মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য আক্বীক্বাহ্ মুবারক করা খাছ সুন্নত মুবারক (৯)

, ১০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

‘এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছহীহ’ সে সম্পর্কে জরুরত আন্দাজ আলোচনা করা হলো

৪র্থ দলীল

‘আল হিদায়াহ্ ফী তাখরীজি আহাদীছিল বিদায়াহ্’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,

وَلَا يُـخْفٰى اَنَّ الْـحَقَّ مَعَهٗ فِـىْ تَصْحِيْحِ هٰذَا الْـحَدِيْثِ فَاِنَّ حَضْرَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ الْمُثَـنّٰـى رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ ثِقَةٌ اِحْتَجَّ بِهٖ حَضْرَتْ اَلْبُخَارِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَـهُوَ عَلـٰى شَرْطِهٖ

“অর্থাৎ এই বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ্। কেননা, বিশিষ্ট রাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুছান্না রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিক্বাহ্। হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কাজেই, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শর্তে ছহীহ্। ” সুবহানাল্লাহ! (আল হিদায়াহ্ ফী তাখরীজি আহাদীছিল বিদায়াহ্ ৬/২৮১)

অর্থাৎ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ এবং তা বিশুদ্ধ সনদ মুবারক-এ বর্ণিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

৫ম দলীল

আল্লামা হাফিয ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘ফাতহুল বারী’ কিতাবে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনার একটি সনদ উল্লেখ করে বলেন,

حَضْرَتْ اَلْـهَيْـثَمُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ ثِقَةٌ وَحَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مِنْ رِجَالِ الْبُخَارِىِّ فَالْـحَدِيْثُ قَوِىُّ الْاِسْنَادِ

“হযরত হাইছাম ইবনে জামীল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিক্বাহ্ আর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুছান্না রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ বুখারী শরীফ উনার রাবীগণের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনার সনদ শক্তিশালী। ” সুবহানাল্লাহ! (ফাতহুল বারী ৯/৫৯৫)

অর্থাৎ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ এবং তা বিশুদ্ধ সনদ মুবারক-এ বর্ণিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

(অসমাপ্ত)

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আবূ আহমাদ ছিদ্দীক্বাহ্।