সম্পাদকীয়-২
বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে ১০ বছরে অবৈধ হয়ে ফিরেছেন প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশী অভিবাসন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দমনে পতিত সরকারের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ক্রিয়তা- অতি নির্মম
, ১৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৯ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বর্তমানে এক কোটিরও বেশী বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে কর্মরত। মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপ- সবখানেই ছড়িয়ে আছে তারা। কিন্তু এই শ্রম রপ্তানির ধারণাটিই প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ মানবিক মর্যাদা ছাড়া কোনো শ্রম প্রকৃত অর্থে ‘সম্পদ’ নয়। প্রদত্ত শ্রম যান্ত্রিকতার নামান্তর!
প্রবাসীরা কাজ করেন নির্মাণ সাইটে, ফ্যাক্টরিতে, কৃষিক্ষেত্রে, গৃহপরিচারিকারূপেÑ অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে। একদিকে মালিক পক্ষের নিপীড়ন, অন্যদিকে নিয়োগকারী দেশের আইনগত দুর্বলতাÑ এই দুইয়ের মাঝখানে পড়ে যান শ্রমিকেরা। অনেকেই বেতন পান না, অনেকে মৃত্যুর পর ফেরত আসেন কফিনবন্দি হয়ে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ হয়ে আউটপাস নিয়ে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭০ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন এবং বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরে আসাদের এ সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে। ফেরত আসা শ্রমিকদের প্রতিজনের গড় ব্যয় ৫ লাখ টাকা ধরা হলে প্রবাসী পরিবারের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এসব অর্থ মূলত দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্টদের পকেটে গেছে। সবচেয়ে বেশি ফেরত পাঠানো হয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান ও কুয়েত থেকে। এতে যেমন প্রবাসী ও তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসার ঝুঁকিও বাড়ছে।
এমনিতেও এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশসহ মালয়েশিয়া বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, অবৈধ অভিবাসন ও অদক্ষ শ্রমশক্তি ছিল এর অন্যতম কারণ। এছাড়া অভিবাসীরা সেসব দেশে প্রতিশ্রুত কাজ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে রাস্তাঘাটে এমন সব কাজ করতেন, যা সেসব দেশের প্রচলিত আইনে বিধিসম্মত নয়। অনেকে বাধ্য হয়ে অনৈতিক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। আবার অনেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করেছেন কিংবা শ্রমশক্তি প্রয়োজন না থাকার পরও সেসব দেশে দালালদের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরাও মনে করছেন, বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো এসব কর্মী সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই বৈধ পথে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাওয়ার পর তাদের অনেকে বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারান। এরপর তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া বিদেশে অবস্থান অব্যাহত রেখেছিলেন। অনেকে প্রতারণার শিকার হয়েও এমন অবস্থায় পড়েন। আবার বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কাজ না পেয়ে ছয় মাসের মধ্যে দেশে ফেরার ঘটনা রয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) মতে, দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন খাতকে নিয়মের মধ্যে আনা যায়নি। এটি একটি শ্রেণীর কাছে অর্থ লুটপাটের উপায়।
এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
অভিবাসন প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি স্বচ্ছ, নিরীক্ষিত এবং প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে, যাতে প্রতিটি শ্রমিক নিজের ভিসা, চাকরির চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্সির তথ্য এবং খরচ যাচাই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, বিদেশে কাজের নিশ্চয়তা ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোকে আরো সক্রিয় হতে হবে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায়। এছাড়া রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা প্রয়োজন। প্রতি বছর নির্দিষ্টসংখ্যক এজেন্সির কার্যক্রম মূল্যায়ন করে তাদের লাইসেন্স নবায়ন বা বাতিল করা যেতে পারে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যারা এ খাত তদারকি করবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












