মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ছোহবত ও খিদমত মুবারকের দ্বারা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাছিল হয়ে থাকে
ঘটনা থেকে শিক্ষা:
, ১৯ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অবশেষে একদিন লক্ষ্য করলাম যে, বন-জঙ্গল থেকে কাঠ আনার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত, তারা দৈহিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ। এ দায়িত্ব পালন করা তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়। আর আমি যেহেতু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, যুবক। তাই এ কাজটি নিজের কাঁধে তুলে নিলাম। প্রতিদিন দুই বোঝা কাঠ মাথায় করে আনতে লাগলাম। কিন্তু হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছাকাছি বসে কোন খিদমত করার সুযোগ হচ্ছিল না। কিছুদিন পর একবার হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি নদীর ঘাটে গোসল করতে যান। উনার শরীর মুবারক কাপড় দ্বারা আবৃত ছিল। আর গোসলের উক্ত স্থানটিও ছিল পরিবেষ্টিত বা ঘেরা। কেননা উন্মুক্ত শরীরে এবং খোলামেলা ভাবে গোসল করা পবিত্র সুন্নাত মুবারকের খিলাফ। আর পবিত্র সুন্নাত মুবারকের খিলাফ আমল করা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের স্বভাব বিরোধী কাজ। যা উনার মত মহান ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা অন্যায়।
মুলত সর্বক্ষেত্রেই হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্পর্কে বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করা কর্তব্য। কেননা উনাদের শান মুবারকে কুধারণা পোষণ করা, উনাদের ছিদ্রান্বেষণ করা হালাকী বা ধ্বংসের কারণ। মুরীদগণ হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শরীর মুবারক ডলে ময়লা পরিষ্কার করতে শুরু করলো। আমি তাদের সাথে শামিল হলাম এবং অন্য সবার তুলনায় আমার খিদমতই উত্তম বলে বিবেচিত হলো। ফলে হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি তখনই আমার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি (ফয়েজ) মুবারক দান করলেন। এক দৃষ্টিতেই আমার মধ্যে তোলপাড় শুরু হলো। আমি সেই নদীর মধ্যেই বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলাম। সাথীরা আমাকে মৃতের মত ধরে হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসলো। ছয় মাস পর পুনরায় নদীর ঘাটে হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শরীর মুবারক পরিষ্কার করার সময় তিনি সস্নেহে আমার কুশল জানতে চাইলেন। উনার এ বিশেষ দৃষ্টিপাতে (ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ) এবারও আমি সংজ্ঞা হারালাম।
উল্লেখ্য যে, আমার যা কিছু অর্জন হয়েছে তা আমার শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই দৃষ্টি তথা ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারকের অবদান, যা পরপর দু’বার হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি আমাকে দান করেছেন। (আনফাসুল আরিফীন/৫৪)
আফদ্বালুল আউলিয়া, মাহবুবে সুবহানী, ইমামে রববানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রাজা-বাদশাহদের মজলিসের সভাপতিত্বের চেয়ে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্রতম দরবার শরীফের ঝাড়ুদার হওয়াই উত্তম। সুবহানাল্লাহ! (মাকতুবাত শরীফ)
-আল্লামা আবূ খুবাইব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












