যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৮)
, ২৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত তাবেঈনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও মূর্তি ধ্বংস করেছেন
দলীল
এ ছাড়াও উমাইয়া শাসক ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল মালিকের শাসনকালে মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতি বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত কুতাইবা ইবনে মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিহাদ ও সন্ধির মাধ্যমে মুশরিকদের নিকট থেকে সমরকন্দ বিজয় করেন। উক্ত শহরে একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক এবং মিম্বার তৈরির পর তিনি শহরে প্রবেশ করেন।
فَصَلّٰى فِـى الْمَسْجِدِ وَخَطَبَ وَتَـغَدّٰى وَاُتِـىَ بِالْاَصْنَامِ الَّتِـىْ لَـهُمْ فَسُلِـبَتْ بَـيْـنَ يَدَيْهِ وَاُلْقِيَتْ بَـعْضُهَا فَـوْقَ بَـعْضٍ حَتّٰـى صَارَتْ كَالْقَصْرِ الْعَظِيْمِ ثُـمَّ اَمَرَ بِتَحْرِيْقِهَا فَـتَصَارَخُوْا وَتَـبَاكُوْا وَقَالَ الْمَجُوْسُ اِنَّ فِـيْـهَا اَصْنَامًا قَدِيْـمَةً مَنْ اَحْرَقَـهَا هَلَكَ وَجَاءَ الْمَلِكُ غَوْرَكُ فَـنَـهٰى عَنْ ذٰلِكَ وَقَالَ لِـحَضْرَتْ قُــتَـيْـبَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اِنِّـىْ لَكَ نَاصِحٌ فَـقَامَ حَضْرَتْ قُـتَـيْـبَةُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَاَخَذَ فِـىْ يَدِهٖ شُعْلَةَ نَارٍ وَقَالَ اَنَا اُحْرِقُـهَا بِـيَدِىْ فَكِـيْدُوْنِـىْ جَـمِيْـعًا ثُـمَّ لَا تُـنْظَرُوْنَ ثُـمَّ قَامَ اِلَـيْـهَا وَهُوَ يُكَـبِّـرُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَاَلْقٰى فِـيْـهَا النَّارَ فَاحْتَـرَقَتْ
“তারপর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ ছালাত আদায় করেন, খুতবা দেন ও খাদ্য গ্রহণ করেন। অতঃপর সমরকন্দের মুশরিকদের মূর্তিগুলো উনার সামনে উপস্থিত করা হলো এবং সেগুলোকে স্তুপ করে রাখা হলো। মূর্তির সংখ্যা এত বেশি ছিলো যে, স্তুপটি একটি বিরাট প্রাসাদের রূপ ধারণ করলো। তারপর তিনি এগুলোকে পুড়িয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন। তখন তারা ক্রন্দন ও বিলাপ করতে লাগলো। এক অগ্নিপূজারী বললো, ‘এগুলোর মধ্যে একটি পুরানো মূর্তি রয়েছে। যে ব্যক্তি এই মূর্তিটিকে পুড়াবে, সে ধ্বংস হয়ে যাবে।’ সমরকন্দের শাসক গাওরাক এগিয়ে আসলো এবং এই কাজ করতে নিষেধ করলো। আর হযরত কুতাইবা ইবনে মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সে বললো, ‘আমি আপনার শুভাকাক্সক্ষী, আপনি এরূপ কাজ করবেন না।’ তখন হযরত কুতাইবা ইবনে মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দাঁড়ালেন ও অগ্নিশিখা হাতে নিলেন এবং বললেন, ‘আমার নিজের হাতে মূর্তিটিকে পুড়াবো, তোমরা সকলে মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করো, তোমাদেরকে বেশি সময় দেওয়া হবে না।’ তারপর তিনি মূর্তিটির কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং “আল্লাহু আকবার” বললেন ও মূর্তিটির উপর অগ্নিশিখা ফেলে দিলেন। তারপর মূর্তিটি পুড়ে গেল।” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৯/৮৬)
অথচ বর্তমানে ওলামায়ে সূ’রা মুশরিকদের মূর্তি হেফাযতের লক্ষ্যে মন্দিরে যেয়ে মূর্তি পাহারা দিচ্ছে এবং হিন্দুদের পূজার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করছে। ওলামায়ে সূ’দের এই আমল দ্বারা তারা কি এটাই সমস্ত বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছে না যে, আসলে তারা মুসলমান নয়; তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত নয়। তাই তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উনার আদেশ মুবারক মানে না। কারণ প্রকৃতপক্ষে তারা হচ্ছে মূর্তিপূজারী ও মুশরিক। সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও কাট্টা মুরতাদ হয়েছে এবং তাদেরকে যারা অনুসরণ করছে এবং করবে তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে এবং যারা তাদের কুফরী সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করবে, তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে। এদের ইমামতিতে নামাজ পড়া যায়েজ নেই। কারণ এরা মুরতাদ ও কাফির হয়ে গেছে। কেউ যদি তাদের পিছনে নামাজ পড়ে, তাহলে তার নামাজ কখনোই হবে না। তাকে নামাজ অবশ্যই দোহরায়ে পড়তে হবে। অন্যথায় সে শুধুমাত্র নামাজ তরকের গুনাহে গুনাহগারই হবে না বরং সেও মুরতাদ ও কাফির হবে।
(চলবে)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












