সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে পুরুষ ও মহিলা ব্যতীত তৃতীয় কোনো লিঙ্গের অস্থিত্ব নেই
, ৫রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২১ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এজন্য হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘খুনছায়ে মুশকিল বা জটিল হিজড়ার’ ব্যাপারে বলেছেন-
اِنَّ الْخُنْثَى الْمُشْكِلَ اِنَّمَا يَكُوْنُ مَا دَامَ صَغِيْرًا فَاِذَا بَلَغَ فَلَا بُدَّ مِنْ اَنْ تَظْهَرَ فِيْهِ عَلَامَةُ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى
অর্থ: “খুনছায়ে মুশকিল বা জটিল হিজড়া থাকে ততদিন পর্যন্ত, যতদিন পর্যন্ত সে ছোট থাকে। যখন সে বড় হয়ে যায়, তখন আবশ্যিকভাবে তার মাঝে পুরুষ কিংবা মহিলার বিশেষ আলামতসমূহ প্রকাশ পায়। ” সুবহানাল্লাহ! (আহকামুল কুরআন লিল জাছ্ছাছ ৩/৫৫১)
কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষকে পুরুষ অথবা মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সর্বোত্তম ছূরত বা আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি যে তাকে পুরুষ অথবা মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন’ এই ফায়ছালাকে তার জন্য বিনা চূ-চেরা ও ক্বীল-ক্বালে মেনে নেয়া এবং এর উপর সন্তুষ্ট থাকা। সুতরাং, কেউ যদি নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে অর্থাৎ কোনো পুরুষ যদি নিজেকে মহিলা দাবি করে অথবা কোনো মহিলা যদি নিজেকে পুরুষ দাবি করে, তার অর্থ হলো মহান আল্লাহ পাক তিনি যে তাকে পুরুষ অথবা মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, মহান আল্লাহ পাক উনার এই ফায়ছালার উপর সে সন্তুষ্ট নয় এবং সে তা মেনে নিতে নারাজ। তাহলে প্রকৃতপক্ষে সে এই ফায়ছালার বিরোধীতা করলো। আর এই বিরোধীতার কারণেই সে মহান আল্লাহ পাক উনার ফায়ছালার বিপরীতে নিজেকে পুরুষ বা মহিলা হিসেবে দাবি করে কাট্টা কুফরী করলো ও প্রকাশ্য গুমরাহীতে গুমরাহ হলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُوْلُهٗٓ اَمْرًا اَنْ يَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِيْنًا
অর্থ: “কোনো মু’মিন পুরুষ-মহিলা কারো জন্য কস্মিনকালেও জায়েয হবে না যে, যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কোনো বিষয়ে সম্মানিত ফায়ছালা মুবারক দেন, এই বিষয়ে কোনো মত পেশ করা। যে ব্যক্তি উনাদের ফায়ছালাকৃত বিষয়ে কোনো মত পেশ করবে, সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে। অর্থাৎ সে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
সুতরাং কেউ যদি নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে অর্থাৎ কোনো পুরুষ যদি নিজেকে মহিলা দাবি করে অথবা কোনো মহিলা যদি নিজেকে পুরুষ দাবি করে, তাহলে তা কাট্টা কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَتَعَدَّ حُدُوْدَهٗ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيْهَا وَلَهٗ عَذَابٌ مُهِيْنٌ
অর্থ: “আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের নাফরমানী করলো, অবাধ্য হলো এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। সে ব্যক্তি সেখানে অনন্তকাল যাবৎ অবস্থান করবে। তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা নিসা’ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلَمْ يَعْلَمُوْآ اَنَّهٗ مَنْ يُّحَادِدِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَاَنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدًا فِيْهَا ذٰلِكَ الْخِزْىُ الْعَظِيْمُ
অর্থ: “তারা কি একথা জানে না যে, নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে, অবশ্যই তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। সে অনন্তকাল ধরে সেখানে অবস্থান করবে। এটা কঠিন লাঞ্ছনা, বড় অপমান। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)
মহান আল্লাহ পাক তিনি এদেশবাসী ও সমস্ত বিশ্ববাসীকে ট্রান্সজেন্ডার নামক গযব ও কুফরী মতবাদ থেকে পরিত্রাণ দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিস মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক্ব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












