সংস্কারের অভাবে জৌলুস হারাচ্ছে ঢাবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
এডমিন, ০৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১১ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন

নির্মাণশৈলী, কারুকাজ ও নান্দনিকতায় মসজিদটি অনন্য। রয়েছে দু'টি মিনার, ভেতরে গোলাকার বেশ কিছু পিলার, কারুকাজখচিত দরজা-জানালা ও ঝাড়বাতি। ২৩টি সারির প্রতিটিতে ৭৫-৮০ জন মুসুল্লি দাঁড়াতে পারেন। বারান্দায় আছে আরও ১০টি সারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। দিন দিন মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। জুমুয়াবার ও ঈদে মুসল্লিদের সমাগম বেশি ঘটে। ফলে রাস্তায় নামাজ পড়তে হয়। মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা খুবই জরুরি।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত একশো বছরে প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মসজিদটির অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন ঘটেনি। এতবছর পুরনো এ মসজিদে প্রয়োজন অনুসারে খুব একটা সংস্কারকাজও পরিলক্ষিত হয়নি, হয়নি কোন চোখে পড়ার মতো কোন পরিবর্তন।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা খুব দ্রুত মসজিদটিকে আধুনিকায়ন করে নতুন রূপ দানের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের দেয়াল ও ছাদের বেশকিছু অংশের পলেস্তারা এবং রঙ অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়ালে লাগানো লোহার গ্রিল জং ধরে গেছে। ফ্লোরের আস্তরণেরও অনেক জায়গায় ছোট-ছোট ফাটল দেখা গেছে। সমাপ্ত!!!