মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার। সাধারণ মানুষ দু’বেলা আহারের সংস্থান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি কমাতে আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাজার মনিটরিং এ দ্রুত ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিতে হবে।
, ০৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৪ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। যেখানে গত ২০২২ সালের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে। এরপরের মাসে মূল্যস্ফীতি বড় লাফ দেয়। মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বা কমার অর্থ হলো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বা কমেছে। যদি এপ্রিলের মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সেই একই ধরনের পণ্য কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১০৯ টাকা ২৪ পয়সা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, অভ্যন্তরীণ বাজারে জিনিসপত্রে উৎপাদন কমে যাওয়া, মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যাওয়া, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা থাকলে তারা কেনাকাটা বেশি করে এতেও মূল্যস্ফীতি বাড়ে। এ ছাড়া খাদ্যপণ্য আমদানি, কাঁচামাল আমদানি বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমদানি করার কারণে বিদেশে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সেটার দাম দেশেও বেড়ে যায়, যেহেতু বেশি দামে আমদানি করতে হয়।
তবে মূল্যস্ফীতি বাড়লে প্রতিনিয়ত বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। খাদ্য তালিকা কাটছাঁট করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমবে এটা শুধু সরকারের কথাবার্তার মধ্যেই থাকে, বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
চাল, ডাল, আটা, শাকসবজি, ফল, মসলা, তেল, দুধ, তামাকজাতীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধিকেই খাদ্যে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। সাধারণভাবে মূল্যস্ফীতি জনগণের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জন্য ভীতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের মূল্যস্ফীতির লাগাম সফলভাবেই টানতে পেরেছে। গত এপ্রিলে দেশটির সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির মূল অংশ খাদ্যমূল্য সম্পর্কিত। আমাদের অনেক পণ্যই আমদানিনির্ভর। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে যেসব জিনিস জড়িত তার মধ্যে অন্যতম হলো, ডলারের সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়ন, বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়া। সারের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া-এগুলোও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও সরকার সারে ভর্তুকি দেয়, তারপরও দাম বেড়েছে।
আরেক অংশ খাদ্যবহির্ভূত। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও অনেক বেড়েছে। যেমন জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। রিজার্ভ সংকটও বাজারে প্রভাব ফেলেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় স্থির থাকা ভালো। রিজার্ভ বাড়াতে হবে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থির করতে হবে। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে।
মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে দেশের উৎপাদন বাড়াতে হবে, আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যারা পণ্য উৎপাদন করে সরকার তাদের কোনো প্রণোদনা দেয় না। প্রণোদনা দেয় বড় বড় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের। খাদ্যসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতদের প্রণোদনা দিতে হবে। তাদের উৎপাদনে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে। তা হলেই মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব। সেই সঙ্গে রিজার্ভও বাড়াতে হবে।
পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে আমাদের বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। ব্যবসায়ীরা যা বলে তাই শুনে তাদের নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তারা শুল্ক ছাড় পেয়ে পণ্য আনলেও তা তাদের গুদামে মজুদ করছে বাজারে সরবরাহ করছে না। এর ফলে বাজারে দাম কমে না মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশের উৎপাদন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ থাকলেও সে সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বড় বড় ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া হলেও ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীরা কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না। এ বৈষম্য প্রভাব ফেলছে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে। এ ছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আনলেও ব্যবসায়ীরা তা মজুদ করে রাখছে, এতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করা দরকার।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












