সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ; পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বছরে ৫৫ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন সম্ভব।
সবজির মান উন্নয়ন ও রফতানীতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করলে আয় হবে লাখো কোটি টাকারও উপরে। সরকার ইচ্ছে করলে এক সবজি খাত দিয়েই দেশের অর্থনীতির চাকা পুরোদমে সচল করতে পারে।
, ২৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৫ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে, ৪৮ বছরে দেশে সবজি উৎপাদন পাঁচগুণ বেড়েছে। আর বার্ষিক উৎপাদন বৃদ্ধির হার বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। দেশে আবাদি জমি সাড়ে আট মিলিয়ন হেক্টর। এর সিংহভাগে দানাদার শস্য চাষ হয়। মোট আবাদির মাত্র ৯ ভাগ জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এতে গড়ে মাথাপিছু প্রতিদিন ১২৫ গ্রাম সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৯০ রকমের সবজির বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে। সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে বার্ষিক মোট সবজি উৎপাদন হয় ২২ লাখ টন, তবে প্রকৃত হিসেব মতে আরো বেশি। যেখানে ১৯৭০ সালে উৎপাদন হতো মাত্র ৭ লাখ টন। গত তিন দশকে দেশে সবজির উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণের বেশি। দেশে বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ২০ লাখ টনের অধিক সবজি উৎপাদন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ওমান ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৭০টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত সবজি রফতানী হয়ে থাকে। গত অর্থবছরে ৬৫০ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকার সবজি বিভিন্ন দেশে রফতানী হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবজিতে এত সম্ভাবনা এবং সাফল্য থাকার পরও সরকারের উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা এবং সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারণে বাংলাদেশে যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন এবং আয় হওয়ার কথা ছিলো তা হচ্ছে না। প্রতিবছর দেখা যাচ্ছে, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে প্রায় ৪০ ভাগ সবজি নষ্ট হচ্ছে। আর এর প্রধান কারণ এই সবজি সংরক্ষণের জন্য দেশের মধ্যে তেমন কোনো সংরক্ষণাগার নেই। এতে দেখা যায়, কৃষকরা সবজি ক্ষেত থেকে উঠাতে পারে না। ফলে ক্ষেতেই হাজার হাজার কোটি টাকার সবজি নষ্ট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মালেশিয়া, চীন, সুইডেন, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সবজি চাষের উপর সরকারিভাবে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। চীনের সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানে হাইড্রোপোনিক পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করা হয়। চীন সরকার এ বছর চীনের শউকুয়াং শহরে সবজি মেলার মাধ্যমে সবজিতে বিপ্লব ঘটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেইসাথে চীনে প্রান্তিক পর্যায়ের সবজি চাষীদের জন্য হিমাগার ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। অভিজ্ঞমহল মনে করেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে এই সবজি খাতে উপযুক্ত দৃষ্টি প্রদান করা।
সবজি রফতানীতে যেসব আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে সেগুলো দূর করতে হবে। দেখা যায়, বিদেশে সবজি রফতানীর পর বিদেশী এয়ার লাইনসগুলো অন্য দেশে ট্রানজিট করে। এক্ষেত্রে রফতানীকারকদের ভোগান্তি হয়। কেননা ট্রানজিট পিরিয়ডে সংশ্লিষ্ট দেশ পুনঃস্ক্যান করে, সময় বেশি লাগে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে বিদেশী আমদানিকারকরা অনেক সময় পণ্য নেয় না। এ অবস্থায় এদেশের বাজার অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। সেইসাথে বাংলাদেশের সবজি উৎপাদনে বেশি সময় লাগায় দেশের সাথে সবজি নেয়ার চুক্তি করা দেশগুলো অন্য দেশগুলোর প্রতি ঝুঁকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে একটাই সমাধান আর সেটা হলো- সবজি চাষে অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার জোরদার করতে হবে।
এছাড়া এই সবজিখাতে ব্যাপক গবেষণার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা গ্রীষ্মকালীন টমেটো, পেঁয়াজ, কদু, করলাসহ বেশ কয়েকটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। যদি সরকার কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতায়ই একটি আলাদা সবজি গবেষণা ইনস্টিটিউট তৈরি করতে পারে, তাহলে দেখা যাবে- সেখানে আলাদাভাবে সবজির উপর গবেষণা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন দেশীয় সবজির জাতও উদ্ভাবন হবে।
বলাবাহুল্য, গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমানে স্বাভাবিক পর্যায়ে যে পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে, শুধু মানসম্মত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩০ ভাগ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব। আর এজন্য বৃহৎ পরিসরের পাশাপাশি ক্ষুদ্র পর্যায়েও সবজির ফলন নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি পরিবার যদি প্রতিদিন এক কেজি করে সবজি উৎপাদন করে, তাহলে দেড় কোটি বসতভিটা থেকে বছরে প্রায় ৫৫ লাখ টন সবজি উৎপাদন সম্ভব। আর এর ফলে সবজি রফতানী খাত থেকে আয় হবে হাজার কোটি টাকারও উপরে।
প্রসঙ্গত, সংরক্ষণের অভাবে সবজি নষ্ট হওয়া রোধ করতে মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন- ‘সারাদেশে জেলা, বিভাগ এমনকি থানা পর্যায়েও হিমাগার নির্মাণ করতে হবে’। তাই সরকারের উচিত- সারাদেশে বিভাগ, জেলা এমনকি থানা পর্যায়েও হিমাগার তথা সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা। সেইসাথে হিমাগারের বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ হারে ছাড় দিতে হবে। হিমাগারে সাধারণ সবজি চাষীদের পূর্ণাঙ্গ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেইসাথে যেসব জেলাগুলোতে সবজি চাষে সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো বিকশিত করার জন্য পদক্ষেপ ও প্রণোদনা প্রদান করা।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয, তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












