বে-ক্রস ড্যাম হতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহা হাতিয়ার।
খুলে যাবে সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দুয়ার। পূনর্বাসিত হতে পারবে লাখ লাখ বাস্তুহারা মানুষ। সরকারের উচিত- এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করা।
, ০৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছে, নতুন ভূখন্ড সবই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হচ্ছে। এর পাশাপাশি যদি বে-ক্রস ড্যামের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবেও দ্বীপের সৃষ্টি করা যায় তাহলে তা যুগান্তকারী এক উন্নয়ন ও পরিবর্তন নিয়ে আসবে বাংলাদেশের জন্য।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে বড় ব-দ্বীপ। গঙ্গা, অববাহিকায় যমুনা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র নদী হাজার বছর ধরে সমুদ্রে পলি জমিয়ে পৃথিবীর সব থেকে উর্বর এই ভুখন্ডের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ২/৩ অংশ এই ব-দ্বীপ। পশ্চিম বঙ্গের কিছু এলাকা নিয়ে বাকিটা। সুদূর ভুটান, নেপাল, হিমালয় থেকে নদীগুলা উৎপন্ন হয়ে পথে প্রায় ১,০০,০০,০০,০০০ (১ বিলিয়ন) মেট্রিক টন পলি বা সেডিমেন্ট বয়ে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। যার বেশিরভাগ পলি মহীসোপান পার হয়ে গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যায়। মহীসোপান হল উপকুল থেকে সেøাপের মত গভীর সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত অগভির অংশ।
বাংলাদেশ নদী ভাঙ্গনের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার করে জায়গা হারায়। আর ভুটান, নেপাল, ভারত থেকে বয়ে আনা পলি বা সেডিমেন্ট এর সাথে এই ১০০ বর্গ কিমি যুক্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ১২০ বর্গ কিমি করে জায়গা নতুন ভাবে যুক্ত হচ্ছে। নিত্য নতুন দ্বীপ জেগে উঠছে বঙ্গোপসাগরে। কোন কোন দ্বীপ স্থায়ী কাঠামো পেয়েছে। এক্ষেত্রে যদি মূল নদীগুলার প্রবাহ বাধাগ্রস্থ না করে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে মহীসোপানের গভীরে যেয়ে ছোট ছোট অন্তরায় বা বাধ তৈরি করে (অস্থায়ীভাবে) মেঘনা পর্যন্ত নেয়া যায়, তবে পানিতে থাকা পলি বা সেডিমেন্টের গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রিতভাবে অসংখ্য দ্বীপ তৈরি করা যায়। এটা করতে পারলে প্রায় ২৫০০০ বর্গ মাইল ভূমি মূল ভূখ-ের সাথে যুক্ত করা সম্ভব। সাথে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব মুক্ত থাকা যাবে। আর পলি যুক্ত জমি উর্বর আর চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, বাঁধ বা অন্তরায় তৈরি করতে যে খুব বেশী খরচ হবে তা নয়। উদ্দেশ্য পলি আটকানো। তাই কোন জালের সাথে পরিত্যাক্ত বোতল গুলা বেধে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে এটা করা যেতে পারে। এতে খরচ অনেক কমবে সাথে সেডিমেন্টগুলা ফিল্টার হয়ে আটকে থাকবে। ভবিষ্যতে এই অন্তরায়ে পলি গুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে জমতে শুরু করবে। স্থায়ী রুপ পাবে আস্তে আস্তে। পুরা বিষয়টা করতে হবে পরিকল্পিত ভাবে যেন নদীগুলার মূল প্রবাহ ঠিক থাকে। আর এক্ষেত্রে এটি স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনাও নয় বরং দীর্ঘ বছর ধরে আস্তে আস্তে বঙ্গোপসাগরে জমা হওয়া পলিকে নিয়ন্ত্রণ করে নতুন দ্বীপ গঠনের পক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যাবে।
প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিলিয়ন ডলার খরচ করে মাটি বা বালি এনে সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ করেছে। যাতে তারা বিনিয়োগ করছে, কলকারখানা তৈরী করছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কৃত্রিমভাবে মাটি বা বালি দিয়ে ভরাট করা লাগবে না। প্রাকৃতিকভাবেই এদেশের নদীগুলি প্রচুর পলি বহন করে। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে সুপরিকল্পিতভাবে পলিগুলিকে নিয়ন্ত্রিত স্থিতি দিলেই বাংলাদেশের সামনে বিশাল সুযোগ আসবে। এর ফলে উপকূলে পলি জমার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। উর্বর পলিযুক্ত নতুন ভূমি আমাদের কৃষি জমি, বনভূমি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই আমরা মনে করি সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে এই বে-ক্রস ড্যাম মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া। অপচয় ও দুর্নীতিতে ডুবে থাকা প্রকল্পগুলোতে ব্যয় বাদ দিয়ে দেশের সকল মহাসম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়া এসব কাজে অর্থ ব্যয় করা। বে-ক্রস ড্যামসহ সমুদ্র অর্থনীতির পাশাপাশি ভূখন্ড গবেষণা নিয়েও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে ইতোমধ্যেই নোয়াখালী, সন্দ্বীপ ও হাতিয়ায় সাগর বুকে জেগে উঠা যে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি রয়েছে তা আবাদের ব্যবস্থা করা। দ্রুত আবাদের জন্য এ সকল ভূখন্ডে দেশের লাখ লাখ ভূমিহীন, বাস্তুহারা, নদীভাঙ্গনে সর্বশ্বহারা অসহায় ব্যক্তিতের পূনর্বাসন করা। নতুন ভূমিগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাক্যাম্প তৈরী করা। সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এতে করে নতুন ভূখন্ডগুলোও বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম ও প্রধান করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, বিপুল পরিমাণ নতুন ভূমি দেশের জনজট নিরসন তথা সামগ্রিক বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ইনশাআল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই আমরা দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে প্রচার করতে চাই, বাংলাদেশের সাগরবক্ষে অভূতপূর্ব সম্ভাবনার আধার। প্রয়োজন শুধু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, গবেষণা। তাই দেশের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং দেশের ভূখন্ড বৃদ্ধির স্বার্থে তথা দেশ-জনতার স্বার্থে সরকারের উচিত এই বে ক্রস পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অতি তাড়াতাড়ি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন! আমীন! আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












