সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
, ১৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ৩১ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যে কোন ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য বিধান অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে লাঞ্ছনাদায়ক শরঈ শাস্তি দিয়ে হত্যা করতে হবে। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম’
হযরত ইমাম কাযী আবুল ফযল ‘আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وَرَوَى ابْنُ وَهْبٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ مَالِكٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَنْ قَالَ اِنَّ رِدَاءَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُرْوٰى زِرَّ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسِخٌ اَرَادَ بِهٖ عَيْبَهٗ قُتِلَ
অর্থ: “হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট ছাত্র, সম্মানিত ফিক্বহ এবং সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ শাস্ত্র উনার ইমাম, আল ইমামুল কাবীর হযরত ইমাম আবূ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব ফিহ্রী মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ : ১২৫ হিজরী শরীফ; বিছাল শরীফ : ১৯৭ হিজরী শরীফ) তিনি মালিকী মাযহাব উনার সম্মানিত ইমাম হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন,
مَنْ قَالَ اِنَّ رِدَاءَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُرْوٰى زِرَّ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسِخٌ اَرَادَ بِهٖ عَيْبَهٗ قُتِلَ
‘যে ব্যক্তি বলবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র চাদর মুবারক বা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র কোর্তা মুবারক উনার সম্মানিত ও পবিত্র গুটলী মুবারক অপরিচ্ছন্ন ছিলেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর এতে তার উদ্দেশ্য হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করা। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! (অবশ্যই অবশ্যই) তাকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে’। ” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা ২/২১৭, আস সাইফুল মাসলূল ১২৮ নং পৃষ্ঠা)
কাজেই, সরাসরি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করার তো প্রশ্নই উঠে না; বরং উনার সাথে সম্পৃক্ত উনার সম্মানিত ও পবিত্র চাদর মুবারক অথবা উনার পুরো সম্মানিত ও পবিত্র কোর্তা মুবারক নয়; বরং সম্মানিত ও পবিত্র কোর্তা মুবারক উনার একখানা অতি ক্ষুদ্রতম অংশ মুবারক সম্মানিত ও পবিত্র গুটলী মুবারক উনারও যদি কেউ মানহানী করে, তাকে অবশ্যই অবশ্যই শাস্তিস্বরূপ ক্বতল করতে হবে, শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বর্তমানে যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ নানা অশ্লীল-অশালীন, এলোমেলো কুফরী-শিরকীমূলক বক্তব্য পেশ করে যাচ্ছে, উনাদেরকে গাল-মন্দ করছে, উনাদের মর্যাদাহানী করে যাচ্ছে, মানহানী করছে, তাদের ফায়ছালা কী? অবশ্যই অবশ্যই তাদের প্রত্যেককেই শরঈ শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দেয়া ফরয-ওয়াজিব এবং অবশ্যই অবশ্যই তাদের প্রত্যেককে শরঈ শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যে কোন ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। কস্মিনকালেও তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়; যেকোনো পদ্ধতিতেই হোক অবশ্যই তাদেরকে সবচেয়ে কঠিন ও লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি দিয়ে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম।
(অপেক্ষায় থাকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৯)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












