যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৮)
, ১০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মূর্তী ভেঙ্গেছেন
১ম দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم مَكَّةَ يَـوْمَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْـبَـيْتِ سِتُّـوْنَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعَـنُـهَا بِعُوْدٍ فِـىْ يَدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم وَيَـقُولُ {جَآءَ الْـحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ } {جَآءَ الْـحَقُّ وَمَا يُـبْدِئُ البَاطِلُ وَمَا يُعِـيْدُ}
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করলেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার চারপাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি ছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাঠি মুবারক দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত (করে ধ্বংস) করতে থাকেন আর ইরশাদ মুবারক করতে থাকেন- ‘হক্ব এসেছেন এবং বাত্বিল বিলুপ্ত হয়েছে’। (পবিত্র সূরা ইসরা’ শরীফ: ৮১)
সুবহানাল্লাহ! ‘হক্ব এসেছেন, বাত্বিলের আর উদ্ভব ও পুনরুদ্ভব ঘটবে না’। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা সাবা’ শরীফ: ৪৯) বুখারী শরীফ
২য় দলীল
অন্য বর্ণনায় এসেছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَحَوْلَ الْـبَـيْتِ سِتُّـوْنَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعَـنُـهَا بِعُوْدٍ فِـىْ يَدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم وَيَـقُوْلُ {جَآءَ الْـحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ اِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا} {جَآءَ الْـحَقُّ وَمَا يُـبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِـيْدُ}
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করলেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার চারপাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি ছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাঠি মুবারক দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত (করে ধ্বংস) করতে থাকেন আর ইরশাদ মুবারক করতে থাকেন- ‘হক্ব এসেছেন এবং বাত্বিল বিলুপ্ত হয়েছে। আর বাত্বিল বিলুপ্ত হওয়ারই যোগ্য’। (পবিত্র সূরা ইসরা’ শরীফ: ৮১)
সুবহানাল্লাহ! ‘হক্ব এসেছেন, বাত্বিলের আর উদ্ভব ও পুনরুদ্ভব ঘটবে না’। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা সাবা’ শরীফ: ৪৯) বুখারী শরীফ
৩য় দলীল
অন্য বর্ণনায় এসেছেন,
فَكَانَ لَا يُشِيْـرُ اِلـٰى صَنَمٍ اِلَّا وَيَسْقُطُ
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাঠি মুবারক দিয়ে মূর্তিগুলোকে ইশারা করা মাত্রই সেগুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ” সুবহানাল্লাহ! (বাইহাক্বী শরীফ, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৪/৩৪৫)
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন অসংখ্য ও অগণিত কারণ। তার মধ্যে একটি হলো- মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবি, গান-বাজনা, বাঁশি-সূর, বাদ্যযন্ত্র, ধ্বংস করার জন্য এবং উম্মতকে ধ্বংস করার আদেশ মুবারক করতে। তাই তিনি নিজে এগুলো ধ্বংস করেছেন এবং ধ্বংস করতে বলেছেন। অথচ উলামায়ে ‘ছু’রা এর সম্পূর্ণ বিপরীত আমল করে কাট্টা মুরতাদ ও কাট্টা কাফির হচ্ছে।
(চলবে)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬৫)
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্বীন ইসলাম ব্যতিত অন্য কোন তন্ত্র-মন্ত্র নিয়মনীতি শরীয়তসম্মত নয়
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মু’মিনদের আত্মশুদ্ধির এক বিরাট পাথেয় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ইমামুল আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার অসীয়ত মুবারক
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (১২)
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা সর্বপ্রকার বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত হওয়ার মাধ্যম
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উম্মাহর মাঝে শ্রেষ্ঠতম মর্যাদায় আসীন
২৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উম্মতকে তা’লীম দানের উদ্দেশ্যে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সুওয়াল মুবারক এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার জবাব মুবারক
২৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইনশাল্লাহ মুসলমানগণই স্বাবলম্বী হবেন
২৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বেপর্দা হওয়া লা’নত ও হালাকীর কারণ
২৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদি কোনটিই জায়িয নেই
২৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)