মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক (২)
, ১৪ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত খলীফা মনোনীত হন। এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যখন খুব অসুস্থ, তখন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে বললেন, আপনি লিখুন- “আমার পরে আমি খলীফা মনোনীত করলাম.....। ” এই কথা মুবারক বলে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি নিজেই সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক যোগ করে বাক্যটি পূর্ণ করলেন। যেহেতু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত খলীফা হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছেন। তাই সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক লিখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হুঁশ মুবারক ফিরলেন, তখন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আপনি কি লিখেছেন তা আমাকে পাঠ করে শুনান। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহসি সালাম তিনি পাঠ করে শুনালেন, “আমি হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব ইবনে কুহাফা আলাইহিস সালাম- আমার পরে মহাসম্মানিত খলীফা মনোনীত করলাম- ফারূক্বে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহি সালাম উনাকে। ” সুবহানাল্লাহ!
এটা শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি খুব খুশি হলেন এবং বললেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম! আপনি আমার মনের কথাটাই লিখেছেন। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যাম আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের জন্য দোআ মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
মুনাজাত শেষে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনার ওসিয়তনামাকে মোহরাঙ্কিত করেন এবং তার অনুলিপি বিভিন্ন এলাকায় প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্তগণ উনাদের নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অতঃপর তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহসি সালাম উনাকে ডাকলেন এবং উনাকে অবহিত করলেন যে, তিনি উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের উপর মহাসম্মানিত খলীফা মনোনীত করে গেলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহসি সালাম তিনি আরয করলেন, ‘হে খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমাকে এই দায়িত্ব দিবেন না। কারণ খিলাফতের আমার কোনোই প্রয়োজন নেই। ’ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি জবাবে বললেন, ‘কিন্তু আপনাকে খিলাফতের প্রয়োজন রয়েছে। ’ সুবহানাল্লাহ! (ইযালাতুল খফা)
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত খলীফা মনোনীত করার পর লোকজন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিকট এসে বললেন, আপনি অতিশ্রীঘই মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারক-এ চলে যাবেন। কিন্তু আপনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জালালী তবীয়তের কথা জানা সত্ত্বেও যে উনাকে মহাসম্মানিত খলীফা মনোনীত করলেন, তাহলে আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কি জবাব দিবেন? জবাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন,
أجلسوني أجلسوني أقول وليت عليهم خيرهم
‘তোমরা আমাকে বসাও, তোমরা আমাকে বসাও। আমি জবাব দিবো যে, দুনিয়ার যমীনে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক ছিলেন, উনাকে আমি মহাসম্মানিত খলীফা মনোনীত করেছি। ” সুবহানাল্লাহ! (আর রিয়াদ্বুন নাদ্বরা, ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন, গুনিয়াতুত ত্বালিবীন ইত্যাদি)
কাজেই, সম্মানিত মুসলমান উনাদের একমাত্র শাসন ব্যবস্থা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক পরিচালনা করেছেন। তাই সম্মানিত মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে কাফিরদের প্রবর্তিত হারাম গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি সমস্ত মতবাদ ছেড়ে দিয়ে উনাদের অনুসরণে সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার কোশেশ করা। সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা কায়িনাতবাসী সকলের নিকট এই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন যে, দুনিয়ার যমীনে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক থাকবেন, উনিই মহাসম্মানিত খলীফা হবেন। সুবহানাল্লাহ! সাধারণ কোনো লোক খলীফা হতে পারবে না।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৪)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৩)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (২)
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (১)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)