মন্তব্য কলাম
রাজধানী ঢাকা থেকে- “বিমান বাহিনী সরিয়ে দেয়ার জন্য” খ্রিষ্টানী মুখপত্র বিবিসি ইহুদী মুখপত্র ডয়েচে ভেলে রাজাকার ঘরানার মুখপত্র নয়াদিগন্ত একট্টা কেনো?
, ০৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০২ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০১ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী। আন্তর্জাতিক দুটি সংবাদ মাধ্যম এবং দেশের রাজাকার ঘরানার মুখপত্রের খবর শিরোনাম একই।
শুধু তাই নয় খবর বা প্রতিবেদনে যার বিবৃতিকে সংযুক্ত করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং রাজধানীতে বিমানঘাটির বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে যে একজন নামধারী মুসলমান। কিন্তু মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ‘ইহুদীর’ স্ত্রী।
ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ড এবং মুসলমান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিরোধী বিবৃতির জন্য তিনি বিশেষভাবে চিহ্নিত এবং নিন্দিতও বটে।
তিনি প্রখ্যাত এক আইনবিদের কন্যা- আইনজীবি সারা হোসেন।
এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দুটি হলো- বিবিসি ও ডয়েচ ভেলে। আর দেশীয় রাজাকার ঘরানার পত্রিকাটি হচ্ছে ‘নয়াদিগন্ত’।
খবর শিরোনাম
ঢাকা থেকে বিমান ঘাঁটি ও সেনানিবাস সরিয়ে নেয়ার দাবি
উড, ২৩ জুলাই ২০২৫
খবর ভাষ্য
ঢাকায় একটি বিদ্যালয়ে বিমান বিধ্বস্তে বহু হতাহতের পর আবারও রাজধানী থেকে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ও সেনানিবাস অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি উঠেছে।
সোমবার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরপরই অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন, জনবহুল রাজধানীর মাঝে কেন সেনানিবাস রাখতে হবে? দাবি উঠেছে বিমান ঘাঁটিও সরানোর।
ঢাকা থেকে সেনানিবাস ও বিমান ঘাঁটি সরানোর দাবি।
ঢাকাকে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর বলা হয়। এখানে প্রায় ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস করেন। এই শহরের মধ্যে রয়েছে সেনানিবাস ও বিমান ঘাঁটি।
নিরাপত্তা বিবেচনায় এগুলো জনাকীর্ণ ঢাকা শহর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।
ঢাকার আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘‘সেনানিবাসে যে বিধিনিষেধ আছে, অন্যান্য মানুষ ঢুকতে পারে না, এটা আরও সমস্যাজনক। দুই কাতারের মানুষ কেন থাকবে যারা সেনানিবাসে ঢুকতে পারেন এবং অন্যারা পারেন না। রাস্তাঘাট অন্য সবার জন্য অবরুদ্ধ। এগুলোর কোনো যুক্তি দেখি না। ''
খবর ভাষ্য
সারা হোসেন মনে করেন, সোমবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনবহুল এলাকার উপর বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উড়ান নিষিদ্ধ করে সরকারের একটি প্রশাসনিক আদেশ জারি করা উচিত।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, “বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব ছিল। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে প্রশাসনিক আদেশ জারি করা উচিত। ”
সারা হোসেন জানান, এই ধরনের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণে অনুমোদন দেন কারা, এবং অনুমোদনের আগে ঝুঁকি পর্যালোচনা করা হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে বের করে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
খবর প্রতিক্রিয়া
ইহুদী জার্মানীর ইহুদী মুখপত্র ডয়েছে ভেলে মূলত: তার নিজস্ব কুট পরিকল্পনার প্রকাশই ঘটিয়েছে ‘অনেকে প্রশ্ন তুলেছে’- এই কুট-কৌশলে আর তাদের ইহুদী মিত্র সারা হোসেনের জবানে।
সারা হোসেন শুধু বিমানবাহিনী বিমান ঘাটিই নয় সে সেনানিবাসের স্বাতন্ত্র্য নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছে।
অর্থাৎ এদের মতে দেশে সেনানিবাসই না থাকলে ভালো।
একই আঙ্গিকে খবর শিরোনাম করেছে কুখ্যাত বিবিসিও।
ঢাকার আকাশে সামরিক বিমান, শহরে ঘাঁটি ও বিমানবন্দর থাকার ঝুঁকি কী?
বিবিসি নিউজ, ২৫ জুলাই ২০২৫
এ শিরোনামে বিবিসি উপশিরোনাম করেছে
ঢাকা থেকে বিমান বন্দর সরানোর দাবি কেন উঠছে?
কিন্তু বিবিসি এই প্রতিবেদনে কারো বরাতে বিমান বন্দর তুলে দেয়ার দাবী এবং তার পেছনে কারণ বা যুক্তি কোনোটাই দিতে পারেনি।
আরো মজার বিষয় হলো দেশের স্বাধীনতা অবমাননাকারী জামাতী মুখপত্রও একই কায়দায় শিরোনাম করেছে। আর এক্ষেত্রে দুর্দান্ত হচ্ছে এই মুখপত্রটি চৌর্যবৃত্তিরও আশ্রয় নিয়েছে। বিবিসির রিপোর্ট চুরি করে প্রায় হুবহু একই প্রতিবেদন নিজেদের নামে প্রকাশ করেছে।
নয়াদিগন্ত
ঢাকার আকাশে যুদ্ধবিমান শহরে ঘাঁটি ও বিমানবন্দর থাকার ঝুঁকি
শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ০০:৩২
এসব ষড়যন্ত্রী ও কুচক্রীদের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে বিমান বাহিনী।
খবর শিরোনাম
রাজধানীতে বিমানঘাঁটি ‘অত্যাবশ্যক’: বিমানবাহিনী
ঢাকার একটি স্কুলে বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর নানামুখি আলোচনার মধ্যে এ প্রতিক্রিয়া এল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
২৮ ঔঁষ ২০২৫, ০৫:৫৬ চগ
খবর ভাষ্য
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বলেছে, দেশের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য রাজধানীতে বিমান ঘাঁটি থাকা ‘অত্যাবশ্যক’ এবং পৃথিবীর যে কোনো দেশের রাজধানীর জন্যই এটি ‘প্রযোজ্য’।
ঢাকার একটি স্কুলে বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর নানামুখি আলোচনার মধ্যে এ প্রতিক্রিয়া এল।
বিমানবাহিনীর বিমান পরিচালনা পরিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমডোর শহীদুল ইসলাম সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রাজধানীর স্ট্র্যাটিজিক এবং অপারেশনাল নেসিসিটির সুবাদে এই দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা তথা রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য রাজধানীতে জঙ্গি বিমানের ঘাঁটি থাকা অত্যাবশ্যক। ”
এয়ার কমডোর শহীদুল ইসলাম বলেন, “যুদ্ধবিমান পরিচালনা, উড্ডয়ন এবং ল্যান্ড করার জন্য সুপরিসর রানওয়ে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, মেনটেইনেন্স এবং লজিস্টিকস ফ্যাসিলিটিজ, ফুয়েল স্টোরেজ, রেডার ফ্যাসিলিটিজ এর সবগুলাই দরকার হয়।
“বিমান ঘাঁটিগুলো যেখানেই থাকুক, ফ্যাসিলিটিগুলো থাকতে হয়। কিন্তু অপারেশনাল এবং স্ট্র্যাটিজিক নেসিসিটির জন্য পৃথিবীর যে কোনো দেশের রাজধানীতে বিমানঘাঁটি অত্যাবশ্যক। ”
তিনি বলেন, “জঙ্গি বিমানের স্কোয়াড্রনগুলোর প্রয়োজনীয় ট্রেনিং সারা বছরব্যপী চলমান থাকে। ওই অপারেশনাল বিমানগুলোতেই আমরা ট্রেনিং করে থাকি। ”
প্রশিক্ষণ বিমানগুলোতে দুইজন পাইলট থাকেন এবং ‘সিঙ্গেল সিটার’ যুদ্ধ বিমানগুলোর ‘ক্যাপাসিটি এবং ক্যাপাবিলিটি সহই’ যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একমাত্র রানওয়ে হওয়ায় এটি সামরিক-বেসামরিক উভয় বিমানের উড্ডয়নের জন্যই ব্যবহৃত হয়।
এমনকি বেসামরিক হেলিকপ্টারও ব্যবহার করে এই এয়ারপোর্ট।
তবে সামরিক প্রশিক্ষণ ঢাকার আকাশে হয় না বলেই জানাচ্ছেন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। বিমান বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ এলাকা সেটা ঢাকার বাইরে অবস্থিত বলে তিনি জানান।
“ঘাটাইল, টাঙ্গাইল, মধুপুর, শ্রীপুর - অর্থাৎ ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর- এই যে এলাকা সেটা হচ্ছে ডেজিগনেটেড ফ্লাইং ট্রেনিং এরিয়া। যে এয়ারক্রাফট উড়েছে নিয়ম হচ্ছে, সেটা টেকঅফ করবে। এরপর বামদিকে টার্ন করে মিরপুর হয়ে যাবে,” বলেন মি. চৌধুরী।
তিনি বলেন, “কিন্তু বিমান ঘাঁটি তো ঢাকায় এবং রানওয়ে তো একটাই। ফলে এখান থেকেই সামরিক বিমানগুলোকে উড়তে হয়। তবে প্রশিক্ষণ এলাকা কিন্তু বাইরে। "
খবর প্রতিক্রিয়া
ঢাকার তেজগাঁওয়ের দাইনোদ্দা নামক স্থানে প্রথম একটি বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে ১৯৪১ সালে। সেই একই সময় কুর্মিটোলার বালুরঘাটে একটি ল্যান্ডিং স্ট্রিপ নির্মাণও শুরু হয়।
তেজগাঁও ও কুর্মিটোলার এয়ার স্ট্রিপগুলোতে সামরিক ফাইটার প্লেন অবতরণের সুবিধা ছিল এবং ব্রিটিশ বিমান বাহিনী তাদের বিমানকে নিরাপদে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই দুটো এলাকা ব্যবহার করেছিলো সেসময়।
পরে তেজগাঁও বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য আপগ্রেড করা হয়। পাকিস্তান আমলে এটাই বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো।
কিন্তু এই বিমানবন্দরটি একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং শহরের বাইরে বিমানবন্দর সরিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে ঢাকার কুর্মিটোলায় একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কাজে ফরাসি বিশেষজ্ঞদের কারিগরি সহায়তায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয় গত শতকের ষাটের দশকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং অপারেশনাল কার্যক্রম তেজগাঁও থেকে কুর্মিটোলায় চলে আসে।
শহীদ জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর শাসনামলে পাকিস্তানের সাথে সামরিক সহযোগিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। যার ফলস্বরূপ ১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে পাকিস্তান কয়েক স্কোয়াড্রন এফ-৬ যুদ্ধবিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে উপহার হিসেবে প্রদান করে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়া থেকে ৮টি চতুর্থ প্রজন্মের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিকে জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ বিমান
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বর্তমানে ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামক একটি উচ্চাভিলাষী আধুনিকায়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠছে। এই পরিকল্পনার অধীনে বিমান সক্ষমতা এবং ভূমি-ভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুইটিই শক্তিশালিতা করা হচ্ছে। ২০১১ সালে কক্সবাজারে নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ঢাকায় স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিমানঘাঁটি। ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ও পাইলট উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষায়িত ইউনিট স্কোয়াড্রন ৪১।
২০১০ সাল থেকে বিমান বাহিনীতে ১৬টি এফ-৭বিজিআই যুদ্ধ বিমান, ১৬টি উচ্চতর জেট প্রশিক্ষণ বিমান, ৯টি কে-৮ প্রাথমিক জেট প্রশিক্ষণ বিমান, ৩টি এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান এবং ২৩টি পিটি-৬ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ বিমান যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে আরও যুক্ত হয়েছে ১৬টি এমআই-১৭১এসএইচ যুদ্ধ হেলিকপ্টার, ২টি এডব্লিউ-১৩৯ সামুদ্রিক উদ্ধার ও অনুসন্ধান হেলিকপ্টার এবং ২টি এডব্লিউ-১১৯কেএক্স প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার।
২০১১ সালে এফএম-৯০ স্বল্প পাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের মধ্য দিয়ে বিমান বাহিনী ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জন করে। এখন পর্যন্ত বিমান বাহিনী দুই রেজিমেন্ট এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করেছে। ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে জেওয়াই-১১বি, জেএইচ-১৬, ওয়াইএলসি-৬ এবং ওয়াইএলসি-২ রাডার ব্যবস্থা।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার ও বিমানসেনা মিলিয়ে ৬০০ এর অধিক জনবল, ১২টি হেলিকপ্টার ও ১টি পরিবহন বিমান বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে হাইতিতে ৩টি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার, মালিতে ৩টি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার এবং কঙ্গোতে ৬টি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার ও ১টি সি-১৩০বি পরিবহন বিমান মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া লাইবেরিয়া, আইভরি কোস্ট প্রভৃতি দেশেও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হচ্ছেন একজন চার তারকা এয়ার চিফ মার্শাল পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের চারটি শাখা রয়েছে: অপারেশন্স, প্লানস, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মেইনটেনেন্স। প্রত্যেক শাখার প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান। প্রত্যেক সহকারী বিমান প্রধানের অধীনে রয়েছে একাধিক পরিদপ্তর যার পরিচালক হিসেবে থাকেন একজন এয়ার কমোডোর বা গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার কর্মকর্তা। প্রত্যেক পরিচালকের অধিনে থাকেন সহকারী পরিচালক এবং স্টাফ অফিসার পদের কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালনের জন্য বিমান বাহিনীকে দক্ষিণ বিমান কমান্ড ও উত্তর বিমান কমান্ড নামক দুইটি কমান্ডে ভাগ করা হচ্ছে। দক্ষিণ বিমান কমান্ডের অধীনে একটি মেরটাইম এয়ার সাপোর্ট অপারেশন সেন্টার (এমএএসওসি) স্থাপন করা হবে। সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ বিমান কমান্ডের অধীনে বরিশালে একটি বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। একই সাথে কক্সবাজার বিমানঘাঁটির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সিলেটে আরেকটি বিমান ঘাঁটি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকার বাশার বিমান ঘাঁটি, চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি, যশোরে মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি ও কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে এয়ার ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্স (এটিএস) রাডার স্থাপনের কাজ চলছে। বিমান বাহিনী ১০৫ অ্যাডভান্সড জেট ট্রেনিং ইউনিট নামক একটি উন্নত প্রশিক্ষণ ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে। এই ইউনিটটি যুদ্ধবিমানের পাইলটদের উন্নত প্রশিক্ষণের কাজ করবে। এই ইউনিটের অধীনে থাকবে তিনটি প্রশিক্ষণ স্কোয়াড্রন।
প্রসঙ্গত বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দেশবাসী শক্ত হাতে নস্যাত করবে ইনশাআল্লাহ।
পাশাপাশি রাজধানীতে বিমান বাহিনী শুন্য করার সার্বভৌমত্ব বিরোধী কুচক্রও দেশবাসী চিরতরে নির্মূল করবে ইনশাআল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ বিমান বাহিনী রাজধানীতে আরো সমৃদ্ধ হোক এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












