মন্তব্য কলাম
সংস্কারের দাবিদার বর্তমান সরকারও প্রচলিত রপ্তানির বৃত্তের মধ্যেই আবদ্ধ। আম রপ্তানির ২৬টি বাধা দূরীকরণে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। বাংলাদেশে বৎসরে ১ কোটি টন আম উৎপাদন সম্ভব ইনশাল্লাহ। হাজার হাজার কোটি টাকা রপ্তানিও সম্ভব ইনশাল্লাহ।
সেদিকে নজর না দিয়ে সংস্কারের নামে কুসংস্কারের প্রতি যেন সরকারের দৃষ্টি আবদ্ধ।
, ২৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪ হেক্টর জমিতে ২৭ লাখ টন আমের উৎপাদন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় আম পাড়া শুরু হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২১ লাখ ৪৩ হাজার টন আম উৎপাদন হয়েছিল। এর মধ্যে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৩০৯ টন। ২০১৯-২০ সালে দেশে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হলেও রপ্তানি হয়েছে ২৮৩ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে আমের ফলন হয়েছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৪৯৯ টন; রপ্তানি হয় ১ হাজার ৭৫৭ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল ২৭ লাখ ৭ হাজার ৪৫৯ টন; রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ১০০ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন হয় ২৫ লাখ ৮ হাজার ৯৭৩ টন; রপ্তানি হয় ১ হাজার ৩২১ টন আম।
আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। শুধু পরিমাণের দিক থেকে দেশে ফলের রাজা হয়েছে, তা নয়। অন্তত ছয়টি জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য এই আম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হিসাবে, দেশে ২ লাখ ৩৫ হাজার একর জমিতে আমবাগান রয়েছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ৭৭ কেজি করে আম উৎপাদিত হয়।
বাংলাদেশ হতে রপ্তানিকৃত আমের জাতের মধ্যে হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হাড়িভাংগা, আম্রপালী, ফজলি, সুরমা ফজলি আম উল্লেখযাগ্যে। ২২টি জেলায় এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমের চাষ হচ্ছে। এত উৎপাদনের পরও রপ্তানির তলানিতে বাংলাদেশ। রপ্তানিকারকরা বলছেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। এত বেশি দামে আম কিনতে চাচ্ছেন না বাইরের ক্রেতারা।
ঢাকা-লন্ডন রুটে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া ছিল কেজিতে ১৮৪ থেকে ২৪৩ টাকা, যা বেড়ে বর্তমানে ৪৮৬ টাকা। একইভাবে কানাডায় আম পরিবহনে প্রতি কেজিতে ৩৩৩ থেকে বেড়ে ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৬২৫ টাকায়। বর্তমানে প্রতি কেজি ফল পাঠাতে ইউরোপে ৩৫০-৩৮০ টাকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ২০০-২২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়।
আম রপ্তানিকারক ও গ্লোবাল ট্রেড লিঙ্কের স্বত্বাধিকারী বলে, ভারত, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো আম রপ্তানিতে আলাদা কার্গো ফ্লাইট ব্যবহার করে, অথচ বাংলাদেশ নির্ভর করে যাত্রীবাহী বিমানের ওপর। প্যাকিং হাউস করা হয়েছে শ্যামপুরে, পণ্য পাঠাতে হয় বিমানবন্দর থেকে। অথচ দুটো একই জায়গায় হওয়া প্রয়োজন ছিল। এতে খরচ কমত।
আম রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও প্রায় ২৬টি বড় কারণে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় আম রপ্তানিতে সকল সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ দূর করে রপ্তানি বাড়াতে করণীয় নির্ধারণে আবারো সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশভিত্তিক আম উৎপাদনের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে একটি পার্শ্ববর্তী দেশ। ২০১৯ সালে দেশটিতে আম উৎপাদন হয়েছে ২৫০ লাখ মেট্রিক টন। যা বিশ্ব উৎপাদনের প্রায় ৪৬ ভাগ। আম উৎপাদনে এর পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চীন, মেক্সিকো, পাকিস্তান ও মালয়।
সুস্বাদু এই ফলের উৎপাদনে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১৪ লাখ মেট্রিক টন। যা বিশ্ব উৎপাদনের দুই দশমিক ছয় ভাগ। যদিও বেসরকারি হিসেবে আমের উৎপাদন প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সপ্তম উৎপাদনকারী দেশ হয়েও বাংলাদেশ মাত্র পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের আম রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে।
সরকার আম রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে ২৬টি কারণকে চিহ্নিত করেছে। এগুলো হচ্ছে- আম উৎপাদনে কৃষির উত্তম চর্চার অভাব, রপ্তানিযোগ্য উচ্চমূল্যের জাতের অপর্যাপ্ততা, নিরাপদ ও আন্তর্জাতিক গুণগত মানসম্পন্ন আমের জাত নির্বাচন ও উৎপাদনে ঘাটতি, নতুন বাজার যাচাই ও সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণে সমন্বয়ের অভাব, প্রান্তিক বা মাইক্রো লেভেলে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও লজিস্টিক প্রাপ্তিতে সমস্যা, উৎপাদিত আমের সেলফ লাইফ কম।
সংগ্রহাত্তের পর্যায়ে উৎপাদিত আমের ট্রেসিবিলিটির অভাব, সটিং এবং গ্রেডিংসহ সংগ্রহাত্তের পর্যায়ে কুলিং ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, পরিবেশ বান্ধব ও ভারসাম্যপূর্ণ মাটির উর্বরতা ব্যবস্থাপনার অভাব, কর্মী শ্রমিকের নিরাপত্তা ও অসচেতনতা, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি আমের ব্র্যান্ডিং ইমেজ সৃষ্টি না হওয়া, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিংয়ের অভাব ইত্যাদি।
আম একটি বহুবিধ ব্যবহারযোগ্য গাছ। টাটকা ফল হিসেবে আম কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা আম থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আচার, আমচুর, চাটনি, মোরব্বা, জুস, জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ, আমসত্ত্ব, লিকার, পাল্প, টফি, মধু, বরফি, পাউডারসহ নানাবিধ খাবার এবং পানীয় প্রস্তুত করা হয়।
এই গাছের শিকড়, বাকল, কাঠ, পাতা, ফলসহ প্রতিটি অঙ্গ মানুষ বিভিন্ন কাজে যেমন-খাদ্য, জ্বালানি, আসবাবপত্র, বাসস্থান তৈরি, পশুখাদ্য, ওষুধপত্র তৈরিসহ নানানভাবে ব্যবহার করে।
এছাড়া আম বৃক্ষজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ বিধায় এর কার্বন সংরক্ষণক্ষমতা বেশি হওয়ায় পানিবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই গাছের পরিচিতি, ফলের জনপ্রিয়তা, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুতপূর্ণ ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালে সরকার আমগাছকে জাতীয় বৃক্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে দেশের বর্তমান অবস্থান দশম। আয়তনে ছোট হলেও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১০ বছরে দেশে আমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দেশে ও বিদেশে ফলের ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হলেও এর ক্ষুদ্র একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। ফলে কাক্সিক্ষত পরিমাণ রপ্তানিযোগ্য ফলের উৎপাদন এখনো সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের কৃষি বর্তমানে চিরাচরিত কৃষিব্যবস্থা থেকে বাণিজ্যিক কৃষিব্যবস্থায় রূপান্তরের পর্যায়ে রয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, তৈরি পোশাককে প্রাধান্য দিতে গিয়ে পচনশীল রপ্তানি পণ্যকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। বিদেশি উড়োজাহাজগুলোকে পচনশীল রপ্তানি পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দের শর্ত সরকারই আরোপ করতে পারে। এটি করা হলে এসব পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকত।
আম রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে রপ্তানিযোগ্য উন্নতজাতের আমের অভাব। স্থানীয় আমের জাতগুলোর জীবনকাল কম, দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। মানসম্মত কৃষি পদ্ধতির চর্চা, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিংয়ের অভাব, নতুন বাজার সৃষ্টিতে সমন্বয়হীনতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি আমের ব্র্যান্ডিং সংকটের কারণে রপ্তানিতে সুফল আসেনি। এ অবস্থায় সরকার আম রপ্তানি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজছে। গুণগত মান ঠিক রেখে আম উৎপাদন করে রপ্তানিতে এবার রেকর্ড গড়তে চায় কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চীনে ৫০ হাজার টন আম রপ্তানি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য দেশের চেয়ে চীনে পরিবহন ব্যয় কম। ফলে গুণগত মান ঠিক রেখে আম উৎপাদন করতে পারলে কম পরিবহন ব্যয়ে বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠতে পারে দেশটি।
আম রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৫ জুন সপ্তাহব্যাপী কাতারের রাজধানী দোহারের বাণিজ্য এলাকা খ্যাত সুক ওয়াকিফে ফলমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এতে বাংলাদেশি আম, লিচু ও কাঁঠাল নিয়ে হাজির হবে ৬০টি স্টল। বলাবাহুল্য এ ধরনের উদ্যোগ আরো জোরদার এবং আরো ব্যাপক হওয়া প্রয়োজন।
কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের নানামুখী উদ্যোগে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে আম উৎপাদনে ৭ম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ থাকায় এবং পৃষ্ঠপোষকতার ঘাটতি থাকায় আম রপ্তানিতে এখনো তলানিতে বাংলাদেশ।
এক্ষেত্রে সরকারী ও বেসরকারী সকলকে যুগপৎভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। বিগত সরকারগুলো শুধু প্রচলিত খাত গামেন্ট রপ্তানির বৃত্তেই আবদ্ধ থাকতো।
সংস্কারের দাবিদার অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এক্ষেত্রে সংস্কারের আশা প্রাসঙ্গিক ছিলো।
কিন্তু সে আশাকে হতাশায় পরিণত করছে তারা। সংস্কারের নামে কুসংস্কারেই ধাবমান তারা।
জনগণকে তাই নিজেদেরই উদ্যোগী হতে হবে। আম উৎপাদন ও রপ্তানির সুফল দেশবাসীকে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












