মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য আক্বীক্বাহ্ মুবারক করা খাছ সুন্নত মুবারক (২০)
, ২৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ মে, ২০২৫ খ্রি:, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে যারা বাতিল, দ্বয়ীফ, মুনকার ও মাতরূক বলেছে তাদের দাবী অশুদ্ধ হওয়ার দলীল
৯ম দলীল
তাছাড়া অনেক হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনাকে ছহীহ হিসেবে মেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী ফিক্বহী মাসয়ালা বর্ণনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (নাইলুল আওত্বার, জামউল ওয়াসায়িল, ইয়ানাতুত ত্বালিবীন, তুহ্ফাতুল মুহ্তাজ ইত্যাদি)
কাজেই, যারা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনাকে ‘দ্বয়ীফ, মুনকার, মাতরূক ও বাতিল’ বলতে চায়, তাদের কথা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়; বরং ভুল বা অশুদ্ধ। আর বর্তমানে যারা এই বিষয়ে এলোমেলো বলে থাকে, প্রকৃতপক্ষে এটা তাদের গোমরাহীর লক্ষণ। কারণ, যখন কারো নিকট সুস্পষ্ট দলীল উপস্থিত হয়, তখন সেটা মেনে নেয়া হিদায়াতের লক্ষণ আর অস্বীকার করা সুস্পষ্ট গোমরাহীর লক্ষণ।
প্রকৃতপক্ষে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা হচ্ছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছহীহ। এটাই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ফতওয়া মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে বলতে হয় যে, আমি এই কিতাব মুবারকখানা রচনা করার সময় এই বিষয়ে বিভিন্ন কিতাবাদি দেখছিলাম। তখন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা নিয়ে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অনেক মত আমার নযরে পড়ে। অতঃপর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার খিদমত মুবারক-এ এ অধম এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং আরজী পেশ করি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, “হ্যাঁ; এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফখানা সর্বোচ্চ পর্যায়ের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ। যারা ‘দ্বয়ীফ, মুনকার, মাতরূক ও বাতিল’ বলেছেন, উনারা একজন আরেকজনকে তাক্বলীদ করেছেন। উনারা বিষয়টি তাহ্ক্বীক্ব করেননি। উনাদের তাহ্ক্বীক্বের অভাবে এরূপ ইখতিলাফ দেখা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছহীহ। ” সুবহানাল্লাহ!
এই বিষয়ে আমি আরো কিতাবাদি দেখতে থাকলাম। উদ্দেশ্য হচ্ছে- কিভাবে এটা দলীল-আদিল্লাহর ভিত্তিতে প্রমাণ করা যায় যে, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছহীহ। কয়েকদিন পর অর্থাৎ ১৪৪৬ হিজরী শরীফ ২৯শে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) আমি একটি স্বপ্ন দেখতে থাকলাম। দেখলাম যে, “আমি একটি বরকতময় মজলিসে যাচ্ছি। সেই মজলিসে অনেক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা রয়েছেন। আমি যখন সেই মজলিসে গেলাম, তখন বিশিষ্ট ছাহাবী, খাদিমু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি দয়া করে আমার নিকট এগিয়ে আসলেন। সেখানে আরো অনেক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা রয়েছেন। মনে হচ্ছে- এই মজলিস মুবারক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরই মজলিস মুবারক। খাদিমু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মাঝামাঝি আর উনার একপাশে সাইয়্যিদুনা হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি রয়েছেন। খাদিমু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে আমি কিছুই বলিনি। মনে হলো যে, আমি যা চিন্তা করছি, উনি সবকিছু জানেন। উনি নিজ থেকেই আমাকে বললেন যে, ‘হ্যাঁ; অবশ্যই আমি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছি। যে সকল রাবীগণ আমার বরাতে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন, উনারা সঠিকই বর্ণনা করেছেন। আর যে সকল হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছখানা উনাকে ‘দ্বয়ীফ, মুনকার, মাতরূক ও বাতিল’ বলেছেন, উনাদের বক্তব্য সঠিক নয়। ’ বিশেষ করে, যে সকল রাবীগণের ব্যাপারে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এলোমেলো বলেছেন, সে সকল রাবীগণের ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করে বললেন যে, ‘রাবীগণ সঠিকই বর্ণনা করেছেন। উনাদের ব্যাপারে যে এলোমেলো বলা হয়েছে, আসলে এগুলো সঠিক নয়। অবশ্যই আমি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছি। ’ তিনি আরো স্পষ্ট করলেন যে, ‘তিনি অনেক মজলিসেই এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছখানা বর্ণনা করেছেন, তবে আমাদের নিকট পৌঁছেছে কয়েকটা সূত্রে মাত্র। ’ তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বিষয়টি মনে হলো, উনিও এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন। তবে সেই বর্ণনা আমাদের নিকট পৌঁছেনি। উনাদের সাথে কথা শেষ হলো। আমি চলে আসলাম। তখন আমি চিন্তা করলাম যে, ‘প্রায় ১৪০০ বছর পর উনাদের থেকে আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করছি। এটা কি মানুষ বিশ্বাস করবে? বা মেনে নিবে?’ তারপর স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো। ”
মূলত, এটা যাহিরী বর্ণনার দ্বারাই প্রমাণিত যে, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছহীহ। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা অনেকগুলো বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছেন। যা হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ অন্যান্য বিশ্বখ্যাত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের শর্তের ভিত্তিতে ছহীহ। সুবহানাল্লাহ!
(অসমাপ্ত)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আবূ আহমাদ ছিদ্দীক্বাহ্।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য আক্বীক্বাহ্ মুবারক করা খাছ সুন্নত মুবারক (৩৫)
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত; আর উনাকে পাওয়ার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক (১)
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুখোশধারী মুনাফিক্ব (১)
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক- করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে অবমাননাকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৬)
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য আক্বীক্বাহ্ মুবারক করা খাছ সুন্নত মুবারক (৩৪)
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পৃথিবীর ইতিহাসে নযীরবিহীন এক অনন্য বেমেছাল অভুতপূর্ব চির বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৬)
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য আক্বীক্বাহ্ মুবারক করা খাছ সুন্নত মুবারক (৩৩)
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)