মন্তব্য কলাম
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে
তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশ বাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রকে পশুর নদ ও সুন্দরবন বিনাশী আখ্যায়িত করে এটি বন্ধের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ আন্দোলনকারীরা। গত পরশু জুমুয়াবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার নারিকেলতলায় এক জনসমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ ও ‘পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’।
জনসমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের স্বার্থে বনবিনাশী এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। অবিলম্বে এ প্রকল্প বাতিলসহ নিরাপদ পানি, বায়ু এবং টেকসই জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদ দূষণের ফলে মাছসহ পানিজ প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ধরিত্রী বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প নবায়নযোগ্য সৌরব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানান তারা।
ইতোপূর্বে দেশের পরিবেশ ও বন রক্ষার ইতিহাসে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তির দিনটি, অর্থাৎ ১২ জুলাইকে কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটির পক্ষ থেকে রামপাল চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
১৩ই জুলাই ২০১৬ সালে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল। বক্তারা বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারত লাভবান হবে। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে বিপর্যয় ঘটবে বাংলাদেশের।
মঈন খান বলেন, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তিতে কয়লা আমদানি বিষয়ে যেসব দেশের নাম উল্লেখ রয়েছে, তা আসলে ভাওতাবাজী। আসলে সমস্ত কয়লা আমদানি করা হবে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে। যে কয়লা ভারতে নিষিদ্ধ সেসব কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। সত্যিই ‘সেল্যুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ।
পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, দশ বছর এই প্রকল্প চালু থাকলে দেশের ২৫ শতাংশ তলিয়ে যেতে পারে, ৩৬ শতাংশেরও বেশি কৃষিজমি উৎপাদনশীলতা হারাতে পারে, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উচ্ছেদ হতে পারে হাজার হাজার পরিবার।
চুক্তি অনুযায়ী ৭০ শতাংশ ঋণগ্রহন বিষয়ে তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ প্রকল্প কোনো কারণে বাস্তবায়ন না হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে বাংলাদেশকে। ঋণ গ্রহণের কথা উল্লেখ থাকলেও এই ঋণ কার কাছ থেকে, কোত্থেকে, কিভাবে গ্রহণ করা হবে চুক্তিতে তার কোনো কিছুই উল্লেখ নেই।
বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে পরিবেশ বিধ্বংসী এই প্রকল্প করার অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে বক্তব্যে অভিযোগ করেন মঈন খান।
বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার যুক্তি-তর্ক, মতামত আমলে নিচ্ছে না। তাই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করতে হলে জনগণের প্রতিরোধ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এখন কাজ হচ্ছে পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্প গ্রহণ করা। এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও এর আগের সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজ উপায় বাদ দিয়ে সবচেয়ে কঠিন উপায়ে বেছে নিয়েছে লুটপাট করতে।
তিনি এসবের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ষাটের দশকে কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠার পর চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে লুটপাট, সহিংসতার পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে কতিপয় স্বার্থন্বেসী মহল।
ভারতের আইন অনুযায়ী ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ভারতেই বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে পারেনি। সেই এনটিপিসিকে বাংলাদেশে ডেকে এনে বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশ কিংবা ভারতের সম্পদ নয়, গোটা বিশ্বের সম্পদ। সুতরাং এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় দুই দেশের সরকারকেই নিতে হবে।
পরিবেশবাদী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচে নির্মিত এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। আর ২য় ইউনিট উৎপাদনে যায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। যান্ত্রিক ত্রুটি ও কয়লা সংকটে এখন পর্যন্ত অন্তত পনেরো বার বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রটি।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন কয়েকটি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় নদীতে মাছ ধরে প্রায় সবার জীবিকা নির্বাহ হলেও নদীতে মাছ কমে গেছে। বর্তমানে তিন বেলা ভাত যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে মাছ থাকলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য পানিতে পড়ায় মাছ কমতে শুরু করে নদীতে। সারাদিন মাছ ধরেও খাওয়ার খরচ ওঠে না তাদের।
আমজাদ হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘কেন্দ্র হওয়ার আগে ওই জমিতে আমরা ধান চাষ ও মাছ ধরে খেতাম। ধান রোপণ, কাটা ও মাছের ঘের প্রস্তুতের জন্য অনেক শ্রমিক লাগত। সেগুলো এখন আর লাগে না। ফলে আমাদের জীবিকার বড় একটি ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে দূর-দুরান্তে কাজে যেতে হয়। ’
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ওই এলাকায় ১ হাজার ৮৩৪ একর বিলান জমি অধিগ্রহণ করা হয় বলে জানা যায়।
সম্প্রতি সরকার (পানি সম্পদ মন্ত্রণায়ল) পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর পর থেকেই কয়লা পরিবহনে দূষিত হচ্ছে সুন্দরবন এলাকার নদী ও বন। জেটি থেকে শর্ত ভঙ্গ করে উন্মুক্তভাবে খালাস করা কয়লা সরাসরি পড়ছে নদীতে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার ছাই এবং কেন্দ্র থেকে নির্গত পানি শর্ত ভঙ্গ করে পরিশোধন ছাড়াই মিশছে প্রকৃতিতে। ফলে এ এলাকায় বাড়ছে নাইট্রেট, ফসফেট, পারদসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিকের মাত্রা। যার বিরুপ প্রভাব দৃশ্যমান পানিজ ও বনজ জীব বৈচিত্রের ওপর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবন সংলগ্নসহ প্রকল্প এলাকাগুলো করমজল, হারবাড়িয়া, আকরাম পয়েন্ট ও হিরণ পয়েন্টে কোনো পাখির বাসা দেখা যায়নি। চারণভূমি বিলুপ্ত হয়েছে, গৃহপালিত প্রাণীর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। প্রকল্প এলাকার ৭০ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে থাকা মৎস্য মানুষের আহারের জন্য বিপজ্জনক বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
পরিবেশবাদী ও নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময় কয়লাবাহী জাহাজডুবিতে শত শত টন কয়লা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর পানিতে মিশেছে। এর ক্ষতি সরাসরি দৃশ্যমান না হলেও বন ও নদীর প্রাণ-প্রকৃতি এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. নাসিফ আহসান বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থানীয় পরবেশ এবং অর্থনীতি দুই খাতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একদিকে প্রায় কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ থাকে, তখনও বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ রাষ্ট্রকেই ব্যয় করতে হয়। আবার যখন কয়লা আসে সেটি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে আনা হয়। যেটাকে বলে ফাইন ডাস্ট। এটি পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিভিন্ন সময় এসময় কয়লা বোঝাই জাহাজ বা কার্গো নদীতে ডুবে যায়। সঙ্গত কারণেই তখন নদীর পানি দূষণসহ ওই অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পরিবেশের বিপর্যয় হবে জেনেও ভারতকে খুশি করার জন্য রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল বলে জানান সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বলা হয়েছিল আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু বাস্তবে সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করায় রামপাল-মোংলার মাটি, বাতাস, পানি দূষণের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের কর্মসংস্থান কমে আসছে, স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে বহুগুণ। ক্রমাগত এ দূষণ এখনই ঠেকানো না গেলে সুন্দরবনসহ এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যে দেখা দেবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রামপাল বিদ্যুতের বিরুদ্ধে তখন সব পরিবেশবাদী সংগঠনের সাথে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলো। বর্তমান পরিবেশ উপদেষ্টার সংগঠন বেলাও। প্রসঙ্গত বেলায় খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় করণীয় বক্তব্য এখানেই তুলে ধরা হলো:-
শুধু রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, রামপাল-মোংলায় অবস্থিত আরও শতাধিক ভারী শিল্পের দূষণে নদীতে প্রাণীর সংখ্যা যেমন কমে আসছে। তেমনি বায়ু দূষণের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) খুলনার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘সারা বিশ্বই যখন কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনতে সোচ্চার, তখন এ ধরনের প্রকল্প সুন্দরবন, নদী ও প্রকৃতির ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমরা দেখেছি, যে একশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার ওপরের পানি পশুর নদীতে পড়ছে। অনবরত ছাই সুন্দরবন ও নদীতে পড়ছে। জীববৈচিত্র্যর যে ইকো সিস্টেম সেটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ’ এভাবে চলতে থাকলে হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক সম্পদ আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়, যোগ করেন তিনি।
মহাশ্লেষ, আত্ম শ্লাখা, আত্ম প্রতারণার প্রশ্ন যেই বেলা আর আজকের বেলা কী এক নয়?
সেই রিজওয়ানা আর আজকের রিজওয়ানী কী এক নয়?
সেই সুন্দরবন আর আজকের সুন্দরবন কী এক নয়?
সেই সময়ের পরিবেশবাদী চেতনা আর আজকের পরিবেশবাদী চেতনা কী এক নয়?
সে সময়ের পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা রামপালের বিরোধীতা আর আজকের পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা কী এক নয়? (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












