মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১৪)
, ৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২০ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
৩-৪. সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ:
আল্লামা হযরত ইমাম আবুল ক্বাসিম হিবাতুল্লাহ ইবনে হাসান ইবনে মানছূর আত্ ত্ববারী আল আযদী আল লালাকায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৩১৮ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘শরহু উছূলি ই’তিক্বাদি আহ্লিস্ সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ্’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,
أُتِيَ الْمَأْمُونُ بِالرَّقَّةِ بِرَجُلَيْنِ شَتَمَ أَحَدُهُمَا النور الرابعة سيدتنا حضرت الرهراء عليها السلام وَالْآخَرُ ام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت الصديقة عليها السلام فَأَمَرَ بِقَتْلِ الَّذِي شَتَمَ النور الرابعة سيدتنا حضرت الرهراء عليها السلام وَتَرَكَ الْآخَرَ فَقَالَ حضرت إِسْمَاعِيلُ رحمة الله عليه مَا حُكْمُهُمَا إِلَّا أَنْ يُقْتَلَا لِأَنَّ الَّذِي شَتَمَ ام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت الصديقة عليها السلام رَدَّ الْقُرْآنَ
অর্থ: “কথিত খলীফা মামূনুর রশীদের নিকট রক্কা শহরের দুইজন নিকৃষ্ট লোককে উপস্থিত করা হলো। তাদের দুই জনের মধ্যে একজন আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করেছে, উনার মানহানী করেছে, আর অপরজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করেছে, উনার মানহানী করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে যেই নিকৃষ্ট লোকটি গাল-মন্দ করেছে, উনার মানহানী করেছে, তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার জন্য কথিত খলীফা মামূনুর রশীদ নির্দেশ দিলো। আর অপরজনকে ছেড়ে দিলো। তখন ছাহিবুত্ তাছানীফ, কাযীয়ে বাগদাদ, শায়খুল ইসলাম, হাফিযুল হাদীছ, আল্লামা হযরত ইমাম আবূ ইসহাক্ব ইসমাঈল ইবনে ইসহাক্ব ইবনে ইসমাঈল ইবনে হাম্মাদ ইবনে যায়েদ ইবনে দিরহাম আল আযদী আল বাছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ১৯৯ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ২৮২ হিজরী শরীফ) তিনি বললেন, তাদের দুজনের মৃত্যুদন্ড ব্যতীত অন্য কি ফায়ছালা রয়েছে যে, তাদের দুজনকেই মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো না? অর্থাৎ তাদের দুজনের ব্যাপারেই মহাসম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার ফায়ছালা হচ্ছেন- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কাজেই, তাদের দুজনকেই শরঈ শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। কেননা, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহা সালাম উনাকে গাল-মন্দ করেছে, মানহানী করেছে, ঐ ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্রুআন শরীফ উনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! (কাজেই, অবশ্যই তাকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। )” সুবহানাল্লাহ! (শারহু উছূলি ই’তিক্বাদি আহ্লিস্ সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ্ ৭/১৩৪৩, আস সাইফুল মাসলূল ‘আলা মান সাব্বার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪১৮-৪১৯)
আল্লামা হযরত ইমাম আবূ মুহম্মদ মুওয়াফ্ফাকুদ্দীন আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ হাম্বলী মুক্বাদ্দাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইবনে কুদামাহ হিসেবে প্রসিদ্ধ (বিছাল শরীফ ৬২০ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘লাম‘আতুল ই’তিক্বাদ’ উনার মধ্যে বলেন,
ومن السنة الترضي عن حضرت أمهات المؤمنين المطهرات المبرآت عليهن السلام من كل سوء أفضلهن ام المؤمنين الاولى سيدتنا حضرت الكبرى عليها السلام وام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت الصديقة عليها السلام التي برأها الله في كتابه زوج النبي صلى الله عليه وسلم في الدنيا والآخرة فمن قذفها بما برأها الله منه فقد كفر بالله العظيم
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয়ে সন্তোষজনক অভিমত হচ্ছে, উনারা প্রত্যেকেই সমস্ত প্রকার দোষ-ত্রুটি (এবং সর্বপ্রকার অপছন্দনীয় কাজ) থেকে মুক্ত, পূত-পবিত্র এবং পবিত্রতা দানকারী। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মধ্যে আফ্যল বা সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ অলাইহাস সালাম তিনি। উনার পবিত্রতার বিষয় স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করেছেন। তিনি ইহকাল ও পরকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাওজাতুম মুত্বহ্হারাহ্ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ অলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন, সে বিষয়ে যদি কেউ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ অপবাদ দেয়, উনার মানহানী করে, সে মূলত যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথেই কুফরী করলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! (কাজেই, অবশ্যই তাকে শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। )” সুবহানাল্লাহ! (লাম‘আতুল ই’তিক্বাদ ২৯ নং পৃষ্ঠা)
(অপেক্ষায় থুকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












