সম্পাদকীয়-২
ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার করায় হারিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের নদী পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষির ক্ষতি হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পাকিস্তানের কাছে ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি ভারতের কাছেও বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশের এবং কৃষির তথা জীবন জীবিকার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ বিলিয়ন ডলার চাইতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ভারত উজানে ব্যারেজ নির্মাণের মাধ্যমে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ তিস্তা নদী শুকিয়ে গেছে। বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা করতোয়া নদীও পানির অভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। রংপুরের পীরগাছার আলাইকুড়ি নদী পরিণত হয়েছে মরা খালে। কালের আবর্তনে মরে যাচ্ছে গঙ্গাচড়ার ঘাঘট নদী। বদরগঞ্জ উপজেলার মরা নদী দখলদারদের কবলে পড়ে পুরোপুরি অস্তিত্ব হারিয়েছে।
নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মৎস্যজীবী বেকার হয়ে পড়েছেন। নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব নদী খনন করা হলে কৃষি ও মৎস্য খাত উপকৃত হবে। ঘাঘট নদীর উৎপত্তি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে। এটি রংপুর সদর হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরে যমুনায় মিলিত হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে শুকিয়ে গিয়ে দখলদারদের কব্জায় চলে গেছে। একসময় যে নদীতে পালতোলা নৌকা চলত, এখন সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে।
ভারত উজানে বাঁধ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার করায় মারাত্মক নাব্যতা সঙ্কটে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের প্রায় সকল নদ-নদী। নাব্যতা হারিয়ে দখলদারদের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলের শতাধিক নদ-নদী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদীগুলোর মধ্যে ৫ থেকে ৬টি বাদে প্রায় সবক’টি নদীই এখন মৃত প্রায়। এসব নদীতে এখন কোন নাব্যতা নেই। নাব্যতার অভাবে ইতোমধ্যে অস্তিত্বও হারিয়ে ফেলেছে। ফলে এসব নদীতে জীবিকা নির্বাহকারী অসংখ্য জেলে পরিবার তাদের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছে। ৯০’র দশকেও এসব নদীর বুকে পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। পারাপারেও ব্যবহার হত ডিঙ্গী নৌকাসহ বড় বড় নৌকা। জেলেরা মাছ ধরত দিন-রাত। অথচ মাত্র ২০ থেকে ২৫ বছরে পানির অভাবে এসব নদী এখন অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এসব নদীতে এখন মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। নদীর বুকে চাষাবাদ করছে। সর্বকালের সর্বনিম্ন পানি প্রবাহ এখন তিস্তায়।
ভারত উজানে ব্যারেজ নির্মাণের মাধ্যমে এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ এই নদী শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়েছে। পানি না থাকায় নদীর বুক চিরে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা করতোয়া নদীও এখন পানির অভাবে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। কোথাও নেই আগের সেই পারাপারের ডিঙ্গি নৌকা কিংবা পালতোলা নৌকা।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার উপর দিয়ে এক সময় প্রবাহিত আলাইকুড়ি নদী এখন পরিণত হয়েছে মরা খালে। কালের আবর্তনে মরে যাচ্ছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদী। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মরা নদী এখন অস্তীত্বহীন। দীর্ঘদিন পানি শুন্য থাকায় এটি দখলদারদের কবলে পড়ে এখন পুরোপুরি অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এ নদীর বুকে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। এখন শুধু স্মৃতির পাতায় রয়েছে এ নদী। আর কয়েক বছর পর হয়তো স্মৃতির পাতা থেকেও হারিয়ে যাবে এই নদী।
আন্তর্জাতিক নদী শাসন আইনকে অমান্য করে একতরফা ভাবে ভারতীয় নদী শাসনের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মানচিত্র থেকে ৫৭টি নদী হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত নদীগুলোর উপর ভারতের একের পর এক বাঁধ দেয়ায় নদীগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
গত ১৮ই এপ্রিল দুদেশের সম্পর্ক মজবুত করতে পাকিস্তানকে অমীমাংসিত ঐতিহাসিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে বলেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে একাত্তরে গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার পাওনা চেয়েছে সরকার।
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে একইভাবে ভারতের কাছেও বাংলাদেশের নদীগুলো মৃত ও বিপন্ন করার জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে বাংলাদেশকে। সরকারী এবং বেসরকারীভাবে যুগপৎ এ আওয়াজ বুলন্দ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












