মাদানী নূরে মুজাদ্দিদ আ’যম আঁধার ঘেরা দুনিয়ায় ছাহাবা রঙ্গে উম্মাহ জাগান দীপ্ত ঈমানী জয্বায় ইসলামের ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য-১
সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার একটি ঈমানদীপ্ত ঘটনা
, ২৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

নাহক্বের প্রতিবাদে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারী কাট্টা কাফিরের প্রতিরোধে এমন ঈমানদীপ্ত ঘটনার বহিঃপ্রকাশের পর পর সত্যি সত্যিই হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দ্বীন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে দাখিল হয়ে গেলেন। (সুবহানাল্লাহ) কাফির মুশরিকদের উপর উনার ইসলামে দাখিল হবার ঘটনা মারাত্মক ভীতির সঞ্চার করে। কারণ তিনি ছিলেন তৎকালীন আরবের অপ্রতিরোধ্য সাহসী বীর নওজোয়ানদের অন্যতম একজন। তামাম ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মাঝে তিনি ‘সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা’ লক্বব মুবারকে চির মশহুর।
ঘটনার তাৎপর্যতার গভীরতা ফিকির
তামাম কায়িনাতে দোজাহানের লক্ষ্যস্থল, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে বেয়াদবি, কটুক্তি, অবমাননার কথা শুনার সাথে সাথে সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার অন্তরে সুপ্ত ঈমানী মুহব্বতের জযবার বিস্ফোরণ ঘটলো। হাবীবে ইলাহীর প্রতি মুহব্বতের জোশে এক মুহূর্তও দেরি না করে তিনি কাট্টা কাফির আবু জাহিলকে শায়েস্তা করতে গেলেন। এবং সত্যি সত্যিই ধুনক দ্বারা আঘাত করে বসলেন। অথচ সে সময়ে তাবত কাফির-মুশরিকদের মধ্যে কাট্টা কাফির আবু জাহিল ছিল শীর্ষস্থানীয় গু-া। যার ডাকে কাফির-মুশরিকরা যেকোন কু-তৎপরতায় অংশ নিত। সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার অন্তরে এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্রও ভয়ের উদ্রেক হলনা। সমাজচ্যুত হয়ে যাওয়ার চিন্তা একবারের জন্যও অন্তরে উদয় হলো না। বরং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননার প্রতিশোধ নেয়াটাকে জরুরী মনে করে অন্য সবকিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করলেন। (সুবহানাল্লাহ)
কোথায় আজ সেই ঈমানদীপ্ত জযবা ?
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের ঈমানদীপ্ত আত্মত্যাগের বদৌলতে আজ সারাবিশ্বে মোট জনসংখ্যার মধ্যে দুই শত পঁচিশ কোটির অধিক হলো মুসলমান। যারা একক, অদ্বিতীয় আল্লাহ পাক উনাকে রব হিসেবে এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দোজাহানের কা-ারী, শাফায়াতকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী ও রসূল হিসেবে বিশ্বাস করে। অথচ আজকে কি বিধর্মী অধ্যূষিত দেশ কি মুসলিম অধ্যূষিত দেশ সর্বত্রই অহরহ ঘটে যাচ্ছে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ অবমাননা করার ঘটনা। এমনকি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে কটুক্তি করে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন, কার্টুন প্রকাশ ইত্যাদি। (নাঊযুবিল্লাহ)
এরপরও শোনা গেল না যে কোন ঈমানদার মুসলমান সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার অনুসরণে ব্যঙ্গকারী-অবমাননাকারী, নবীদ্রোহী, খোদাদ্রোহী তথা ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোন রূপ ব্যবস্থা নিতে, ধিক্কার-নিন্দা কিংবা প্রতিবাদ জানাতে। তারপরও আমরা দাবী করি আমরা হলাম ঈমানদার মুসলমান।
ঈমানের কোন্ স্তরে আজ মুসলিম উম্মাহ ?
মুসলিম উম্মাহ’র অতি মূল্যবান সম্পদ ঈমান। সেই মূল্যবান ঈমান প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন- “ঈমানদারের লক্ষণ হলো, যখন কোথাও অন্যায় কাজ (কুফরী, র্শিকী, বিদয়াতী বা জুলুম) হতে দেখবে তবে শক্তি সামর্থ্য থাকলে হাত দ্বারা বাধা দিবে; নতুবা মুখ দ্বারা জবানে বাধা দিবে, এতেও অক্ষম হলে অন্তরে ঘৃণা পোষণ করে সেখান থেকে সরে যাবে। এটাই হলো ঈমানের সর্বশেষ স্তর। এরপরে র্জারা পরিমাণও ঈমানের অস্তিত্ব থাকবে না।” নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই হাদীছ শরীফ এবং সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আলোচ্য ঈমানদীপ্ত ঘটনা থেকে একটু চিন্তা করে নিজের মাঝে প্রশ্ন করে দেখি, উম্মাহ দাবী করলেও আসলেই আজ আমরা ঈমানের কোন্ স্তরে অবস্থান করছি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছহিবে নিসাব প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী দেয়া ওয়াজিব (১)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কাফিরদের রচিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মুসলমানদের জন্য নয় (২)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মীলাদ শরীফ বিষয়ে প্রথম দিকে যারা কিতাব রচনা করেছেন উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাফিয হযরত আবুল খত্ত্বাব ইবনে দাহিয়্যাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ছিলেন পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশের কৃষি খাতে বিরাজমান সংকট ও উত্তরণের পথে আঞ্জুমানে আল ফাল্লাহ্ অর্থাৎ বাংলাদেশ কৃষক আঞ্জুমান নীতি আদর্শ বর্জিত পাল্টাপাল্টির অসুস্থ রাজনীতি পরিহার করুন, কৃষি খাতকে রক্ষা করুন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শরীয়ত বিরোধী কাজ দেখলেই বাধা দেয়া ঈমানের আলামত
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৬)
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)