মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৭)
, ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করণ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক প্রদান:
হুজ্জাতুদ্দীন হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহম্মদ ইবনে যুফার মাক্কী ছিক্বিল্লী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
سَمِعْتُ يُوسُفَ بنَ عَلِيِّ بنِ زُرَيْقٍ الشَّامِيِّ الاَصْلِ المِصْرِي المَوْلِدِ الحَجَّارِ بِمِصْرٍ فِي مَنْزِلِهِ بِهَا حَيْثُ يَعْمَلُ مَوْلِدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: رَأيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي المَنَامِ مُنْذُ عِشْرِيْنَ سَنَةً وَ كَانَ لِي اَخٌ فِي اللهِ تَعالي يُقَالُ لَهُ الشيخ ابوبكر الحَجَّار فَرَأيْتُ كَاَنَّنِي وَ اَبابَكْرٍ هَذَا بَيْنَ يَدَي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم جَالِسِيْنَ فَاَمْسَكَ اَبُوبَكْرٍ لِحْيَةَ نَفْسِهِ وَ فَرَقَهَا نِصْفَيْن وَ ذَكَرَ للنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَلاماً لَمْ اَفْهَمْهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُجِيْباً لَهُ لَوْلا هَذَا لَكَانَتْ هَذِهِ فِي النَّارِ وَ دَارَ اِلَيَّ وَ قَالَ: لاَضْرِبَنَّكَ وَ كَانَ بِيَدِهِ قَضِيْبٌ فَقُلْتُ لاَيِّ شَئٍ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَقَالَ حَتَّي لاتُبْطِلُ المَوْلِدَ وَ لا السُّنَنَ قَالَ يُوسُفُ فَعَمِلْتُهُ مُنْذُ عِشْرِيْنَ سَنَةً اِلَي الانِ قَالَ وَ سَمِعْتُ يُوسُفَ المَذْكُورَ يَقُولُ سَمِعْتُ اَخِيْ اَبَابَكْرِ الحَجَّارَ يَقُولُ سَمِعْتُ مَنْصُوراً النَّشَّارَ يَقُولُ رَأيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي المَنَامِ يَقُولُ لِي قُلْ لَهُ لا يُبْطِلْهُ يَعْنِي المَوْلِدَ مَا عَلَيْكَ مِمَّنْ اَكَلَ وَ مِمَّنْ لَمْ يَأكُلْ
অর্থ: “আমি শুনেছি, হযরত ইমাম ইউসুফ ইবনে আলী ইবনে যুরাইক শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি- যিনি মূলত মিশরীয় ছিলেন এবং মিশরের হাজ্জার নামক স্থানে বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছেন। সেখানে তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন, এই উপলক্ষে বিশেষ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম করতেন, তিনি বলেছেন, ‘বিশ বছর যাবৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি স্বপ্নে দেখছি। সুবহানাল্লাহ! হযরত শায়েখ আবূ বকর হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে আমার একজন দ্বীনী ভাই ছিলেন। একবার আমি স্বপ্নে দেখি- আমি এবং আমার দ্বীনী ভাই এই আবূ বকর হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ আমরা দুজন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মুখে বসে আছি। হযরত আবূ বকর হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বীয় দাড়ি ধারণ করে তা দুই ভাগে বিভক্ত করলেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কিছু কথাবার্তা মুবারক বললেন, যা আমি বুঝতে পারিনি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার কথার জবাবে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যদি এটি না হতো, তাহলে এটি জাহান্নামে নিপতিত হতো।’ আর তিনি আমার দিকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন ‘আমি তোমাকে প্রহার করবো।’ তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মধ্যে একখানা ডাল বা লাঠি মুবারক ছিলেন। আমি বললাম- ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কি কারণে আপনি আমাকে প্রহার করবেন?’ জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যাতে আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাওলিদ শরীফ বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক বন্ধ না করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারকসমূহ ছেড়ে না দেন।’ সুবহানাল্লাহ! হযরত ইমাম ইঊসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘তাই আমি বিগত বিশ বছর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক করে যাচ্ছি।’ সুবহানাল্লাহ! হুজ্জাতুদ্দীন হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহম্মদ ইবনে যুফার মাক্কী ছিক্বিল্লী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি এই হযরত ইঊসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি, আমি আমার দ্বীনী ভাই আবূ বকর হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি হযরত মানছূর নাশ্শার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, ‘আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আপনি উনাকে অর্থাৎ এই হযরত ইঊসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলে দিন যে, তিনি যেন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক করা এবং এই উপলক্ষে বিশেষ মেহমানদারী করে খাদ্য খাওয়ানোর বিষয়টি ছেড়ে না দেন। যার ইচ্ছা এই মাহফিল মুবারক উনার সম্মানিত তাবারুক গ্রহণ করবে আর যার ইচ্ছা সম্মানিত তাবারুক গ্রহণ করবে না, এর প্রতি আপনার লক্ষ্য রাখার দরকার নেই’।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৩৬৩)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৫)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪০)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৯)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী হুলিয়া মুবারক (৪র্থ পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৮)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












