মন্তব্য কলাম
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ মে, ২০২৫ খ্রি:, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
সবকিছুর মূলে আছে দেশের বৃহৎ অর্থনীতি ধ্বংস করে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার জমজমাট হাট তৈরী করার ইউনুসীয় ষড়যন্ত্র!
সমালোচকরা বলছে ইউনুস-ছাত্র-জনতা কারো কথাই শুনছে না। শুনছে পশ্চিমা প্রভুদের কথা (নাউযুবিল্লাহ)
(১ম পর্ব)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এই কাঠামোগত পরিবর্তন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই এনবিআরের আওতাধীন আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তারা খসড়াটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে সাত দফা সুপারিশ উত্থাপন করেছিলেন। তবে চূড়ান্তভাবে জারি হওয়া অধ্যাদেশে এসব দাবির বেশিরভাগই উপেক্ষিত হয়েছে।
কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব পদে “উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা” নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি রাজস্ব নীতি প্রণয়নে যুক্ত বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষা করে। একইভাবে, মৌলিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, পরিসংখ্যান, আইন, প্রশাসনসহ অন্যান্য খাতের অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও রাজস্ব সংক্রান্ত ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সুযোগ রাখা হয়নি।
এছাড়া জনবল পদায়নে অধ্যাদেশে নির্দিষ্ট কোনো কমিটির উল্লেখ না থাকায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধ্যাদেশে রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে কর আইন প্রয়োগ ও কর আহরণ পরিস্থিতি পরিবীক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা কর্মকর্তাদের মতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওপর নীতি বিভাগের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগে ২০ বছরের সরাসরি রাজস্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে দায়িত্ব দেওয়ার পরিবর্তে, যে কোনো অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগে ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়ার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাদেশ কার্যকরের পরদিনই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বিসিএস কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা, নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হয়। এই ব্যানারে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দীর্ঘ নয় ঘণ্টা আলোচনা হয় এবং মঙ্গলবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে এনবিআর ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে ১টা, ১৫ ও ১৭ মে ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এনবিআর সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে কলম-বিরতি পালন করা হয়।
গতপরশু সোয়া ৪টার দিকে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে নিলে আন্দোলনকারীরা সে সময় ভুয়া ভুয়া বলে সেøাগান দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে রাতের আঁধারে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এটি কার্যকর হলে রাজস্ব ব্যবস্থায় অভিজ্ঞ ও দক্ষদের মূল্যায়ন হবে না।
আন্দোলনকারীরা বলেন, কমিটির মূল প্রতিবেদন আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হোক। সেই আলোচনায় অর্থনীতিবিদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী মহল, গবেষক ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা আলোচনায় থাকুক। আলোচনার মাধ্যমে দেশের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত আসে, সেটা করা হোক। তাতে দ্বিমত নেই।
এখন যেটা করা হয়েছে, সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনের অংশবিশেষ এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা সংস্কার চাই, সংস্কার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা হতে হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এবং অংশগ্রহণমূলক। অংশগ্রহণমূলক না হলে, স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে না হলে বৃহত্তর স্বার্থ উপেক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, কস্ট বেনিফিট অ্যানালাইসিস দেখার প্রয়োজন ছিল। অর্থাৎ আমি যে কাজটি করছি, সেটা আমি কতটুকু বেনিফিট পাব, কতটুকু লস হবে, সেটি করা হয়েছে কি না এবং বাস্তব কর বাড়বে কি না। এটা যদি লক্ষ্য হয় তাহলে সেটা কতটুকু অর্জন হবে? এ ধরনের বিশ্লেষণ করার সুযোগ আছে। এটা বিভিন্ন এক্সপার্ট, অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে করা যেত।
এত বছর ধরে কাজ করে যাওয়া একটি স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিসের পুনর্বিন্যাশ হবে অথচ তারা জানতে পারছে না কী হচ্ছে। সংগত কারণে কর্মকর্তাদের মাছে অসন্তোষ থাকবে। রাজস্ব বোর্ড সংস্কার হচ্ছে, কর সম্পর্কিত ব্যবস্থাপনার খোলনলচে বদলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারা অন্ধকারে রয়েছেন। আবার এনবিআর সম্পর্কিত কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারও পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি। আর এই চিন্তা থেকেই যত অস্বস্তি!
প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টিতে বেশ তাড়াহুড়া ছিল। তড়িঘড়ি করার পেছনে যতই যুক্তি থাক না কেন, তা এড়ানো যেত বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর ভাগ করে দু’টি আলাদা বিভাগ করার অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে কলম বিরতি কর্মসূচির মধ্যে সংস্থার কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে বলেন।
অধ্যাদেশে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও বিরূপ’ সংশোধনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণœ করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা প্রভাবশালী মহলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে’ বলেও দাবি করা হয়।
তাদের ভাষ্য, “অধ্যাদেশে এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করা হয়েছে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রমটি একই সাথে বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক।
“পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ”
অধ্যাদেশে বর্তমানের ‘যে নেতৃত্বগত সমস্যা রয়েছে, সেটাকেই অন্য ফরম্যাটে, একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে’ রাখা হয়েছে দাবি করে পরিষদ বলেছে, “সমস্যাকে স্বীকার তো করা হয়েইনি, বরং দুই বিভাগের সর্বোচ্চ পদে দুই নেতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে সমস্যা আরো বাড়বে। ”
বর্তমানে এনবিআরের প্রধান সরকার নিয়োগ করেন সচিবদের মধ্য হতে, এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে নয়। এনবিআরের মত বিশেষায়িত ও পেশাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা মনে করে পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে আগের ধারাবাহিকতাই বহাল রাখা হয়েছে।
“এক্ষেত্রে কোনো সংস্কার হয়নি, যেটি এনবিআর কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এর ফলে রাজস্ব প্রশাসনে উড়ে এসে জুড়ে বসার প্রথা চলতে থাকবে, যা রাজস্ব আদায় কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে। ”
অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের উদাহরণ টেনে পরিষদ বলেছেন, এনবিআর সংস্কারে বিশেষ পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনটি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ‘ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি’, এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকেও ‘সরবরাহ করা হয়নি’।
ফলে এনবিআরের কর্মকর্তারা এ বিষয় সম্পর্কে ‘পুরোপুরি অন্ধকারে’ ছিলেন দাবি করে তারা বলেছেন, অন্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হলেও রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিষদ বলছে, “তড়িঘড়ি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিলুপ্ত করা হলো প্রত্যাশী সংস্থার সাথে কোন আলোচনা ব্যতিরেকেই, যা গভীর সন্দেহের উদ্রেক করে। ”
এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদের দাবি হল-
>> প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা।
>> জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা।
>> পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বিষয়ক শ্বেতপত্র আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রত্যাশী সংস্থাগুলো, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতারাসহ সকল অংশীজনদের মতামত নিয়ে সমন্বিত, অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার করা।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী করনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে বিভাজন নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এই অধ্যাদেশ জারি হয়েছে।
গত ১৭ই মে বিদ্যমান কাঠামো পুনর্গঠন করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন এক আইনজীবী।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্য আইন বাতিল, ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং ২৯(১) অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।
রিটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা না করেই তড়িঘড়ি করে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। অধ্যাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনসংক্রান্ত ১৯৭২ সালের আদেশ (রাষ্ট্রপতির) বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা বাতিল করতে হলে যথাযথ ন্যায্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। রাজস্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বিলুপ্ত করতে যাওয়া সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ ‘সমর্থন করে না’ উল্লেখ করে আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, এখন দুটি বিভাগের শীর্ষ পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার থেকে পূরণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে এনবিআরের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবেন, যা সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ সমর্থন করে না। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












