সম্পাদকীয়-২
ভারতকে উপলব্ধি করতে হবে ভারতের সেবাদাস আর ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে বাংলাদেশের মানুষ কত ঘৃণা করে। বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য মানুষ কিভাবে শাহাদাতকে কবুল করে সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেয়া আর চলবে না
, ১০ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমানা নির্ধারণ ও উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব পালন-সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মোট চারটি চুক্তি আছে। বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম সীমান্ত নির্দেশাবলি-১৯৭৫ অনুযায়ী, উভয় দেশের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যে-কোনো কাজ সম্পন্নের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের প্রয়োজনে শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে যে-কোনো উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্নের ক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ”
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার স্থানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে এবং ৮৮৫ কিলোমিটার স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াই থাকা উচিত নয়। তারপরও তারা নির্মাণ করছে। সেটা নিয়ম মেনে শূন্য রেখার ১৫০ গজের বাইরেই করা উচিত। কিন্তু ভারত সেটা মানছে না।
কিশোরী ফেলানী থেকে চা-শ্রমিক পারভেজ, বাঙালি আবালবৃদ্ধবণিতাসহ কোমলমতি শিশু-কিশোরদের প্রাণ কেড়ে নিতে বিন্দুমাত্র মায়া করেনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। কেউ বিপদে পড়লে বাঁচার আকুতিতে চিৎকার দেয়, বেড়িয়ে আসে অগণিত সাহায্যের হাত। আবার কারো চিৎকার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। সীমান্তের নিরাপত্তায়, কাঁটাতার চোরাচালান আর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যতটা ভূমিকা রেখেছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ নির্মমভাবে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধে দায়িত্ব পালন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে, তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার সীমান্তের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের মধ্যেও কোনও কোনও জায়গায় ভারতকে স্থাপনা বসানোর অনুমতি দেয় - যা ভারতের জন্য বেড়া লাগানোর কাজ সহজ করে তুলেছিল।
উইকিপিডিয়ায় উল্লেখিত একটি পরিসংখ্যান স্পষ্ট বলে দেয়, কাঁটাতারের পূর্বে ও পরের পরিস্থিতি কেমন ছিল। সীমান্তের নিরাপত্তায় কাঁটাতার নির্মাণের পূর্বে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তথা ১৮ বছরে সীমান্তে মোট ৩৩৮ জন নিহত হয়েছে। আসাম শান্তি চুক্তির পর ১৯৮৯ সাল থেকে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া শুরু হয় তবে পূর্ণাঙ্গ শেষ না হলেও এরই মাঝে ১৯ বছরে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১১৪ জন। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিসি কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সীমান্তে নিহত সংখ্যা ৬০৭ জন। এখন বলতেই হয়, সীমান্তের কাঁটাতার চোরাচালান আর অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ফাঁদ, না শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের মারার (মৃত্যু) ফাঁদ? সাম্প্রতিক সময়ে নওগাঁর ধামুইরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট পাটগ্রাম সীমান্তে, প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টা, সিলেটের বিয়ানী বাজারের গোঁজকাটা সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদ পুনর্নির্মাণে বাধা। সব কিছুই আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন উপেক্ষা করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ করে যাচ্ছে। তবে বুক উঁচু করেই বলতে হয় ভারতের সব অপচেষ্টাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও সংগ্রামী জনতা। বীরত্বগাঁথা এই জাতির সাথে কেউ পায়ে পা দিয়ে বিবাদ করতে চায় তাহলে ছাড় দিলেও ছেড়ে দিবে না। ‘জীবন দিতেও রাজি আমার দেশের এক ইঞ্চি মাটিও দখল করতে দিব না’- চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাধারণ এক কৃষকের সংগ্রামী কণ্ঠই এর জলন্ত উদাহরণ।
ভারতকে এখন উপলব্ধি করতে হবে যে তাদের সেবাদাস হাসিনা সরকারকে তথা ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে বাংলাদেশের মানুষ কতটা ঘৃণা করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ মানুষ কীভাবে শহীদ হতে পারে?
কাজেই এ চেতনাকে উপলব্ধি করে সাবধান থাকতে হবে- সীমান্তে কাটাতারের বেড়া আর নয়।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












