সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
, ১১ ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যে কোন ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য বিধান অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে লাঞ্ছনাদায়ক শরঈ শাস্তি দিয়ে হত্যা করতে হবে। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম’
বিশিষ্ট ফক্বীহ, ইমাম, শাইখুল মাদীনাহ, ক্বাযীউল মাদীনাহ হযরত ইমাম আবূ মুছ‘আব আহমদ ইবনে আবূ বকর ক্বাসিম ইবনে হারিছ ইবনে যুরারাহ ইবনে মুছ‘আব ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু আল কুরাইশী আয যুহ্রী আল মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ : ১৫০ হিজরী শরীফ, বিছাল শরীফ : ২৪২ হিজরী শরীফ) তিনি এবং হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ভাগিনা, বিশিষ্ট ফক্বীহ, ইমাম, মুহাদ্দিছ হযরত আবূ আব্দুল্লাহ ইসমাঈল ইবনে আবূ উওয়াইস রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ: ২২৬ হিজরী শরীফ) তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে বলেন,
سَـمِعْنَا حَضْرَتْ مَالِكًا رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَقُوْلُ مَنْ سَبَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْ شَتَمَهٗ اَوْ عَابَهٗ اَوْ تَنَقَّصَهٗ قُتِلَ مُسْلِمًا كَانَ اَوْ كَافِرًا وَّلَا يُسْتَتَابُ
অর্থ: “আমরা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করবে (না‘ঊযুবিল্লাহ!) বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিরস্কার করবে, (না‘ঊযুবিল্লাহ!) বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দোষত্রুটি বর্ণনা করবে (না‘ঊযুবিল্লাহ!) বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করবে, (না‘ঊযুবিল্লাহ!) শাস্তিস্বরূপ তাকে ক্বতল করতে হবে, শাস্তিস্বরূপ তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ! চাই সে ব্যক্তি নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক, তার তওবা গ্রহণ করা হবে না। ” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা ২/২১৬, আস সাইফুল মাসলূল ১২৭ পৃ.)
হযরত ইমাম আলী ইবনে আব্দুল কাফী সুবুকী শাফি‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৭৫৬) তিনি বলেন,
قَالَ حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ سَاَلْتُ اَبِىْ عَمَّنْ شَتَمَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْتَتَابُ قَالَ قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْقَتْلُ وَلَا يُسْتَتَابُ حَضْرَتْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيْدِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَتَلَ رَجُلًا شَتَمَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَـمْ يَسْتَتِبْهُ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, একদা আমি আমার সম্মানিত পিতা (হাম্বলী মাযহাব উনার সম্মানিত ইমাম হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনাকে যেই ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করে, তিরস্কার করে, উনার মানহানী করে, তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তাকে কি তওবার সুযোগ দেয়া হবে অর্থাৎ তার কি তাওবা গ্রহণ করা হবে? (আমার সম্মানিত পিতা হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তার উপর ক্বতল তথা মৃত্যুদন্ড ওয়াজিব হয়ে গেছে। তার তাওবা গ্রহণ করা হবে না। (অতঃপর তিনি এই বিষয়ে সাইফুল্লাহিল মাসলূল হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত আমল মুবারক দলীল হিসেবে পেশ করে বলেন,) এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিরস্কার করার কারণে, উনার মানহানী করার কারণে সাইফুল্লাহিল মাসলূল (মহান আল্লাহ পাক উনার উন্মুক্ত তরবারী মুবারক) হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি তাকে ক্বতল করেছেন, মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন। তিনি তার তাওবা গ্রহণ করেননি। সুবহানাল্লাহ! (আস সাইফুল মাসলূল ১৩০ পৃ:, আশ শিফা লিআবী বকর)
হযরত ইমাম কাযী আবুল ফযল ‘আয়ায আন্দালুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وَاحْتَجَّ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ خَالِدِ ۣ الْفَقِيْهُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِىْ مِثْلِ هٰذَا بِقَتْلِ حَضْرَتْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيْدِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ مَالِكَ بْنَ نُوَيْرَةَ بِقَوْلِهٖ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَاحِبُكُمْ.
অর্থ: “বিশিষ্ট ফক্বীহ হযরত আবূ ইসহাক্ব ইবরাহীম বিন হুসাইন বিন খালিদ কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ২৪৯ হিজরী শরীফ) তিনি (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারীদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড) এ ব্যাপারে হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত আমল মুবারককে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। তিনি বলেন, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মালিক ইবনে নুয়াইরাকে শুধু এজন্যই ক্বতল করেছেন, মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন যে, সে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে صَاحِبُكُمْ ‘তোমাদের সাথী’ বলেছে (‘আপনাদের সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলেনি)। ” (আশ শিফা ২/২১৫, আস সাইফুল মাসলূল ১২৫) (অপেক্ষায় থাকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












