রক্ত নিয়ে বাণিজ্য- মেশানো হচ্ছে স্যালাইন, লবণ পবিত্র দ্বীন ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ব্যতীত রক্ষা নেই।
, ১১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
প্রতি ব্যাগে ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে ৫৫ ভাগ প্লাজমা (পানীয় অংশ) ও ৪৫ ভাগ সেল (কোষ) থাকে। দেখা গেছে, অসৎ ব্লাড ব্যাংকগুলো অধিক লাভের আশায় রক্ত ও প্যাকেটের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য স্যালাইন বা লবণ মিশ্রিত পানি মেশায়। যদি একটি প্যাকেটে ২২ দশমিক ৫০ মিলিলিটার স্যালাইন বা লবণ পানি মেশানো হয় তাহলে ২২ দশমিক ৫০ মিলিলিটার সেল (কোষ) কমে যাবে। ফলে একদিকে বেশি দামে রক্ত কিনে ক্রেতা যেমন প্রতারিত হবে, তেমনি এই রক্ত যে কারও শরীরে ঢুকলে তার জীবন সঙ্কটাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছে, রক্তে কোন কিছু মেশানো হলেই তা মানবদেহের জন্য হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের কোন রক্ত কাউকে দেয়া হলে তা রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। এজন্যই কারও রক্ত নেয়ার আগে রক্তের ৫টি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। রক্ত দাতার রক্ত গ্রহণ করার আগে এইচবিএজি ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাস, এইচসিভি বা ‘হেপাটাইটিস সি’ ভাইরাস, ‘এইচআইভি’ এইডস, সিফিলিস বা কোন যৌন রোগ ও ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইটের জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হয়। রক্তের গ্রুপিং (এবিও) ও ক্রস ম্যাচিংও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রক্ত দাতা শেষ কবে রক্ত দিয়েছে সেই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা হয়। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের যে কোন মানুষ যত সুস্থ সবল হোক না কেন, বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার রক্ত দিতে পারে।
স্ক্রিনিং টেস্টবিহীন জীবাণুবাহী কোন রক্ত যদি গ্রহীতার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে অন্যূন দেড় মাস ও অনূর্ধ্ব দেড় বছরের মধ্যে এই রোগের জীবাণু তার শরীরে স্থায়ী হয়ে যাবে এবং রোগী অনুমিতভাবেই সেই রোগ বহন করবে। রক্তের প্যাকেটে স্যালাইন মিশ্রিত থাকলে রক্তের নির্ধারিত প্লাজমা (জলীয় অংশ), সেল (কোষ) ও রক্তে হিমোগ্লোবিন-এর যে কোন একটির পরিমাণ কমে যাবে। এই রক্ত যার শরীরে প্রবেশ করবে তার জীবন সঙ্কটাপন্ন হবে।
রক্ত বিক্রির এসব প্রতারণার মাধ্যমে অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ রক্ত সংগ্রহ করে বিক্রি হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের কাছে। ফলে অনিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ, স্যালাইন ও লবণ পানি মিশ্রিত রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ঢুকে যাচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর শরীরে। বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। সেই সঙ্গে বাড়ছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংক (বেসরকারি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র)’ সংখ্যা ৬৯টি। রাজধানীতে এই সংখ্যা ৫০টি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে অবৈধ ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে রক্ত কেনা-বেচায় তাদের প্রতারণা ও অপকৌশল।
ব্লাড ব্যাংকের রক্ত গ্রহণে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। দেশে গত ৯ বছরে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার ব্যাগ দূষিত রক্ত শনাক্ত হওয়ার পর তারা এ সতর্কীকরণ বার্তা দিলো। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানায়, শনাক্তকৃত ওই ২৮ হাজার ব্যাগ দূষিত রক্তে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি ও সির মতো মারাত্মক জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে শতকরা ৮১ ভাগ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র। ব্যক্তিমালিকানাধীন রক্তদান কেন্দ্রগুলোর ৪৭ ভাগ কেন্দ্রে কোন পরীক্ষা ছাড়াই রক্ত পরিসঞ্চালনের কাজ চলে বলে অভিযোগ করে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু এক্ষেত্রে মুমূর্ষ মানুষকে রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করার যে কী ফযীলত তার পবিত্র দ্বীন ইসলামী চেতনা প্রসারিত থাকলে পেশাদারদের রক্তের বিভিষীকা থেকে মুক্ত থাকতে পারতো মানুষ। মুক্ত থাকতে পারতো সমাজ।
উল্লেখ্য, ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে, “মৃত্যুপথযাত্রী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর উছীলায় এক দেহব্যবসায়ী মহিলা জান্নাতে গিয়েছে।”
যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে আশরাফুল মাখলুকাত- মানুষকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে সাহায্য করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে কত মহান কাজ তথা নিশ্চিত জান্নাতে যাওয়ার কত বড় উছীলা তা যদি ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসার করা যেতো; তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে সহজেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের প্রবণতা প্রবলভাবে তৈরি হতো।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












