণ হয়। তাহলে ৩৬৫ দিনের চাহিদা পূরণ করতে মাত্র ৩৬৫টি ফুলকপি হলেই সম্ভব। ১শ দিন ধরলে একটি উপজেলায় গড়ে ১শটি ফুলকপিই বীজের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টি বাঁধবে কে?
উন্নয়নের ঠেলায় আর খুশিতে মাগনা চা খাওয়ার গল্পের মতো নামমাত্র মূল্যে হাইব্রিড বীজ হাজির হয়েছে আগে। তারপর কৃষকের গোলা বীজহীন করে, কোম্পানিকে বীজ উৎপাদনের দায়িত্ব দিয়ে সামাজিক সৌহার্দ্য আর সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ। ফলে আনন্দমুখর উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে জনগণ হলো বিচ্ছিন্ন। জমি ও স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হলো। এমনকি কেড়ে নেওয়া হলো কী আবাদ করবে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও অধিকার। বীজ উৎপাদনের জ্ঞান ও কর্মসংস্থানের যে সুযোগ গ্রামে ছিল, তা ডাকাতি করে নিল কোম্পানিগুলো। আর সরকারি কর্তারা হলেন কোম্পানির এজেন্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নত জাতের নামে রাসায়নিক সার, বিষ ও ভূগর্ভস্থ পানি লাগে এমন জাত আবিষ্কারেই ব্যস্ত। জনগণের টাকায় বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে গবেষণা করাই যে কাজ।
বাংলাদেশে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো কাউন, যবের মতো এমন কয়েক প্রজাতির উদ্ভিদ হারিয়ে গিয়ে টিকে আছে মাত্র ধান, গম আর ভুট্টা। ফলে এগুলো দিয়েই খাদ্যের জোগান হচ্ছে। সেই প্রজাতিগুলোকেই টিকিয়ে রাখা হয়েছে, রাসায়নিক সার, বিষ ও সেচযন্ত্রে ভালো ফল দেয় এবং দীর্ঘ পরিবহনে টিকে থাকে।
প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে শস্য ও বীজ সংরক্ষণাগার আছে। কাজ ছিল- উন্নত মানের বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ, কৃষকদের বীজ উৎপাদনে সহায়তা প্রদান, শস্য ও বীজের গুণগত মান রক্ষা। অথচ হাইব্রিড বীজের উৎপাদন সক্ষমতা যাচাই, নজরদারি ও সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থাও নেই। কৃষক কেমন বীজ জমিতে লাগাচ্ছেন, সেটা দেখভাল করাই ছিল কৃষিকর্মকর্তাদের কাজ।
‘প্রাকৃতিক কৃষি’র সদস্যরা গ্রামের জনগণকে বোঝান যে, নিজেদের জমি, পরিষ্কার পানি, উর্বর জমি এবং টেকসই পদ্ধতিতে খাদ্য ও ফসল উৎপাদনের জন্য দরকারি জ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করছেন। কাজ করছেন স্থানীয় জ্ঞান ও দক্ষতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায়। সত্যিকারের উন্নয়ন, টিকে থাকার সক্ষমতা সৃষ্টি ও ন্যায্যতা সৃষ্টির জন্য তাদের শিক্ষা কাজে লাগানো উচিত।
আরডিআরএস বাংলাদেশ গ্রামীণ সংঘ প্রজেক্টের আওতায় সীমান্ত এলাকায় ও শহরে কৃষিবিজ্ঞান, কমিউনিটি প্রশিক্ষণ, স্থানীয় উদ্যোগ এবং পুষ্টিসচেতনতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিটি কৃষক পরিবারকে বীজ উৎপাদনে যুক্ত করে স্থানীয় জাতগুলোর ওপর গুরুত্ব দিলে খাদ্য নিরাপত্তাচক্র শক্তিশালী হয়। উদ্ভিদ ও গবাদিপশুর স্থানোপযোগী জাত জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ করে। স্থানীয় বীজের সঙ্গে স্থানীয় খাবারের সম্পর্ক আছে। স্থানীয় খাবার স্বাস্থ্যকর। কারণ তা পরিবহন করে আনার প্রয়োজন পড়ে না। তাই রাসায়নিক বিষমুক্ত থাকে।
আর উৎপাদক যেহেতু সরাসরি ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রি করে, ফলে একদিকে বীজে ভেজাল দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত, মোড়কজাত ও হিমঘরে সংরক্ষণেরও দরকার পড়ে না। এতে জ্বালানি ব্যবহার কম পড়ে, কম বর্জ্য উৎপন্ন হয়। বন্যপশু ও পাখিরা ভালো থাকে।
হাইব্রিড বীজ যদিও উচ্চ ফলনশীল কিন্তু সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল। যে কোন সময়েই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ফাঁদে ফেলতে পারে। হাইব্রিড ধান চাষে দেশি-বিদেশি করপোরেট ও বহুজাতিক সিড কোম্পানিগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে কৃষক। খাদ্য নিরাপত্তায় ধানের উৎপাদন বাড়াতে হাইব্রিড ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হলেও কৃষক বীজ পাচ্ছে না। কৃষক পর্যায়ে এ বীজ সংরক্ষণ না হওয়ায় বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে চড়া দামে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এ সুযোগে দেশে বীজ উৎপাদন না করে বিদেশ থেকে আমদানি করে বাণিজ্য চালিয়ে আসছে কোম্পানিগুলো। বলার অপেক্ষা রাখে না, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশে হাইব্রিড নিয়ে ভবিষ্যতে আরো মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে।
মূলত উচ্চ ফলনের লোভ দেখিয়েই বীজ কোম্পানি এবং এদেশীয় কিছু মহল দীর্ঘদিন থেকেই একদিকে হাইব্রিডের প্রচার ও প্রসার করছে অন্যদিকে দেশীয় শাক-সবজি তথা ফসলের দেশীয় বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে দেশীয় খাদ্যপণ্যের উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করছে। দেশীয় ফসলের বীজে উৎপাদন কম হয় এমন মিথ্যাচার করে বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইব্রিড বীজের প্রচার করা হয়েছে। অথচ দেশীয় ফসলের জাতগুলোর মাধ্যমেই দেশের খাদ্যনিরাপত্তা অটুট রাখা যেতো, খাবারের স্বাদ ফিরিয়ে নিয়ে আসা যেতো এবং জনস্বাস্থ্যকে ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে রক্ষা করা যেতো। কিন্তু বিদেশি চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পড়ে দায়িত্বশীল মহল এ বিষয়ে একেবারেই গুরুত্বহীনের ভূমিকা পালন করছে। যা দেশের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য আত্মঘাতি।
আমরা মনে করি, সরকারকে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করার পর যদি জনসাধারণ রোগ-ব্যাধীতে আক্রান্ত হয় তাহলে সেই উচ্চফলন লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি এবং আত্মঘাতিও বটে। সরকারের উচিত, উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইব্রিড বীজের উপর থেকে দেশের ফসলের চাষাবাদ নির্ভরশীল না করে দেশীয় ফসলের উচ্চফলনশীল জাতগুলো যেগুলো দেশের বিজ্ঞানীদের হাত ধরে আবিস্কার হয়েছে সেগুলো মাঠপর্যায়ে পৌছানোর ব্যবস্থা করা। উন্নত গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় ফসলের জাতগুলোকেই কিভাবে উচ্চফলনশীল ও টেকসই করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া। যথাযথ বাজেটের মাধ্যমে দেশীয় বীজের সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা। যা দীর্ঘদিন থেকেই দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে আসছে।
সরকারকে তাই গুরুত্ব দিয়ে দেশীয় ফসলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আসতে হবে। জনগণ দেশীয় খাদ্যের স্বাদ যাতে পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ক্ষমতাসীন সরকারকেই।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












