মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের বেমেছাল ফযীলত মুবারক (১২)
, ২১শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ৩০শে মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
নফসের অনুসারী ব্যক্তি অশ্লীল-অশালীন ও শরীয়তের খিলাফ কার্যকলাপের উপরই দৃঢ় থেকে তওবা করা ব্যতিত মারা যাওয়ার পরেও সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে জান্নাত লাভ এবং জান্নাতে অত্যন্ত সুখ-শান্তিতে অবস্থান :
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
ان امرأة كان لها ولد مسرف على نفسه وكانت تامره بالخير وتنهاه عن الفحشاء والمنكر وفى رواية اخرى وكانت تأمره بالتوبة فلم يفعل والقضاء والقدر غالبان عليه، فمات وهو مصر على ما كان عليه فحزنت عليه أمه حزنا شديدا حيث مات على غير توبة فتمنت أن تراه في المنام فرأته وهو يعذب فازدادت عليه حزنا فلما كان بعد مدة رأته وهو على هيئة حسنة في فرح وسرور فسألته عن حاله وقالت ياولدى إني رأيتك تعذب فبم نلت هذه المنزلة فقال يا أماه اجتاز رجل مسرف على نفسه بالتربة التي أنا فيها فنظر إلى القبور وتفكر فى البعث والنشور واعتبر بالموتى فبكى على زلته، وندم على خطيئته وتاب إلى الله عز وجل، وعقد التوبة معه أن لا يعود ففرحت بتوبته ملائكة السماء في الله ما أحسن الصلح مع الحبيب ثم إنه لما تاب وعلم الله صدق توبته وتاب عليه قرأ شيئا من القرآن وصلى على النبي صلى الله عليه وسلم عشرين مرة وأهدى ثوابها لأهل التربة التي أنا فيها فقسم ثوابه علينا فنالنى من ذلك خير فغفر الله لى به وحصل لى من الخير ما ترين فاعلمى يا أماه أن الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم نور فى القلوب، وتكفير الذنوب ورحمة للأحياء والأموات
অর্থ: “একজন মহিলার একটি ছেলে ছিলো। সে ছেলেটি নফসের অনুসরণ করতো। ঐ মহিলা ছেলেটিকে সৎকাজের আদেশ করতেন এবং আশ্লীল-অশালীন ও শরীয়তের খিলাফ কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকতে বলতেন। অন্য বর্ণনায় তিনি তাকে তাওবা করার জন্য বলতেন। কিন্তু সে তাওবা করতো না। ফায়ছালা ও নিয়তি তার উপর প্রবল হলে অর্থাৎ মৃত্যুর সময় ফুরিয়ে এলে সে অশ্লীল-অশালীন ও শরীয়তের খিলাফ কার্যকলাপের উপরই দৃঢ় থেকে মৃত্যুবরণ করে। সে তাওবা করা ব্যতীত মারা যাওয়ায় তার মা অত্যন্ত চিন্তিত হন। এরপর তার মা তাকে স্বপ্নে দেখার জন্য অকাঙ্খা করেন। অতঃপর তার মা স্বপ্নে দেখেন তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এটা দেখে তার মা তার ব্যাপারে আরো বেশি চিন্তিত হন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার মা তাকে আবার স্বপ্নে দেখেন যে, সে উত্তম অবস্থায় অত্যন্ত খুশি ও সুখ-শান্তিতে রয়েছে। তখন তার মা তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বলে, ‘হে আমার প্রিয় সন্তান! (কিছুদিন আগে) আমি স্বপ্নে দেখেছি তোমাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এখন তুমি এই মর্যাদা কিভাবে লাভ করলে?’ তখন ছেলেটি বললো, ‘হে আমার সম্মানিতা মাতা! নফসের অনুসারী এক ব্যক্তি আমি যেই মাটিতে (কবরস্থানে) রয়েছি সেখান দিয়ে অতিক্রম করছিলো। তখন সে কবরস্থানের দিকে তাকিয়ে পুনরুত্থান ও হাশর-নশরের বিষয়ে চিন্তা করে এবং মৃতব্যক্তিদের থেকে ইবরত-নছীহত গ্রহণ করে। অতঃপর তার পদস্খলনের জন্য অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত থেকে বিমুখ হয়ে যাওয়ার কারণে সে কান্না করে এবং সে তার গুনাহ্-খতার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তওবা করে। আর তওবা করার সাথে সাথে সে সংকল্প করে যে, সে আর পাপাচার ও শরীয়ত গর্হিত কাজে ফিরে যাবে না। তার তওবার কারণে আসমানের হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আনন্দিত হন। আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব উনার সাথে কতইনা উত্তম সন্ধি! অতঃপর যখন তিনি তওবা করলেন আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার তওবার সত্যতা জানলেন এবং উনার তওবা ক্ববূল করলেন। তখন ঐ ব্যক্তি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার কিছু অংশ তিলাওয়াত করলেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ ২০ বার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করলেন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলেন। আর সেই নেকী আমি যেই মাটিতে রয়েছি, সেই মাটির অধিবাসীদের জন্য অর্থাৎ কবরবাসীদের জন্য হাদিয়া করে দেন। উনার সেই নেকী আমাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হয়। আমার নিকটও সেই খায়ের-বরকত উনার হিস্সা পৌঁছেন। সেই কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর আমার এই উত্তম অবস্থা অর্জিত হয়েছে, যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন।
فاعلمى يا أماه أن الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم نور فى القلوب وتكفير الذنوب ورحمة للأحياء والأموات
কাজেই হে আমার সম্মানিতা মাতা! আপনি জেনে রাখুন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করা অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা অন্তরের নূর স্বরূপ, গুনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং জীবত-মৃত সকলের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক স্বরূপ।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়াযীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ ‘মুত্বহ্হার’ (পূত-পবিত্র) এবং ‘মুত্বহহির’ (পূত-পবিত্রতাদানকারী) বলতে হবে।
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বিষয়ে সম্মানিত ও পবিত্র বিশেষ আয়াত শরীফ
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ ও মদীনা শরীফে দূরভিসন্ধিকারীদের ধ্বংস অত্যাবশ্যকীয় (১)
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুয়াল্লিমীন, মুত্ত্বালা’ আলাল গইব, ছাহিবুল ক্বলম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক হিদায়েত ও তা’লীমের পদ্ধতি (১)
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে দেশের সরকার ও যে দেশের মানুষ- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাপবিত্র ১২ই শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও তা’যীম-তাকরীম করবে,
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার আখাছছুল খাছ তাওয়াল্লুক নিসবত ব্যতীত হাক্বীক্বী ইলিম অর্জন করা কখনোই সম্ভব নয় (১)
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই যিলক্বদ শরীফ
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক হাদিয়া
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক এবং বিশেষ নৈকট্য মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন (৪)
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
১৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)