মন্তব্য কলাম
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
, ৫ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২২ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম

বিগত সরকারের আমলে জিডিপিকে যেভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে সেভাবে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও শিল্প উৎপাদন বাড়েনি। সমসাময়িক প্রতিযোগী অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বিনিয়োগ, রফতানি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদেশী বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশসহ বিভিন্ন সূচকেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। সরকারের পরিসংখ্যান যদি সঠিক হতো তাহলে এসব সূচকে বাংলাদেশ এতটা পিছিয়ে থাকার কথা নয়। তবে বিগত সরকার জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখালেও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখিয়েছে। ফলে সঠিক তথ্যের অভাবে চাহিদা ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাগত সব ক্ষেত্রেই বড় ধরনের ত্রুটি রয়ে গেছে। এ অবস্থায় বর্তমান প্রয়োজন অনুযায়ী জিডিপির প্রকৃত আকার নিরূপণসহ সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য-উপাত্তের স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিতেও আরো কঠোর অবস্থান নেয়া জরুরি।
পরিসংখ্যান নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হওয়ার পেছনে সহজ ভাষায় প্রধান দুটি কারণ থাকতে পারে। এক. যদি কোনো অদক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে কাজটি করানো হয়। দুই. যদি পরিসংখ্যানের রাজনৈতিকীকরণ হয়। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে দ্বিতীয় কারণটিই দেশে পরিসংখ্যান বিভ্রাটের সবচেয়ে বড় কারণ। বানোয়াট পরিসংখ্যান বানানোর কাজটি করা হতো সাবেক এক পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে। তিনিই ছিলেন কৃত্রিম পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী। ২০১৪ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পরিসংখ্যানের বিভ্রান্তি প্রকট হতে থাকে। মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পাঁচ-ছয়জনের একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ উঠেছে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও বাড়তে থাকে পরিসংখ্যানগত ব্যবধান। এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত।
পরিসংখ্যানগত বিভ্রান্তি জাতীয় অর্থনীতির লক্ষ্য নির্ধারণ, নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আস্থার সংকট তৈরি হয়। অনাস্থা তৈরি হয় দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিসংখ্যানকে রাজনীতিতে জড়িয়ে ফেললে তা সঠিক নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ে যায় সামষ্টিক অর্থনীতি। দেশে রাজনৈতিক কারণে পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনে সরবরাহ করা হয়েছে বিকৃত পরিসংখ্যান। এসব ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণের কারণেই ধাক্কা লেগেছে দেশের অর্থনীতিতে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের পাশাপাশি দেশের আর্থিক খাতের অবস্থা নিরূপণের জন্য শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করে। যেখানে দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদরা তিন মাস কাজ শেষে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনেও বিগত সময় পরিসংখ্যান কারসাজির মাধ্যমে উন্নয়নের বয়ান তৈরির অভিযোগ আনা হয়। এতে বলা হয়, ২০১০-১৯ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখানো হলেও কিসের ভিত্তিতে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা ছিল না। এমনকি একটি মডেলে ২০১৩ সালের পর থেকে দেশের প্রবৃদ্ধি নামতে থাকলেও সরকারের ঘোষিত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধির উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার এমন ব্যবধান শুধু বাড়ছিল। জিডিপির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করতে হলে এখন সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া বিগত সময়ে রফতানি তথ্যের মধ্যেও ছিল বাড়িয়ে দেখার প্রবণতা। এ বিষয়ে প্রশ্ন বাড়তে থাকায় অবশেষে গত বছর ইপিবির রফতানির তথ্য থেকে এক ধাক্কায় ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার বাদ দিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইভাবে এনবিআর ও সিজিএর রাজস্ব আহরণের তথ্যে পার্থক্য দেখা দেয় ৯৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকার বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আয় নিয়ে এমন গরমিল দেখা দেয়ায় হিসাব পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে এনবিআর।
বিবিএস থেকে প্রকাশিত অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর তথ্য বলছে, বিগত এক দশকে দেশে তেমন শিল্পায়ন ঘটেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বিপুল বিনিয়োগ ও বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এসবের সুফল মেলেনি অর্থনীতিতে। ২০০১-১৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১০০ শতাংশ শিল্পের প্রসার ঘটলেও গত ২০১৩-২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ বিগত এক দশকে শিল্পায়নের হারও থমকে ছিল। তবে শিল্প খাত থমকে থাকলেও বিগত সময় থেকেই দেশের অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বড় করে দেখানো হয়েছে। যেহেতু সেবা খাতের সঠিক আকার হিসাব করা কঠিন, তাই এর সুযোগ নিয়ে খাতটিকে বড় করে দেখিয়ে জিডিপির আকার বড় দেখানো হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনীতির স্বার্থে পরিসংখ্যান রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা জরুরি। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সরকারের উচিত যেকোনো নীতি প্রণয়নের আগে সঠিক পরিসংখ্যানের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া। তথ্য-উপাত্তের সঠিকতা যাচাই করতে ডাটা কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ব্যাংকের পরিসংখ্যানও পর্যালোচনা করার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল। যদিও এখনো ডাটা কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাস্তবতার নিরিখে বর্তমান বিশ্বে পরিসংখ্যান এমন একটি স্বীকৃত বিজ্ঞান, যার ওপর ভিত্তি করে দেশ, জাতি, করপোরেট বিশ্বের যত সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিসংখ্যানহীন যেকোনো তথ্য-উপাত্ত, বিশ্লেষণ এমনকি সিদ্ধান্তও এখন একেবারেই অচল। তথ্য-উপাত্তের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে আধুনিক কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য নানা অঙ্গনেও। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে তথ্য-উপাত্তের ব্যবহার ও পরিসংখ্যানের গুরুত্ব। বিশেষ করে পরিকল্পিত অর্থনীতির জন্য সঠিক পরিসংখ্যান অপরিহার্য হয়ে পড়ে। সে সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি প্রবল থাকায় সঠিক তথ্য প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সব সময়ই ছিল। কিন্তু এখন আরো অনেক বেড়েছে। কারণ দেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বুঝতে হলে পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই। তাছাড়া জাতির উন্নয়ন আর অগ্রগতি যাই বলি, সবকিছুর সঙ্গেই তথ্য-উপাত্ত জড়িত। মানুষের সুষম উন্নয়নের জন্যও তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সঠিক, সময়োপযোগী এবং মানসম্মত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনশুমারি, কৃষিশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ বিভিন্ন প্রকার সার্ভে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে থাকে বিবিএস। তবে সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অনুমানের বেড়াজাল থেকে পরিসংখ্যানকে বের করে আনা বিরাট চ্যালেঞ্জ। নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়নে এবং দিকদর্শনের জন্য যা অপরিহার্য। সুষ্ঠু পরিসংখ্যানই নিরসন করতে পারে ফসল উৎপাদন, আমদানি কিংবা রপ্তানিসহ বহু কাজের বিদ্যমান বিভ্রান্তি বা বিব্রতকর পরিস্থিতি। কৃষক থেকে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এখনো রয়েছে পরিসংখ্যানের ওপর আস্থার শঙ্কা ও সংকট। এর দ্রুত অবসান ঘটানো প্রয়োজন।
প্রাচীনকালে পরিসংখ্যানের ব্যবহার শুধু রাষ্ট্রীয় কার্যাদি পরিচালনার মধ্যে সীমিত থাকলেও বর্তমানে এর ব্যবহার মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত। মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি পরিসংখ্যানের বিভিন্ন কলা-কৌশলকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহারের দ্বার উন্মোচন করেছে। আস্থানির্ভর পরিসংখ্যান যেমন রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ে ভিত্তিরূপে ব্যবহার জরুরি, তেমনি সাধারণ কৃষকের কাছেও খনার বচনের মতো গুরুত্ববহ। বস্তুনিষ্ঠ কৃষি পরিসংখ্যান যেন দেশের এবং কৃষকের জন্য খনার বচনের উপমায় সমহারে নিত্যপালনীয় ও পাথেয় হয়ে ওঠে, সেটাই প্রত্যাশা।
দেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়ানুগ তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সব খাতে পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ বৃদ্ধি পেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরো বাড়বে। টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী তথ্য-উপাত্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের পরিবর্তিত বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করে। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব সবসময়ই ছিল। কিন্তু এখন আরো অনেক বেড়েছে। কারণ দেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বুঝতে হলে সঠিক তথ্য-উপাত্তের বিকল্প নেই। তা ছাড়া, জাতির উন্নয়ন আর অগ্রগতি যা-ই বলেন, সবকিছুর সঙ্গেই তথ্য-উপাত্ত জড়িত। মানুষের সুষম উন্নয়নের জন্যও সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। এখন বিশ্বব্যাপী তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই ও গবেষণা করেই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
সব খাতে তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হয়। নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের গবেষণা উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। আর্থ সামাজিক সব কর্মকান্ডের গতি-প্রকৃতি নির্ণয় ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত সঠিক তথ্য-উপাত্তই কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক, জনমিতিক, সামাজিক সব ক্ষেত্রে পরিমাণগত ও গুণগত পরিমাপে তথ্য-উপাত্তের ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বর্তমান বিশ্বে সরকারি ও বেসরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সঠিক ও মানসম্মত তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সঠিক ও সময়োচিত তথ্য-উপাত্তের ব্যবহার অপরিহার্য।
পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত না থাকার কারণেই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
‘সরকারের প্রয়োজনীয়, পর্যাপ্ত এবং সঠিক তথ্য নেই। সেটি সরকারের থাকতে হবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তথ্য উপাত্তগত তথা জরিপ প্রক্রিয়ার পূর্ণ ও সঠিক সংস্কার করা দরকার।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! নিয়মের জটিলতায় ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি আহত ও নিহতদের পরিবারের লালফিতায় আটকা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খাবারের নামে আমরা কী খাচ্ছি? ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (চতুর্থ পর্ব)
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: সেবা পেতে ঘুষকে স্বাভাবিক মনে করছে দেশের সিংহভাগ মানুষ। বছরে ঘুষ গ্রহণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ঘুষই সমাজে সব অভাব থেকে অনিয়মের মূল কারণ। ঘুষ নির্মূলীকরণে পবিত্র দ্বীন ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)