মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(১)
, ৮ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৯ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২২ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى حَضْرَتْ وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَعْدُ
যিনি খ্বালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মু’মিন বলতে একমাত্র যিনি খ্বালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই উদ্দেশ্য। সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলেই মু’মিন। উনারা প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! কোনো হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক দেয়া হয়নি, কোনো হযরত রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত রিসালাত মুবারক দেয়া হয়নি; যতক্ষণ পর্যন্ত না উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনার পরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িানাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
اِنَّ الْـجَنَّةَ تَـحْتَ اَقْدَامِ اُمَّهَاتِكُمْ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সম্মানিত জান্নাত মুবারক তোমাদের সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। ” সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় এসেছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رِضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْـجَنَّةُ تَـحْتَ اَقْدَامِ الْاُمَّهَاتِ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। ” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উছ ছগীর ১/৫৬৩, আল কুনা ওয়াল আসমা’ ৩/১০৯১, মুসনাদে শিহাব ১/১০২, আল জামি’ লিল খত্বীব বাগদাদী ৪/৪৬১, আল ফাওয়াইদ লিআবী শায়েখ ইস্পাহানী ১/২৬, আত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৮১, মূজিবাতুল জান্নাহ্ ১/১১০, ফায়যুল ক্বদীর ৩/৪৭৭, আদ দুররুল মুনতাছিরাহ লিস সুয়ূত্বী ১/৯, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ২/৬২, জামি‘উল আহাদীছ ১২/৮০, দায়লামী শরীফ ২/১১৬, কাশফুল খফা ১/৩৩৫, কানযুল ‘উম্মাল ১৬/৪৬১, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/১১৬০৭, ইহইয়াউ ‘উলূমিদ্দীন, মিরক্বাত শরীফ ইত্যাদি)
অর্থাৎ সন্তানদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র যিনি খ্বালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আর বর্ণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী যিনি খ্বালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই সম্মানিত জান্নাত মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনাদের নিচে। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু যিনি খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ!
তাই, মহাসম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হচ্ছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাঙ্গচিত্র যারা করবে, উনাদের মানহানী যারা করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ-। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেনো। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এই মৃত্যুদন্ডথেকে রেহাই পাওয়ার তাদের কোনো সুযোগ নেই এবং এই বিষয়ে কোনো প্রকার ওযর-আপত্তিও গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়; তাদেরকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদন্ডদিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য হুকুম অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে যন্ত্রণাদায়ক ও লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি দিয়ে মৃত্যুদন্ডদিতে হবে। এ প্রসঙ্গে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَلْعُونِينَ أَيْنَمَا ثُقِفُوا أُخِذُوا وَقُتِّلُوا تَقْتِيلًا
অর্থ: “লা’নতগ্রস্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই পাকড়াও করা হবে এবং অবশ্যই তাদেরকে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ডদেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)
এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও শরঈ একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান, ছোট-বড়, সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন উপরোক্ত বিষয়ে ইলিম অর্জন করে নিজের সম্মানিত ঈমান হিফাযত করা।
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১১)
লাত মূর্তি ধ্বংস করার নির্দেশ মুবারক:
১ম দলীল
তায়েফের সম্মানিত জিহাদ মুবারক সংঘটিত হওয়ার পর সাক্বীফ গোত্রের লোকজন যখন মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল এই যে,
اَنْ يَّدَعَ لَهُمُ الطَّاغِيَةَ وَهِىَ اللَّاتُ لَا يَهْدِمُهَا ثَلَاثَ سِنِيْنَ فَاَبٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَمَا بَرِحُوْا يَسْاَلُوْنَهٗ سَنَةً سَنَةً وَيَأْبٰى عَلَيْهِمْ حَتّٰى سَاَلُوْهُ شَهْرًا وَاحِدًا بَعْدَ قُدُوْمِهِمْ فَاَبٰى عَلَيْهِمْ اَنْ يَّدَعَهَا شَيْئًا مُّسَمّٰى
‘তায়েফবাসীদের ‘লাত’ নামক মূর্তিটি তিন বছর পর্যন্ত যেন না ভাঙ্গা হয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। তারপরও উনারা এক বছর এক বছর করে কমিয়ে মূর্তিটি না ভাঙ্গার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরযী পেশ করতে থাকেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের এই প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করলেন। পরিশেষে উনারা উনাদের আগমনের পর মাত্র এক মাস মূর্তিটি রেখে দেওয়ার জন্য আরযী পেশ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উল্লেখিত কোনো মেয়াদেই উনাদের জন্য মূর্তিটি রেখে দিতে অস্বীকার করলেন। ’
২য় দলীল
সবশেষে উনারা যখন নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন,
اَرْسَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمُ حَضْرَتْ اَلْمُغِيْرَةَ بْنَ شُعْبَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ اَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ لِيَهْدِمَا الطَّاغِيَةَ (اَللَّاتُ) فَتَقَدَّمَ حَضْرَتْ اَلْمُغِيْرَةُ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَهَدَمَهَا
‘তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সাথে হযরত মুগীরাহ্ ইবনে শু’বাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে ‘লাত’ নামক মূর্তিটি ভাঙ্গার জন্য প্রেরণ করেন। হযরত মুগীরাহ্ ইবনে শু’বাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অগ্রসর হয়ে মূতিটি ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন। ” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত দলীলের মাধ্যমে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত মূর্তি ও মূর্তির সংশ্লিষ্ট সবকিছু ধ্বংস করেছেন এবং ধ্বংস করতে শক্ত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পর সমস্ত মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলেছিলেন এবং ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করার আদেশ মুবারকও করেছেন।
অথচ বর্তমান যামানার তথাকথিত নামধারী আলেম-ওলামা, মালানা, মুফতী অর্থাৎ ওলামায়ে সূ’রা সম্পূর্ণ বিপরীত আমল করে যাচ্ছে। যার ফলে তারা নিজেরা যেমন গুমরাহ, মুরতাদ, ও কাফির হচ্ছে। সাথে সাথে সাধারণ উম্মতদেরকেও গুমরাহ, মুরতাদ ও কাফির বানাচ্ছে। সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও কাট্টা মুরতাদ হয়েছে এবং তাদেরকে যারা অনুসরণ করছে এবং করবে তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে এবং যারা তাদের কুফরী সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করবে তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে। এদের ইমামতিতে নামায পড়া জায়েয নেই। কারণ এরা মুরতাদ ও কাফির হয়ে গেছে। কেউ যদি তাদের পিছনে নামায পড়ে তাহলে তার নামায কখনোই হবে না। তাকে নামায অবশ্যই দোহরায়ে পড়তে হবে। অন্যথায় সে শুধুমাত্র নামায তরকের গুনাহে গুনাহগারই হবে না বরং সেও মুরতাদ ও কাফির হবে।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৬)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (১)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৯)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












