মন্তব্য কলাম
মানবতা বা মনুষ্যত্ব শব্দ উচ্চারণের অধিকার বিশ্ববাসীর আর নাই গাজার শিশুদের আর্তনাদ, গাজার মায়ের আহাজারি যে বিশ্ব শুনতে পায় না- “সে বিশ্ব বধির”। গাজার শেষ হাসপাতাল ধ্বংস
, ০৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
চরম নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমার আক্রমণ যে বিশ্ব দেখতে পায় না- “সে বিশ্ব মহা অন্ধ”।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ, ইতিহাসের নিকৃষ্ট গণহত্যা মানবতার হত্যার পরও-
বিশেষ করে ফুলের মত প্রস্ফুটিত নিষ্পাপ শিশুদের পৈশাচিকভাবে শহীদ করার পরও যে বিশ্ব নিশ্চুপ থাকে সে বিশ্ব মহা বোবা শয়তান। (নাউযুবিল্লাহ)
(৩য় পর্ব)
বিশ্বকে গাজার শিশুর প্রশ্ন: তোমরা কেন নীরব?
১ জুন ২০২৫, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় একটি গণহত্যা চলছে, যেখানে ফিলিস্তিনি শিশুরা নৃশংসতার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দুর্দশাগ্রস্ত।
প্রতিটি শিশু বহন করে এমন একটি করুণ গল্প যা বিশ্ববাসীর জানা প্রয়োজন। হয়তো একদিন তাদের বেঁচে থাকা সম্ভব হলে তারা স্মৃতিকথায় সেই কাহিনি লিখবে।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতদিন অপেক্ষা করতে পারে না। তাদের এই শিশুদের কষ্টের মুখোমুখি হতে হবে এখনই। এজন্যই আমরা গাজার শিশুদের কাছে একটি প্রস্তান দিয়েছি, যারা বিশ্বকে করুণ একটি প্রশ্ন করেছেন - “তোমরা কেন নীরব?”
মানবতার পক্ষে এই নীরবতা ভেঙে দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে গাজায় চলমান এই গণহত্যা রোধ করা যায়।
এক ব্যাগ আটা পেতে মরিয়া মানুষ
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা এখন ‘গাজা’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৩১ মে ২০২৫
ইসরাইলের অব্যাহত হামলা ও অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট চলছে কয়েক মাস ধরে। শিশুরা ভুগছে অনাহার ও চরম অপুষ্টিতে।
দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত ভয়াবহ হচ্ছে। এ অবস্থায় গাজা উপত্যকাকে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্য সংকটপূর্ণ ও ক্ষুধার্ত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ২৩ লাখ মানুষই এখন ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ মুখোমুখি। যা এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পরিস্থিতি এখন এতটাই ভয়াবহ যে, এক ব্যাগ আটার জন্য সেখানকার ক্ষুধার্ত জনতা যা ইচ্ছে করতে পারে। খবর গার্ডিয়ান, আলজাজিরার।
‘পরিস্থিতি ভয়াবহ’- ইসরায়েলি অবরোধে ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে শিশুরা, দেখলো বিবিসি
২৬ মে ২০২৫, বিবিসি বাংলা
এই শিশুরা তাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখছে মৃত্যু, মৃতপ্রায় এবং মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা মানুষদের। আর কীইবা তাদের অবাক করবে? ক্ষুধা তাদের কাবু করে ফেলেছে।
একেবারেই কিছুই হয়তো পাবে না জেনেও তারা লাইনে অপেক্ষা করে সামান্য রেশনের জন্য।
আমার যে সহকর্মী বিবিসির জন্য ছবি তুলছেন, এই শিশুরা তাকে এবং তার ক্যামেরা নিয়মিত দেখে অভ্যস্ত।
শিশুদের ক্ষুধা, তাদের মৃত্যু, মৃত্যুর পর আলতোভাবে তাদের শরীর, কখনোবা শরীরের কিছু অংশ সাদা কাফনে জড়িয়ে দেয়া- এই সবই দেখে চলেছেন আমার সহকর্মী। তার নিরাপত্তার জন্য আমি তার নাম প্রকাশ করছি না
যদি মৃত শিশুর নাম জানা থাকে তাহলে কাফনের ওপর তাদের নাম লিখে দেয়া হয়, অনেকেই থেকে যায় অজ্ঞাত।
উনিশ মাসের এই যুদ্ধে স্থানীয় এই ক্যামেরাম্যান হাসপাতালের আঙ্গিনায় অসংখ্য বেঁচে আসা মানুষের কান্না শুনেছেন।
শারীরিকভাবে দূরে থাকলেও তার মনে সবসময়ই তারা থাকেন। কারণ তিনিও তাদের মতই দমবদ্ধ করা এক নরকে আটকা পড়েছেন।
আজ সকালেই তিনি চেষ্টা করেছে সিওয়ার আশৌর নামের পাঁচ মাস বয়সী একটি মেয়েকে খুঁজতে। তিনি আমাকে লিখেছিলেন, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে মেয়েটির কান্না তার হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছিলো। চলতি মাসের শুরুতে ফুটেজ নেয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
মেয়ে শিশুটির ওজন ছিলো মাত্র দুই কেজির একটু বেশি। অথচ পাঁচ মাসের একটি বাচ্চার ওজন হওয়া উচিত ৬ কেজি কিংবা তারও বেশি।
গাজায় খাবারের খোঁজে ‘রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে’ ক্ষুধার্ত শিশুরা
২৬ মে ২০২৫, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পাশাপাশি গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাবারের অভাব। এর বড় ভুক্তোভোগী হচ্ছে শিশুরা। দিনের পর দিন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে তাদের। একটু খাবারের খোঁজে তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে বলে জানিয়েছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
সংস্থাটির মানবিক পরিচালক র্যাচেল কামিংস বলেন, ‘প্রতিদিন আমি দেখি, খাবারের খোঁজে খালি পাত্র হাতে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে শিশুরা। একটু পানির জন্য বোতল নিয়ে ছুটছে তারা। মায়েরা আমাদের বলেছেন, কীভাবে তারা সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়ছেন; সন্তানেরা অসুস্থ হয়ে পড়বে জেনেও কীভাবে তারা তাদের ক্ষুধা মেটাতে নোংরা পানির সঙ্গে ঘাসপাতা মিশিয়ে খাওয়াচ্ছেন।’
গত ২ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে খাবার-পানিসহ সব ধরনের জরুরি পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এ কারণে সেখানে খাবারের তীব্র সংকট দেখা দেয়। ১১ সপ্তাহ অবরোধের পর সম্প্রতি সীমিত আকারের খাবার প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও, তা ঠিকমতো হাতে পাচ্ছেন না গাজাবাসী। খাবারের অভাবে উপত্যকাটির অনেক ত্রাণ সরবরাহকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না: একমুঠো খাবারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা
২৩ মে ২০২৫, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার প্রতিটি সকাল যেন মৃত্যু আর ধ্বংসের নতুন বার্তা নিয়ে আসে। গতকাল ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো একের পর এক হামলায় অন্তত ৫১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
পুরো গাজা উপত্যকায় চলছে লাগাতার বোমা বর্ষণ, যেখানে নিরাপদ আশ্রয়ের কোনো নিশ্চয়তা নেই। মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ইসরায়েলের আগ্রাসন শিশুদের মৃত্যুপুরী ‘গাজা’
২৭ মে ২০২৫
দীর্ঘ ১৯ মাসের যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। তবুও এ ধ্বংসস্তূূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠার প্রত্যয় নিয়ে বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সামনে ইসরায়েলের নতুন অস্ত্র হয়ে উঠেছে ‘অনাহার’। যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশু ও বৃদ্ধরা।
গাজার নারকীয়তার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিয়াদ মনসুর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৩০ মে, ২০২৫
গেল রোববার গাজার শিশু চিকিৎসক আলা আমির আল নাজ্জারের কোলে নয়টি শিশুর পোড়া লাশের হৃদয়বিদারক দৃশ্য কাঁদিয়ে দিয়েছিল সারা বিশ্বকে। সেই মর্মন্তুদ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মনসুর বলেন, গত মার্চে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করার পর ইসরাইল যে বর্বর অভিযান চালিয়েছে-অপারেশন গিডিয়ান্স চারিটে-এখন পর্যন্ত ১,৩০০ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৪,০০০। এসব শিশুরা প্রাণ হারাচ্ছে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে। গাজার মায়েরা তাদের মৃত সন্তানদের বুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদছে, চিৎকার করছে, বলছে ‘আমরা তোমাদের রক্ষা করতে পারিনি’। অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না। একজন মানুষ হিসেবে কীভাবে সহ্য করা সম্ভব এমন নিষ্ঠুরতা?
বক্তব্যের এক পর্যায়ে আবেগ আর ক্ষোভে তিনি টেবিলের উপর ঘুষি মারেন। ৭৮ বছর বয়সী এই কূটনীতিক কিছু সময় নিশ্চুপ থেকে নিজেকে সংযত করেন। পরে আবার বক্তব্যে ফিরে এসে বলেন, যারা নিজেদের মানবতার রক্ষা কবজ হিসেবে পরিচয় দেয়, তাদের এখনই এই নির্মমতা বন্ধে জোরালো অবস্থান নিতে হবে। আমার পরিবারেও নাতি রয়েছে, আমি জানি তারা আমার কাছে কতটা মূল্যবান। গাজার শিশুরা যেন এমন যন্ত্রণা না পায়। যাদের হাতে মানবতার দায়িত্ব, তাদের হাতেই এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ হোক।
জাতিসংঘের ওই বৈঠকে গাজার শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ভয়াবহ অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন মার্কিন ট্রমা সার্জন ডা. ফিরোজ সিধোয়া, যিনি দীর্ঘ সময় গাজার খান ইউনিসের ইউরোপিয়ান হাসপাতালে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, গাজায় যারা শিশু হিসেবে বেঁচে আছে, তারা সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। প্রায় অর্ধেক শিশু এখন আত্মঘাতী চিন্তায় ভুগছে। কেউ বাবা-মা ও ভাই-বোনদের হারিয়ে নিজেকে বেঁচে থাকার জন্য অপরাধী ভাবছে। শিশুরা বলছে-‘কেন আমিও ওদের সঙ্গে মারা গেলাম না?’ এই কক্ষে কি কেউ কখনও পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে এমন মৃত্যু-কামনা করতে দেখেছে? কিন্তু গাজায় আমি সেই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি।
অন্যদিকে, গাজার চলমান আগ্রাসনের জন্য দায় চাপিয়ে দেয় ইসরাইল। নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইলি প্রতিনিধি বলেন, উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এখনও সব জিম্মিকে মুক্ত করেনি। তাই আমাদের অভিযান বন্ধ হবে না।
গাজায় শিশুদের কান্না থেমে গেছে-তারা এখন ক্ষুধায় নিঃশব্দে মারা যাচ্ছে
মে ৪, ২০২৫, আওয়ার টাইমস নিউজ।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অবরোধ ও টানা বোমাবর্ষণের ফলে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা বেড়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, চলতি বছরেই অন্তত ৯,০০০ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে চিকিৎসা নিয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের প্রবেশ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে।
গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে শিশুদের মৃত্যু বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) জানিয়েছে, অবরোধের কারণে ১৮০,০০০ ডোজ শিশুদের টিকা গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি, যা ৬০,০০০ শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। এছাড়া, ১৯টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৩৫টি আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে।
‘গাজার শিশুদের কান্না করার মতো শক্তিও নেই’
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেস্ক, ১৯ মার্চ ২০২৪
ইসরাইলি গণহত্যা ও আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে জানিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এমনটা হয়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, গাজায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা অনেক। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে কান্না করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই।
গাজায় ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের অপেক্ষায় থাকা ৩২ জনকে গুলি করে হত্যা
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেস্ক: ০১ জুন ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থার ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের অপেক্ষায় থাকা ৩২ জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হামলায় আরও কয়েক ডজন গুরুতর আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে এ হামলায় দুই শতাধিক হতাহত হাসপাতালে পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে কয়েক ডজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতদের সবার মাথায় বা বুকে গুলি লেগেছে বলেও জানিয়েছে তারা।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে।
অবরুদ্ধ গাজায় এখন শুধুই হাহাকার আর চারদিকে স্বাধীনতাকামী নিরীহ মানুষের বুক ফাটা আর্তনাদ। এ আর্তনাদ আর গগনবিদারি চিৎকার যেন শোনার কেউ নেই। বিশ্ববাসী ৭৫ বছর ধরে ইসরাইলি সৈন্যদের এ পৈশাচিক হত্যাকা-ের নীরব দর্শক। মনে হয় শুধু অবলোকন করা ছাড়া আর কিছুই তাদের করার নেই!
মাঝেমধ্যে দু-চার বাক্যের একটা বিবৃতি দিয়েই তারা শান্ত থাকছে। গাজাবাসীর ওপর ইসরাইলিদের এ হামলার নিন্দা বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ জানিয়েছে বটে, কিন্তু কার্যত কেউ গাজাবাসীর জন্য এগিয়ে আসছে না। শুধু বিবৃতি আর ঘৃণা জানিয়ে আরব দেশসহ বিশ্ববিবেক চুপ থাকছে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












