মন্তব্য কলাম
সমালোচক মহলের মতে ‘দেশের বড় বড় সব ব্যবসা’ ‘সম্পদ’, ‘সার্বভৌমত্ব’ বিদেশীদের হাতে বিশেষ করে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়ার জন্য বিভিন্ন কূটকৌশলী তৎপরতায় বিভোর অন্তর্বর্তী সরকার।
, ২৫ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
সমন্বয়ক হাসনাতও আমেরিকার তাবেদারীর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন হিলারীর সখ্যতার বিপরীতে ট্রাম্পকে খুশী করার অতিরিক্ত মাশূল হিসেবেই ট্রাম্পের বন্ধু মাস্কের স্টারলিংক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যবসা করতে পারবে না স্টারলিংক। তারপরেও কেন?
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সমালোচকরা বলছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীন জুমল্যান্ড, নারিকেল দ্বীপে আমেরিকার ঘাটি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ষড়যন্ত্র সফল করার জন্যই
বাংলাদেশী জনগণের মাঝে ব্যবসা হবে না জেনেও আসছে আমেরিকার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী স্টারলিংক
দেশ রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ও সচেতন হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
(১ম পর্ব)
বাংলাদেশে মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্টারলিংক স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার করায় দ্রুতগতির এই ইন্টারনেট সেবায় জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিঘিœত হবে না বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তবে অভিজ্ঞমহল, পর্যবেক্ষণমহল ও সুশীল সমাজের সন্তাষ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টারলিংকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লাভ করা গেছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ যখন একটি বিদেশী বেসরকারি কোম্পানিকে মহাকাশ থেকে সরাসরি ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রচারের অনুমতি দেয়, তখন বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। এই উপগ্রহগুলির মাধ্যমে প্রেরিত ডেটার মালিক কে? এই ডেটার নজরদারি এবং সুরক্ষা কে তত্ত্বাবধান করে? কোন আইনি কাঠামো একটি সার্বভৌম দেশের ভূখ-ের উপরে কাজ করা বিদেশী-পরিচালিত স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে? এই প্রশ্নগুলি কেবল প্রযুক্তিগত নয় - এগুলি জাতীয় নিরাপত্তা এবং নীতি নির্ধারণের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করে।
ডিজিটাল আকাশের উপর নিয়ন্ত্রণের অর্থ ক্রমবর্ধমানভাবে ডেটার উপর নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব বিস্তার। ব্যাপক আইনি সুরক্ষা এবং কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা ছাড়া, বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি, সম্ভাব্য বিদেশী নজরদারি এবং বহিরাগত ডিজিটাল অবকাঠামোর উপর দীর্ঘমেয়াদী নির্ভরতার মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
২০৩৪ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে আগ্রহী বাংলাদেশের জন্য, একটি উচ্চ-প্রযুক্তিগত, আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ-গতির ইন্টারনেট এবং শক্তিশালী ডিজিটাল সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, যখন স্টারলিংকের মতো বেসরকারি প্রযুক্তিগত উদ্যোগের কথা আসে, তখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে।
সার্বভৌমত্ব এখন আর স্থল, সমুদ্র এবং আকাশে সীমাবদ্ধ নয় - এটি এখন সাইবারস্পেস এমনকি বহির্বিশ্বেও বিস্তৃত। স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং ভূ-রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখা ঝাপসা করে দেয়। যদিও প্রযুক্তিটি বাংলাদেশের গ্রামীণ এবং দুর্গম অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রাখে, এটি জাতীয় স্বায়ত্তশাসন, ডেটা মালিকানা এবং ডিজিটাল শাসন সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান নিয়ন্ত্রক কাঠামো স্যাটেলাইট প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে। স্টারলিংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য কি দেশটি প্রস্তুত, যার বিশাল ডেটা-হ্যান্ডলিং ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবকাঠামো রয়েছে? একটি স্পষ্ট, প্রয়োগযোগ্য কৌশলের অভাব জটিল শাসন চ্যালেঞ্জের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে এবং এমনকি রাষ্ট্রের ডিজিটাল সার্বভৌমত্বকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন যে ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া হয়, তা সাবমেরিন কেব্লনির্ভর। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট-সেবা দেয়।
স্টারলিংক ইন্টারনেট-সেবা দেয় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ইন্টারনেট-সেবা জিওস্টেশনারি (ভূস্থির উপগ্রহ) থেকে আসে, যা ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপর থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার স্যাটেলাইটের একটি সমষ্টি হচ্ছে স্টারলিংক, যা বিশ্বকে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবা দিতে পারে।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে, স্টারলিংকের ৬ হাজার ৯৯৪টি স্যাটেলাইট স্থাপিত হয়েছে। এসব স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৪২ মাইল (৫৫০ কিলোমিটার) ওপরে কক্ষপথে ঘুরছে।
স্টারলিংকের ইন্টারনেট-সেবা পেতে গ্রাহককে টেলিভিশনের অ্যানটেনার মতো একটি ডিভাইস (যন্ত্র) বসাতে হবে, যা পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। গ্রাহক এই অ্যানটেনার সঙ্গে একটি স্টারলিংকের রাউটার স্থাপন করে ইন্টারনেট-সেবা পান।
স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)। তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ১০০ এমবিপিএসের বেশি গতি পান। স্টারলিংকে আপলোড গতি সাধারণত ৫ থেকে ২০ এমবিপিএসের মধ্যে থাকে।
ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওকলা’র গত জানুয়ারির হিসাবে, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি ৪০ এমবিপিএসের কিছু কম। আপলোডের গতি ১৩ এমবিপিএসের মতো। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি প্রায় ৫১ এমবিপিএস। আপলোডের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৪৯ এমবিপিএস।
স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান পরিষেবার জিওস্টেশনারি বা ভূস্থির স্যাটেলাইট পৃথিবীর সঙ্গে সমান গতিতে আবর্তিত হয় এবং পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির থাকে।
জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের তুলনায় লো আর্থ অরবিট (লিও) বা নিম্ন ভূকক্ষপথের স্যাটেলাইট অনেক কম উচ্চতায় পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে বলে সেগুলো থেকে ডেটা আদান-প্রদানে সময় লাগে কম। তবে সেগুলো দিনে কয়েকবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, অর্থাৎ পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির নয়। যেখানে তিনটি জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট দিয়ে প্রায় গোটা পৃথিবী কাভার করে ফেলা সম্ভব, সেখানে উচ্চতার ওপর নির্ভর করে লিও স্যাটেলাইট লাগতে পারে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত।
বাংলাদেশে আইএসপি ৫০০ থেকে হাজার টাকায় সংযোগ দেয়। এর সঙ্গে স্টারলিংক কীভাবে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকবে, সেটিও খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন। যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যবহারকারীর উচ্চগতি ও মানের ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন, প্রাথমিকভাবে তারাই হয়তো স্টারলিংকের লক্ষ্য।
দেশে মিনিটে ১০ টাকার মোবাইল যোগাযোগ একসময় মিনিটে ১০ পয়সায় গিয়ে ঠেকেছে। স্টারলিংক সাধারণের নাগালের বাইরে থেকে তাহলে কাদেরকে সংযুক্ত করার চিন্তা ভাবনা করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে স্বল্পমূল্যে ভাগাভাগি করে ১০ ডলারে খরচ নিয়ে আসা, কিস্তিতে কিট কেনাসহ বিভিন্ন পন্থারও উদ্ভব হয়েছে।
তাই অভিজ্ঞমহল বলছেন যে, যে গ্রাহক কিছু বেশি টাকা খরচ করলে প্রচলিত সংযোগেই আরও উচ্চগতি বা উচ্চ মান পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে স্টারলিংকে এখানে আনার প্রয়োজন কী? আর স্টার লিংকেরও এখানে আসার দরকার কী? উদ্দেশ্যটা কী?
তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা কেন শুরু করা হলো, তাও আবার কক্সবাজারে তথা পার্বত্য এলাকায়? এটির গ্রাহক কারা হবেন? এর ফলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ হওয়া কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার চুড়ান্ত ঝুঁকি থাকলেও এসব বিষয়কেই থোরাই কেয়ার করছে ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকার।
স্টারলিংক কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের বাজারে এ সেবা নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু তারা পারেনি। সম্প্রতি ইউনূস ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানায় এবং দেশে স্টারলিংক পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দেয়। দেশে দ্রুত স্টারলিংকের পরিষেবা চালুর উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা তার বিশেষ প্রতিনিধি (রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত) খলিলকে মাস্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্ক ও ইউনূসের মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এ আলোচনায় স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে আসে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যে দিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করে (১৩ ফেব্রুয়ারি), ঠিক সে দিনই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাও মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলে।
বাংলাদেশে স্টারলিংক ‘লঞ্চ’ করার জন্য সেদিন মাস্ককে অনুরোধ জানিয়েছিলো ইউনূস। কয়েকদিন পরে সে চিঠি লিখে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্যও ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানায়।
মাত্র ৯০ দিনের ভেতর বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু করা সম্ভব বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো।
বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে যখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছ জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টাতেই ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কি না, সে কিন্তু সেটা অস্বীকার করতে পারেনি।
ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলে, ‘না, এটা মূলত ছিল স্টারলিংক নিয়ে ব্যবসায়িক সম্পর্কের একটা বিষয় ছিল। সে বিষয়েই আমরা আলাপ করেছি, যে স্টারলিংকের কানেকশনটা আমরা নিতে চাই। ”
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












