সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
, ৯ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যে কোন ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য বিধান অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে লাঞ্ছনাদায়ক শরঈ শাস্তি দিয়ে হত্যা করতে হবে। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম’
হযরত ইমাম কাযী আবুল ফযল আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وَقَالَ حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْحَكَمِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَنْ سَبَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مُّسْلِمٍ اَوْ كَافِرٍ قُتِلَ وَلَـمْ يُسْتَتَبْ وَحَكَى الطَّبَرِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مِثْلَهٗ عَنْ اَشْهَبَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ مَالِكٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ.
অর্থ: “হযরত ইমাম আবূ মুহম্মদ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল হাকাম ইবনে আ’ইয়ান ইবনে লাইছ মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ : ১৫৫ হিজরী শরীফ, বিছাল শরীফ : ২১৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করবে, মানহানী করবে, তাকে শাস্তিস্বরূপ ক্বতল করতে হবে, শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তার তওবা কবূল করা হবে না। চাই সে মুসলমান হোক বা কাফির হোক। হযরত ইমাম আল্লামা আবূ জা’ফর মুহম্মদ ইবনে জারীর ত্ববারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ : ২২৩ হিজরী শরীফ, বিছাল শরীফ : ৩১০ হিজরী শরীফ) তিনি হযরত ইমাম আবূ ‘আমর আশহাব ইবনে আব্দুল ‘আযীয ‘আমিরী মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ : ১৪০ হিজরী শরীফ, বিছাল শরীফ : ২১০ হিজরী শরীফ) উনার সূত্রে হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা ২/২১৭, আস সাইফুল মাসলূল ১২৮ পৃ.)
আল ইমাম, আল্লামা, মুহাদ্দিছ, মুতাফান্নিন আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে ‘আত্তাব ইবনে মুহসিন রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৩৮৩ হিজরী; বিছাল শরীফ: ৪৬২ হিজরী) তিনি বলেন,
اَلْكِتَابُ وَالسُّنَّةُ مُوْجِبَانِ اَنَّ مَنْ قَصَدَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاَذًى اَوْ نَقْصٍ مُّعَرِّضًا اَوْ مُصَرِّحًا وَّاِنْ قَلَّ فَقَتْلُهٗ وَاجِبٌ.
অর্থ: “এ কথা সম্মানিত ও পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত, যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে কোনোভাবে কষ্ট দিবে অথবা উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ প্রকাশ্যে বা গোপনে, ইশারা-ইঙ্গিতে কোনো প্রকার দোষত্রুটি সংযোজিত করবে, চাই তা অতি ক্ষুদ্রই হোক না কেনো, তাকে শাস্তিস্বরূপ ক্বতল করা, শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দেয়া ওয়াজিব। ” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা ২/২১৭, আস সাইফুল মাসলূল ১২৮ পৃ.)
(অপেক্ষায় থাকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৫)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪০)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৯)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী হুলিয়া মুবারক (৪র্থ পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৮)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












