যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৩)
, ১৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ মে, ২০২৫ খ্রি:, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সুওয়া’ মূর্তি ধ্বংস করার নির্দেশ মুবারক
১ম দলীল
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে একদল সৈন্যসহ হুযায়েল গোত্রের (سُوَاع) সুওয়া’ নামক বড় মূর্তিটি ধ্বংস করার জন্য প্রেরণ করেন। (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ৩/২০৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশীদ ৬/১৯৮, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৩৯৫, শরহুয যারক্বানী ৩/৪৯০, উয়ূনুল আছার ২/২৩৩, আল মুন্তাযিম ফী তারীখুল মুলুক ওয়াল উমাম ৩/৩৩০ ইত্যাদি)
২য় দলীল
এটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে রিহাত্ব নামক অঞ্চলে ছিলো। হযরত আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সেখানে পৌঁছলে মন্দির প্রহরী বললো, ‘আপনারা কি চান?’ হযরত আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন,
اَمَرَنِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ اُهْدِمَهٗ
‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন যে, আমি যেন এই মূর্তিটিকে ভেঙ্গে ফেলি। ’ সে বললো, ‘আপনারা এটা ভাঙ্গতে সক্ষম হবেন না। ’ হযরত আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘কেন?’ সে বললো, ‘আপনারা (প্রাকৃতিকভাবে) বাধাপ্রাপ্ত হবেন। ’ হযরত আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘তুমি এখনো বাত্বিল ধর্মের উপরে রয়েছ? সে কি শুনতে পায় অথবা দেখতে পায়?’ এ কথা বলেই তিনি كَسَّرَهٗ ঐ মূর্তিটাকে ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলেন। অতঃপর প্রহরীকে বললেন, এবার তোমার মত কি? সে বললো, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য আমি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলাম। ’ সুবহানাল্লাহ! (তারীখ ত্বাবারী ৩/৬৬, যাদুল মা‘আদ ৩/৩৬৫, ইবনে সা‘দ, ত্বাবাক্বাতুল কুবরা ২/১৪৬ ইত্যাদি)
(চলবে)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












