যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৮)
, ০৭ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অন্য বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَمَّا بَعْدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَامَعَ الْمُشْرِكَ وَسَكَنَ مَعَهُ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ
অর্থ: “হযরত সামুরাহ্ ইবনে জুনদুব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে বা যারা কোনো মুশরিকের সাথে সম্পর্ক রাখে এবং মুশরিকের সাথে একসঙ্গে থাকে, সেও তার অনুরূপ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ সেও মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হবে। ” নাঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম লি ইবনে আবী হাতিম)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
إن رجلا دعا حَضْرَتْ عبد الله بن مسعود رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ إلى وليمة فلما جاء سمع لهوا فلم يدخل فقال ما لك؟ قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من كثر سواد قوم فهو منهم ومن رضي عمل قوم كان شريكا لمن عمله
অর্থ: “নিশ্চয়ই এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে একটি ভোজসভায় দাওয়াত দেয়। অতঃপর যখন তিনি সেখানে এসে আমোদ-প্রমোদ, বিনোদন, গান-বাজনা শুনলেন, তখন তিনি সেখানে প্রবেশ করলেন না। তাই ঐ ব্যক্তি বললো, ‘আপনার কি হলো? (আপনি প্রবেশ করছেন না কেন?)’ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি, তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিধর্মীদের মেলায় অংশগ্রহণ করবে, সেও তাদের একজন হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যে ব্যক্তি তাদের (কুফরী-শিরকী) কাজের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে, সেও ঐ কুফরী-শিরকী কাজে শরীক থাকলো অর্থাৎ সেও মূলত কুফরী-শিরকী করলো। ” নাঊযুবিল্লাহ! (আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ্ ৮/৩১৯)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عبد الله بن عمرو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قال من مر ببلاد الأعاجم فصنع نيروزهم ومهرجانهم وتشبه بهم حتى يموت وهو كذلك حشر معهم يوم القيامة
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে বা যারা অনারবদের (কাফির-মুশরিকদের) ভূখ- দিয়ে অতিক্রম করে তাদের নওরোয ও মেহেরজান পালন করবে, (পূজা করবে) এবং তাদের সাথে সামঞ্জস্য-সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে, এমনকি এই অবস্থায় সে মারা যায়; সেও তাদের অনুরূপ কাফির-মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হবে। ক্বিয়ামতের দিন তাদের সাথেই তার হাশর-নশর হবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আস সুনানুল কুবরা)
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, অনুরসণ-অনুকরণ করবে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে। অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে। ” নাঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, আহমদ শরীফ, মুসনাদে বাযযার, আল মু’জামুল আওসাত্ব, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا
অর্থ: “হযরত আমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার থেকে এবং তিনি উনার সম্মানিত দাদা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে। ” নাঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
কাজেই, উপরোক্ত দলীল-আদিল্লাহসমূহের মাধ্যমে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক। নাঊযুবিল্লাহ! (চলবে)
-মুহাদ্দিস মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৪)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মূর্তিপূজারী মুশরিকরা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমানদেরকে ঈমান থেকে সরিয়ে দিতে কাফিরগুলো সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে পুরুষ ও মহিলা ব্যতীত তৃতীয় কোনো লিঙ্গের অস্থিত্ব নেই
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কথিত স্বজন-পরিজন হলেও কাফিরদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)