যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৩৩)
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ছবি তোলা, আঁকা, বানানো, রাখা হারাম
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, বানানো হারাম এবং শক্ত কবীরা গুনাহ্ ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। যারা বলে বা বলবে বর্তমানে ছবির প্রয়োজন রয়েছে, তারা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে, যদি তওবা না করে। এদের ছোহবত থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ সাধারনভাবে এরাই গুমরাহীর মূল।
১ম দলীল:
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
“তোমরা মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো। ” (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ: ৩০)
২য় দলীল:
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِـى النَّارِ يُـجْعَلُ لَهٗ بِكُلِّ صُوْرَةٍ صَوَّرَهَا نَـفْسًا فَـيُـعَذِّبُهٗ فِـىْ جَهَنَّمَ
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি- প্রত্যেক ছবি বানানোকারী জাহান্নামী অর্থাৎ যারা ছবি তুলে, আঁকে, বানায়, রাখে তারা প্রত্যেকেই জাহান্নামী। তার তৈরিকৃত প্রতিটি ছবিতে জীবন দেয়া হবে। অতঃপর ঐ ছবিগুলো জাহান্নামে তাকে আযাব দিতে থাকবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
৩য় দলীল:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ اِنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَـوْمَ الْقِيَامَةِ اَلْمُصَوِّرُوْنَ
“হযরত ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি- নিশ্চয়ই যারা ছবি তুলে, আঁকে, বানায়, রাখে কিয়ামতের দিন তাদের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
কাজেই, যে সকল ওলামায়ে সূ’রা ছবি তুলে, আঁকে, বানায়, রাখে এবং জায়েয মনে করে, তারা সকলেই কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তাই এরা কখনোই অনুসরণীয় নয়। এদের পিছনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। কারণ কাফিরের পিছনে নামাজ পড়া জায়েয নাই। অবশ্যই এরা কাফির হয়ে গিয়েছে । আর এদেরকে সর্বতভাবেই বর্জন করতে হবে। কেননা, সম্মানিত শরীয়ত উনার উছূল হচ্ছেন- হারামকে হালাল মনে করা বা হালালকে হারাম মনে করা কুফরী এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। অর্থাৎ কাফির হয়ে যায়। (আল বাইয়্যিনাত শরীফ: সংখ্যা ২, ৫, ৬, ৭, ১৫, ১৭, ২০, ২১, ২৩, ২৫, ৩৪, ৩৮, ৪২, ৫০, ৫৫, ৫৯, ৬১, ৭৪, ৮২, ৮৭, ৯৭, ১০৬, ১১৩)
(চলবে)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












