মন্তব্য কলাম
সমালোচক মহলের মতে ‘দেশের বড় বড় সব ব্যবসা’ ‘সম্পদ’, ‘সার্বভৌমত্ব’ বিদেশীদের হাতে বিশেষ করে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়ার জন্য বিভিন্ন কূটকৌশলী তৎপরতায় বিভোর অন্তর্বর্তী সরকার।
, ২৫ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
সমন্বয়ক হাসনাতও আমেরিকার তাবেদারীর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন হিলারীর সখ্যতার বিপরীতে ট্রাম্পকে খুশী করার অতিরিক্ত মাশূল হিসেবেই ট্রাম্পের বন্ধু মাস্কের স্টারলিংক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যবসা করতে পারবে না স্টারলিংক। তারপরেও কেন?
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সমালোচকরা বলছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীন জুমল্যান্ড, নারিকেল দ্বীপে আমেরিকার ঘাটি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ষড়যন্ত্র সফল করার জন্যই
বাংলাদেশী জনগণের মাঝে ব্যবসা হবে না জেনেও আসছে আমেরিকার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী স্টারলিংক
দেশ রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ও সচেতন হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
(১ম পর্ব)
বাংলাদেশে মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্টারলিংক স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার করায় দ্রুতগতির এই ইন্টারনেট সেবায় জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিঘিœত হবে না বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তবে অভিজ্ঞমহল, পর্যবেক্ষণমহল ও সুশীল সমাজের সন্তাষ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টারলিংকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লাভ করা গেছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ যখন একটি বিদেশী বেসরকারি কোম্পানিকে মহাকাশ থেকে সরাসরি ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রচারের অনুমতি দেয়, তখন বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। এই উপগ্রহগুলির মাধ্যমে প্রেরিত ডেটার মালিক কে? এই ডেটার নজরদারি এবং সুরক্ষা কে তত্ত্বাবধান করে? কোন আইনি কাঠামো একটি সার্বভৌম দেশের ভূখ-ের উপরে কাজ করা বিদেশী-পরিচালিত স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে? এই প্রশ্নগুলি কেবল প্রযুক্তিগত নয় - এগুলি জাতীয় নিরাপত্তা এবং নীতি নির্ধারণের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করে।
ডিজিটাল আকাশের উপর নিয়ন্ত্রণের অর্থ ক্রমবর্ধমানভাবে ডেটার উপর নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব বিস্তার। ব্যাপক আইনি সুরক্ষা এবং কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা ছাড়া, বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি, সম্ভাব্য বিদেশী নজরদারি এবং বহিরাগত ডিজিটাল অবকাঠামোর উপর দীর্ঘমেয়াদী নির্ভরতার মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
২০৩৪ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে আগ্রহী বাংলাদেশের জন্য, একটি উচ্চ-প্রযুক্তিগত, আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ-গতির ইন্টারনেট এবং শক্তিশালী ডিজিটাল সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, যখন স্টারলিংকের মতো বেসরকারি প্রযুক্তিগত উদ্যোগের কথা আসে, তখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে।
সার্বভৌমত্ব এখন আর স্থল, সমুদ্র এবং আকাশে সীমাবদ্ধ নয় - এটি এখন সাইবারস্পেস এমনকি বহির্বিশ্বেও বিস্তৃত। স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং ভূ-রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখা ঝাপসা করে দেয়। যদিও প্রযুক্তিটি বাংলাদেশের গ্রামীণ এবং দুর্গম অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রাখে, এটি জাতীয় স্বায়ত্তশাসন, ডেটা মালিকানা এবং ডিজিটাল শাসন সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান নিয়ন্ত্রক কাঠামো স্যাটেলাইট প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে। স্টারলিংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য কি দেশটি প্রস্তুত, যার বিশাল ডেটা-হ্যান্ডলিং ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবকাঠামো রয়েছে? একটি স্পষ্ট, প্রয়োগযোগ্য কৌশলের অভাব জটিল শাসন চ্যালেঞ্জের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে এবং এমনকি রাষ্ট্রের ডিজিটাল সার্বভৌমত্বকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন যে ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া হয়, তা সাবমেরিন কেব্লনির্ভর। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট-সেবা দেয়।
স্টারলিংক ইন্টারনেট-সেবা দেয় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ইন্টারনেট-সেবা জিওস্টেশনারি (ভূস্থির উপগ্রহ) থেকে আসে, যা ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপর থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার স্যাটেলাইটের একটি সমষ্টি হচ্ছে স্টারলিংক, যা বিশ্বকে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবা দিতে পারে।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে, স্টারলিংকের ৬ হাজার ৯৯৪টি স্যাটেলাইট স্থাপিত হয়েছে। এসব স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৪২ মাইল (৫৫০ কিলোমিটার) ওপরে কক্ষপথে ঘুরছে।
স্টারলিংকের ইন্টারনেট-সেবা পেতে গ্রাহককে টেলিভিশনের অ্যানটেনার মতো একটি ডিভাইস (যন্ত্র) বসাতে হবে, যা পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। গ্রাহক এই অ্যানটেনার সঙ্গে একটি স্টারলিংকের রাউটার স্থাপন করে ইন্টারনেট-সেবা পান।
স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)। তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ১০০ এমবিপিএসের বেশি গতি পান। স্টারলিংকে আপলোড গতি সাধারণত ৫ থেকে ২০ এমবিপিএসের মধ্যে থাকে।
ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওকলা’র গত জানুয়ারির হিসাবে, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি ৪০ এমবিপিএসের কিছু কম। আপলোডের গতি ১৩ এমবিপিএসের মতো। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি প্রায় ৫১ এমবিপিএস। আপলোডের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৪৯ এমবিপিএস।
স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান পরিষেবার জিওস্টেশনারি বা ভূস্থির স্যাটেলাইট পৃথিবীর সঙ্গে সমান গতিতে আবর্তিত হয় এবং পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির থাকে।
জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের তুলনায় লো আর্থ অরবিট (লিও) বা নিম্ন ভূকক্ষপথের স্যাটেলাইট অনেক কম উচ্চতায় পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে বলে সেগুলো থেকে ডেটা আদান-প্রদানে সময় লাগে কম। তবে সেগুলো দিনে কয়েকবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, অর্থাৎ পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির নয়। যেখানে তিনটি জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট দিয়ে প্রায় গোটা পৃথিবী কাভার করে ফেলা সম্ভব, সেখানে উচ্চতার ওপর নির্ভর করে লিও স্যাটেলাইট লাগতে পারে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত।
বাংলাদেশে আইএসপি ৫০০ থেকে হাজার টাকায় সংযোগ দেয়। এর সঙ্গে স্টারলিংক কীভাবে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকবে, সেটিও খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন। যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যবহারকারীর উচ্চগতি ও মানের ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন, প্রাথমিকভাবে তারাই হয়তো স্টারলিংকের লক্ষ্য।
দেশে মিনিটে ১০ টাকার মোবাইল যোগাযোগ একসময় মিনিটে ১০ পয়সায় গিয়ে ঠেকেছে। স্টারলিংক সাধারণের নাগালের বাইরে থেকে তাহলে কাদেরকে সংযুক্ত করার চিন্তা ভাবনা করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে স্বল্পমূল্যে ভাগাভাগি করে ১০ ডলারে খরচ নিয়ে আসা, কিস্তিতে কিট কেনাসহ বিভিন্ন পন্থারও উদ্ভব হয়েছে।
তাই অভিজ্ঞমহল বলছেন যে, যে গ্রাহক কিছু বেশি টাকা খরচ করলে প্রচলিত সংযোগেই আরও উচ্চগতি বা উচ্চ মান পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে স্টারলিংকে এখানে আনার প্রয়োজন কী? আর স্টার লিংকেরও এখানে আসার দরকার কী? উদ্দেশ্যটা কী?
তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা কেন শুরু করা হলো, তাও আবার কক্সবাজারে তথা পার্বত্য এলাকায়? এটির গ্রাহক কারা হবেন? এর ফলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ হওয়া কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার চুড়ান্ত ঝুঁকি থাকলেও এসব বিষয়কেই থোরাই কেয়ার করছে ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকার।
স্টারলিংক কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের বাজারে এ সেবা নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু তারা পারেনি। সম্প্রতি ইউনূস ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানায় এবং দেশে স্টারলিংক পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দেয়। দেশে দ্রুত স্টারলিংকের পরিষেবা চালুর উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা তার বিশেষ প্রতিনিধি (রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত) খলিলকে মাস্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্ক ও ইউনূসের মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এ আলোচনায় স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে আসে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যে দিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করে (১৩ ফেব্রুয়ারি), ঠিক সে দিনই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাও মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলে।
বাংলাদেশে স্টারলিংক ‘লঞ্চ’ করার জন্য সেদিন মাস্ককে অনুরোধ জানিয়েছিলো ইউনূস। কয়েকদিন পরে সে চিঠি লিখে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্যও ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানায়।
মাত্র ৯০ দিনের ভেতর বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু করা সম্ভব বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো।
বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে যখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছ জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টাতেই ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কি না, সে কিন্তু সেটা অস্বীকার করতে পারেনি।
ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলে, ‘না, এটা মূলত ছিল স্টারলিংক নিয়ে ব্যবসায়িক সম্পর্কের একটা বিষয় ছিল। সে বিষয়েই আমরা আলাপ করেছি, যে স্টারলিংকের কানেকশনটা আমরা নিতে চাই। ”
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












