সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
, ২৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
![সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।](https://www.al-ihsan.net/uploads/1712261766_pen-clipart.png)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “সময়কে আমি পর্যায়ক্রমে মানুষের মাঝে পরিবর্তন করি। ” সময় বহতা নদীর মতো। সাধারণ মানুষ সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়।
সময়ের প্রবাহে পুষ্ট অধিকাংশের বিশ্বাস এরূপ যে, ‘চলমান পরিস্থিতিতে প্রচলিত অনৈসলামিক আচারও অনৈসলামিক থাকে না। তাদের ধারণা- খেলাধুলা, গান-বাজনা, সুদ, ঘুষ, টিভি, সিনেমা, বেপর্দা, বেহায়া এগুলো বর্তমান সময়ের দাবি। যা সময়ের প্রেক্ষিতে জায়িয ও সহনীয়। ’ নাউযুবিল্লাহ!
আওয়ামুন নাসের ভিতরে এসব বিশ্বাস শক্ত করে এঁটে বসার কারণে তাদের সে অনুভূতির বিপরীতে চালিত হতে ভয় পায় স্বার্থান্বেষী আলিম সমাজ। চলমান আবহের প্রতিকূলে সম্মানিত ইসলামী আদর্শকে প্রকাশ ও প্রচার করা নয়; বরং তার উপর সম্মানিত ইসলামী লেবেল আঁটার অপচেষ্টার প্রেক্ষিতে ছবি তোলা, ভিডিও, টেলিভিশন জায়িয করা হয়েছে বহু পূর্বেই। এ ধারাবাহিকতায় যাবতীয় অনৈসলামিক কাজের প্রতি বাধাদান এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে কায়িম করার পথটিকেও করা হয়েছে বিকৃত, কলঙ্কিত। অনৈসলামিক কাজের বাধাদানের পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে- মুশরিকদের হরতাল, মজুসীদের মশাল মিছিল, নাছারাদের ব্লাসফেমী আইন ইত্যাদি। পক্ষান্তরে সম্মানিত ইসলামী দাবি আদায়ের জন্য অবতারণা করা হয়েছে- কমিউনিস্টদের লংমার্চ, খ্রিস্টানদের মৌলবাদ, গণতন্ত্র তথা নির্বাচন।
মূলত, এসব কিছুই বিধর্মীদের থেকে উৎপত্তি লাভ করে সাধারণভাবে সমাজে সম্পৃক্ত হয়েছে। কিন্তু এসবের বিপরীতে স্বকীয় আদর্শে পরিচালিত হওয়াই ছিল সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের দাবি। সম্মানিত ইসলামী আদর্শ সম্পর্কে অজ্ঞতা, চলমান মানসিকতার প্রতিকূলে চলার গভীর শঙ্কা, সংশ্লিষ্ট স্বার্থান্বেষী মালানাদের পরাভূত করেছে। সময়ের স্রোতে এরা ভেসে চলছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পরিভাষায় এদেরকে আখ্যা দেয়া হয়- ‘ইবনুল ওয়াক্ত’ বা ‘সময়ের সন্তানরূপে। ’
সময়ের প্রকৃতি ও প্রবাহে যারা চলবে, সময়ের দোহাই যারা দিবে তাদের জন্য মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ধারক ও বাহক হওয়া সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সময়ের শপথ! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততার মধ্যে লিপ্ত। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে। ” (পবিত্র সূরা আছর শরীফ)
এখানে শপথ করা হয়েছে সময়ের। আর এর তাফসীর হচ্ছে, সময়ের স্রোতে নির্বিচারে যারা গা ভাসিয়ে দিবে অর্থাৎ যারা ইবনুল ওয়াক্ত তারা মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বলাবাহুল্য, সমঝদার না হলে এসব ইবনুল ওয়াক্ত মালানাদের অন্তঃসার শূন্যতা উপলব্ধি কষ্টকর। বিশেষত তাদের অনুসারীদের জন্য তা আরো দুরূহ। যেহেতু তারা দৃশ্যতঃ সমজাতীয়দের বিরাট সমাবেশ দেখতে পায়।
স্মর্তব্য, বিরাট সমাবেশ বা বেশি সংখ্যাই কিন্তু হক্বের মাপকাঠি নয়। তা বরং নাহক্বের সূচকও বটে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। আপনার প্রতিপালক তাদের সম্পর্কে জ্ঞাত রয়েছেন, যারা উনার পথ থেকে বিপথগামী হয়। ” (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৬)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে ব্যক্ত যে, পৃথিবীর অধিকাংশ লোক নাহক্ব। সুতরাং যেসব নামধারী মালানারা তাদেরকে তোয়াজ করে, তাদের মুখী যারা হয় তারাও মূলত নাহক্ব। আর উভয়ের সম্মিলিত শক্তিটি ধাবিত হয় হক্ব ওলীআল্লাহগণ উনাদের প্রতি অর্থাৎ যাঁরা যামানার লক্ষ্যস্থল থাকেন, মুজাদ্দিদ হন উনার বিরুদ্ধে। নাউযুবিল্লাহ!
কারণ, সময়ের নাহক্ব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কেবল তিনিই হক্ব কথা উচ্চারণ করেন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ইসলামী পন্থায় প্রতিষ্ঠা করার মতো নীতিবোধ, আকল, হিম্মত ও তাওয়াক্কুল থাকায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে, ইসলামী কায়দায়ই রূপায়নে কেবল তিনিই হন যোগ্য ও নিবেদিত। অর্থাৎ সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের বিপরীতে সময় বা সমসাময়িক তর্জ-তরীক্বা, মানসিকতা উনার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না মোটেই। বরং সেসবের উপর তিনিই হন জয়ী। সম্মানিত ইসলামী পরিভাষায় তিনি “আবুল ওয়াক্ত” বা সময়ের উপর প্রাধান্য বিস্তারকারী রূপে অতীব সম্মানিত।
প্রসঙ্গত, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মনোনীত বলে, উনাকে সেই কুওওয়াত দিয়েই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রেরণ করেছেন।
‘ইবনুল ওয়াক্ত’ না হয়ে ‘আবুল ওয়াক্তরূপে’ যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত বিকশিত করবেন। সময়ের স্রোতে ঢুকে পড়া বেশরা, বিদ্য়াত থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে তিনি মুক্ত করবেন।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদারের আহবান প্রধানমন্ত্রীর।
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অপারেশনের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে করতে ক্লান্ত রোগীরা ওষুধ আর পরীক্ষার জন্য রোগী পাঠানো হয় বাইরে সব হাসপাতালে দালালচক্র সক্রিয়
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের শিক্ষার মান ক্রমশই নিম্নমুখী। সার্টিফিকেট ও মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রতে পরিণত হচ্ছে শিক্ষা। কর্মমূখী ও বাস্তবিক শিক্ষার অভাবে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠছে না বাংলাদেশে। সরকারের উচিত, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নমরুদের মশা আর এডিস মশার মধ্যে যেমন পার্থক্য নেই তেমনি পার্থক্য নেই নমরুদবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের মধ্যে। নমরুদ মশার ও এডিস মশার গযব থেকে বাঁচতে হলে অবিলম্বে নমরুদবাদ তথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রত্যাহার করতে হবে।
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবাণী ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স! মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা ৩.৭৫, তবুও ২.৯৫ পেয়ে অধ্যাপক অন্যান্য দেশে অধ্যাপক হতে ২০ বছর লাগলেও বাংলাদেশে লাগে মাত্র ১২ বছর! গবেষণায় যোগ্যতা না থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ পাচ্ছে নামধারী অধ্যাপকরা। গবেষণা কমছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, প্রশিক্ষণ না পেয়ে দেশ ছাড়ছে গবেষণায় উৎসাহী মেধাবীরা।
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ অথচ যথাযথ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত দেশীয় শ্রমিক স্বদেশে তো ফিরবেই পাশাপাশি বিদেশি কর্মশক্তি বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে।
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কমিশনের লোভে ১০০ টাকার ওষুধের পরিবর্তে ১৫০০ টাকার বিদেশী ওষুধ লেখেন চিকিৎসকরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নই চিকিৎসক দুর্বৃত্তায়নকে পালন ও প্রসার করছে ওপেন সিক্রেট ডাক্তারদের কমিশন বাণিজ্য বন্ধে চাই ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)