মন্তব্য কলাম
ব্যবসা গোটাচ্ছে হাজার হাজার বড় বড় কোম্পানী মূল চালিকা শক্তি ব্যবসায়ীদের মাঝে গভীর হতাশা আর অসন্তোষ জীবন-যৌবন, শ্রমের বিনিময়ে কারখানা গড়ে তুলে এখন বাড়ি-গাড়ি ও গহনা বিক্রি করে শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে যা ব্যবসায়ীদের জন্য বিধ্বস্ত অবস্থা
সমালোচক মহল বলছেন- সরকার চাচ্ছে দেশের বড় বড় ব্যবসা সব বন্ধ হোক আরো বেশী করে চালু হোক ক্ষুদ্র ব্যবসা- তথা কুখ্যাত ক্ষুদ্র ঋণের সুদী ব্যবসা ক্ষুদ্রঋণকে আরো মোহময়ী মোড়কে আবৃত করে বলা হচ্ছে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থা করা হচ্ছে সুবিধাবাদী তথা ষড়যন্ত্রী আইন
, ২৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বন্যার প্রভাবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে শিল্প, পর্যটন, কৃষি ও সেবা খাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন শ্রম অসন্তোষের কারণে দেশের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরো বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন কারণে গত দুই মাসে সিটি গ্রুপ, বিএসআরএম, ইউএস-বাংলাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গ্রুপের দেড় শতাধিক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮৩টি কোম্পানী পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের যে ধারা, তাতে বিশ্লেষকরা একে কিছুটা অস্বাভাবিক বলছেন। কারণ গত অর্থবছরে ২৭৫টি বন্ধ করা হলেও এ অর্থবছরের গত তিন মাসের যে ধারা তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে অর্থবছর শেষে এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে।
এ অবস্থায় ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি না হলে আরো কোম্পানী বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। এমনকি বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ না থাকায় নতুন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ৪১ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, এলসি নেই, নতুন করে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে না, শ্রমিক অসন্তোষসহ পরিবেশ না থাকায় অনেক ছোট-বড় শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দেয়ায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। গত কয়েকমাসে প্রায় ৫০টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা নানা দাবিতে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে রাখছে। কোথাও রাস্তা এবং কারখানা বন্ধ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে দেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ কাগজে-কলমে বাড়লেও পোশাকের দামসহ নানা ছাড় দিয়ে রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে কারখানা মালিকরা। একই সঙ্গে রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার অন্যতম মাধ্যম চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নেই। আমদানি-রফতানি বন্ধ প্রায়। চীন থেকে ১৪ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে কাঁচামাল আসছে কিন্তু ঢাকায় পণ্য আসতে লাগছে ১৮ দিন। এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে গত সপ্তাহ থেকে কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তারা। এতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে কিছুটা বিঘœ ঘটছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে লাগাতার অসহযোগিতা করার কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ঐক্য পরিষদ। সবকিছু যেন হ-য-ব-র-ল।
এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে ‘নতুন ঋণ’ চাহিদা নেই। অধিকাংশ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে। ব্যাংকগুলো নিয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের অমূলক বক্তব্যে বিপাকে রয়েছে এক ডজন ব্যাংক। ব্যাংক মালিকদের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে লোক বসিয়ে ব্যাংকগুলোকে আরো দুর্বল করা হয়েছে। ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা ‘ড্যাপ’ বাস্তবায়নের নামে আবাসন খাতে ধস নামানো হয়েছে। জমি বিক্রি নেই, মানুষের হাত খালি, অর্থের প্রবাহ নেই। ছোট ছোট মুদি দোকান পর্যন্ত বন্ধ করে দিচ্ছে দোকানীরা। মোট কথা, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিবস্থা চলছে।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার হাসিনার ভারতে পলায়ন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকা-ে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ও বিনিয়োগে মন্দার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আর এর মধ্যেই ‘সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ’ করার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। শ্রম উপদেষ্টার এ বক্তব্যে দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য ভয়াবহ সঙ্কেতও। তাদের মতে, সরকার কি তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে চায়। আর যদিও সবকিছু বিক্রি করে বেতন পরিশোধই করে তাহলে ব্যাংকের ঋণও যাতে পরিশোধ করে দেয় সরকার।
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে পোশাকশিল্পের মালিকদের গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করার ঘোষণা এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জীবন-যৌবন, শ্রমের বিনিময়ে কারখানা গড়ে তুলে এখন বাড়ি-গাড়ি ও গহনা বিক্রি করে শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে যা ব্যবসায়ীদের জন্য দুর্ভাগ্য। অত্যন্ত কষ্টের ও লজ্জার। এই লজ্জা থেকে ব্যবসায়ীরা পরিত্রাণ চায়। একাধিক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমানতকারীর শত বা হাজার কোটি টাকা থাকলেও কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা। সম্প্রতি ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এই খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা এখনো বিদ্যমান রয়েছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা আমানতকারী ফেরত পাবেন। আর ব্যবসায়ীদের জন্য সারা জীবনের অর্জন এবং বাড়ি-গাড়ি ও গহনা বিক্রি করে পরিশোধ করতে হবে।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা বন্দর চালু না থাকলে পোশাকশ্রমিকের বেতন-ভাতার দায়িত্ব নেবেন না মালিকরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদ আসছে। এখনো চট্টগ্রাম বন্দরে কাজ হচ্ছে না। আমাদের আমদানি-রফতানি হচ্ছে না। চীন থেকে ১৪ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে কাঁচামাল আসছে কিন্তু ঢাকায় পণ্য আসতে লাগছে ১৮ দিন। তাহলে আমরা কীভাবে ব্যবসা করব?
সরকারকে উদ্দেশ্য করে ব্যবসায়ীরা বলেন, আপনাদের অনেক ইস্যু আছে, সংস্কার করুন, কিন্তু আমাদের কবর দিয়ে নয়, শিল্প ধ্বংস করে নয়। তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। আমদানি-রফতানি সচল রাখতে হবে। তা না হলে ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়ার দায়িত্ব শিল্পের মালিকরা নিতে পারবেন না। আমাদের রফতানি হবে না। কনটেইনার রাস্তায় পড়ে থাকবে। তাহলে আমরা কোথায় টাকা পাব? কোথা থেকে শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেব?
ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে পোশাকশিল্পের মালিকদের গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অত্যন্ত কষ্টের ও লজ্জার। এই লজ্জা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। সে জন্য যেসব শিল্পমালিক পারবেন না, তাদের নিরাপদে প্রস্থানের নীতি (এক্সিট পলিসি) প্রণয়নে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলছি।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, শ্রমিকদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধে শ্রম উপদেষ্টার বক্তব্য ব্যবসায়ীদের জন্য মারাত্মক সঙ্কেত। এই বার্তা শিল্পের জন্য খুবই খারাপ হয়েছে। একজন ব্যবসায়ী জীবন-যৌবন, শ্রম, আয়-রোজগার সবকিছু দিয়েই একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। আর তা বিক্রি করে শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, ব্যাংক দেউলিয়া হলে আইন অনুযায়ী যত বড় অঙ্কের টাকাই ব্যাংকে গচ্ছিত থাকুক আগে আমানতকারী ১ লাখ টাকা পেত। যা এখন দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। অথচ ব্যবসায়ীদের জন্য স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে হবে। যা একই দেশে ভিন্ন নীতি বলে উল্লেখ করেন তারা।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অনেক উদ্যোক্তার তীব্র ক্ষোভ এভাবেও প্রকাশ হচ্ছে যে সরকার যেন চাচ্ছে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাক। শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে তাদের নানা সমস্যা, অসহায়ত্ব ও হতাশার কথা জানিয়েছে। তাদের ভাষায়, সরকার সুষ্ঠু পরিবেশ-পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না দিলে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
শিল্পকারখানা গতিশীল ও বাঁচিয়ে রাখতে উৎপাদন খাতে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। যত দিন যাচ্ছে, এগুলো দুর্বল হচ্ছে। সবাই সহায়তার কথা বলছেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না ঘটলে পর্যায়ক্রমে তালা ঝুলবে অসংখ্য শিল্পকারখানায়। বেকারত্ব বাড়বে। মুখ থুবড়ে পড়বে জাতীয় অর্থনীতি। এর মধ্যেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সব প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি কমে গেছে।
ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি- এসব কিছুর প্রভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানই পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারছে না। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো নতুন সংযোগে গ্যাসের দাম বেড়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রেসক্রিপশনে বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে নানামুখী সংকট, বিশৃঙ্খলা ও অসহযোগিতার প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে শিল্পবাণিজ্য টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাভিশ্বাস উঠছে উদ্যোক্তাদের।
ক্ষুদ্রঋণকে আরো মোহময়ী মোড়কে আবৃত করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাল্টে যাচ্ছে ক্ষুদ্রঋণসংক্রান্ত আইন। আইনে ‘ক্ষুদ্রঋণ’ শব্দটিই আর থাকছে না। বদলে হচ্ছে ‘ক্ষুদ্র অর্থায়ন’। বিদ্যমান ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি-এমআরএ) রয়েছে, সেই নামেরও বদল হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ক্ষুদ্র অর্থায়ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এসব পরিবর্তনসহ আরও কিছু পরিবর্তন নিয়ে এমআরএ আইন-২০০৬ এবং এমআরএ বিধিমালা-২০১০ নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
ক্ষুদ্রঋণ আর আগের জায়গায় না রেখে আরো অনেক বড় করার পায়তারারায় প্রচারনা চালানো হচ্ছে ক্ষুদ্র অর্থায়নের।
ক্ষুদ্রঋণের তল্পীবাহকরা প্রচারণা চালাচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের বদলে ক্ষুদ্র অর্থায়নের যুগে এসেছি আমরা। আইন ও বিধিমালা পরিবর্তনের এ উদ্যোগ হচ্ছে ক্ষুদ্র অর্থায়নের চাহিদা বৃদ্ধির পায়তারা। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার মধ্যে আটকে না থেকে এখন সর্বগ্রাসী হবার ষড়যন্ত্র করছে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












