ভারতে মুসলমানরা যুলুম-নির্যাতনের শিকার;
বিধর্মীদের সাথে ‘সমপ্রীতি’ বজায় রাখার নামে মুসলিমবিদ্বেষকে উস্কে দেয়া ধর্ম ব্যবসায়ীরাই মূলত দায়ী
, ১৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৯ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
বর্তমানে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও তাবৎ কাফির, মুশরিক, নাস্তিক আর বিধর্মীরা লাফালাফি করলেও ইতিহাস থেকে প্রমাণিত যে, ভারতবর্ষ মুসলমানরাই সাজিয়েছিলো প্রায় ৭০০ বছর শাসন করে। কিন্তু মুসলমানদের এই সকল অবদান ভুলে গিয়ে অকৃতজ্ঞ বেইমান বিধর্মীরা আজ ভারতে একের পর এক পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শান মুবারকের খেলাফ কার্যক্রম জারি করছে, মসজিদে আযান দেয়া বন্ধ করে দিচ্ছে, মুসলমানদেরকে শহীদ করছে, এমনকি দেশ থেকে পুশইন করে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে, বিনা দোষে হামলা-মামলা দিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে বাস্তুচ্যুতি ঘটাচ্ছে।
মূলত, এর পেছনে রয়েছে আলিম নামধারী যালিম তৈরির কারখানা “ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার জাহিলরা”। এদের বিভিন্ন কুফরী বক্তব্য প্রচার ও কুফরী আক্বিদার কারণে ভারতের মুসলমানরা আজ প্রকৃত দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে মুশরিকদের তাবেদারী করা শুরু করে। যার পর থেকে মুসলমানদের উপর শুরু হয় যুলুম-নির্যাতন।
ব্রিটিশ-বেনিয়ারা যখন ভারতবর্ষের মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়ে পলায়ন করছিলো তখন তারা সুকৌশলে গঠন করে দিয়েছিলো তাদের পাপের ফসল এই দেওবন্দ মাদরাসা। যাতে করে তারা দূরে চলে গেলেও তাদের সংস্কৃতির দ্বারা মুসলমানদেরকে চির গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখা যায়। ফলে যখন ভারতের মুসলমানরা মুসলিম স্বাধীন আবাসভূমি চেয়েছিলো তখন এই দেওবন্দী নামধারী ব্রিটিশদের দালালরাই এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলো। নাঊযুবিল্লাহ!
তারা বলেছিলো- “আমরা বিধর্মীদের সাথেই মিলেমিশে থাকবো, বিধর্মী মুসলিম আমরা ভাই ভাই”। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন হায়দারাবাদের খোদাভীরু সুলতান মুহম্মদ নিজাম। যার কারণে এক রাতে সেখানে হামলা চালিয়ে লাখ লাখ মুসলিম সমেত পুরো সুলতান পরিবারকে শহীদ করে দেয়া হয়। আর এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এই দেওবন্দীরা ভারতীয় মুসলিমদের বিপক্ষে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম সাধন এবং ভারতের মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের তাঁবেদারিতে উৎসাহিত করছে। এমনকি এই দেওবন্দী জাহিলরা শিবকে মুসলমানদের প্রথম নবী হিসাবে দাবি করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ!
বেশ কয়েক বছর আগে এক যবন মুশরিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবুব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকে কটূক্তি করেছিলো। যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলো এর প্রতিবাদে। কিন্তু দেওবন্দ মাদরাসা তাদের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের গুটিয়ে রেখেছিলো। এমনকি বিন্দু থেকে বিন্দুতম প্রতিবাদও তারা করেনি। যা প্রমাণ করে দেয় যে, তারা তাদের পূর্বপুরুষ (ব্রিটিশ) দেরই পাপের ফসল।
আরো একটি উদাহরণ দিলে সহজ হবে- দেওবন্দী নামের মুশরিকদের পা চাটা গোলামরা যে সর্বদা মুসলমানদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তার বাস্তব ও জ্বলন্ত উদাহরণ হলো- সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে দিতে চায় না এই বিধর্মীদের সাথে ‘সম্প্রীতি’ বজায় রাখা গোলাম দেওবন্দীগুলো। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বরাবরের মত পাকিস্তানের বিরোধিতা করতে ভুলেনি। এমনকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফতওয়াও দিয়েছে তারা।
তাদের এরুপ কার্যকলাপ আরেকবার ভারতের মুসলমান ও বিশ্ব মুসলিম এর মানসপটে স্বচ্ছ পানির মত পরিষ্কার হয়ে গেলো। তারপরও যদি মুসলমানরা মুশরিকদের গোলাম ধর্ম ব্যবসায়ীদের চিনতে না পারে; তাহলে এর চেয়ে বড় আফসুসের আর কিছু হতে পারে না।
তাই সর্বশেষে মুসলমানরা যদি ভারতবর্ষে তাদের সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়ে বিধর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় তাহলে তাদের উচিত হবে ঈমানী চেতনা ধারণ করে, বিধর্মীদের সকল তাঁবেদারী ছেড়ে দিয়ে ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুনকে আকড়ে ধরা। স্বাধীন কাশ্মীর গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












