মন্তব্য কলাম
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ মে, ২০২৫ খ্রি:, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম

সবকিছুর মূলে আছে দেশের বৃহৎ অর্থনীতি ধ্বংস করে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার জমজমাট হাট তৈরী করার ইউনুসীয় ষড়যন্ত্র!
সমালোচকরা বলছে ইউনুস-ছাত্র-জনতা কারো কথাই শুনছে না। শুনছে পশ্চিমা প্রভুদের কথা (নাউযুবিল্লাহ)
(১ম পর্ব)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এই কাঠামোগত পরিবর্তন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই এনবিআরের আওতাধীন আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তারা খসড়াটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে সাত দফা সুপারিশ উত্থাপন করেছিলেন। তবে চূড়ান্তভাবে জারি হওয়া অধ্যাদেশে এসব দাবির বেশিরভাগই উপেক্ষিত হয়েছে।
কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব পদে “উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা” নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি রাজস্ব নীতি প্রণয়নে যুক্ত বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষা করে। একইভাবে, মৌলিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, পরিসংখ্যান, আইন, প্রশাসনসহ অন্যান্য খাতের অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও রাজস্ব সংক্রান্ত ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সুযোগ রাখা হয়নি।
এছাড়া জনবল পদায়নে অধ্যাদেশে নির্দিষ্ট কোনো কমিটির উল্লেখ না থাকায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধ্যাদেশে রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে কর আইন প্রয়োগ ও কর আহরণ পরিস্থিতি পরিবীক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা কর্মকর্তাদের মতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওপর নীতি বিভাগের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগে ২০ বছরের সরাসরি রাজস্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে দায়িত্ব দেওয়ার পরিবর্তে, যে কোনো অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগে ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়ার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাদেশ কার্যকরের পরদিনই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বিসিএস কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা, নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হয়। এই ব্যানারে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দীর্ঘ নয় ঘণ্টা আলোচনা হয় এবং মঙ্গলবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে এনবিআর ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে ১টা, ১৫ ও ১৭ মে ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এনবিআর সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে কলম-বিরতি পালন করা হয়।
গতপরশু সোয়া ৪টার দিকে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে নিলে আন্দোলনকারীরা সে সময় ভুয়া ভুয়া বলে সেøাগান দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে রাতের আঁধারে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এটি কার্যকর হলে রাজস্ব ব্যবস্থায় অভিজ্ঞ ও দক্ষদের মূল্যায়ন হবে না।
আন্দোলনকারীরা বলেন, কমিটির মূল প্রতিবেদন আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হোক। সেই আলোচনায় অর্থনীতিবিদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী মহল, গবেষক ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা আলোচনায় থাকুক। আলোচনার মাধ্যমে দেশের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত আসে, সেটা করা হোক। তাতে দ্বিমত নেই।
এখন যেটা করা হয়েছে, সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনের অংশবিশেষ এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা সংস্কার চাই, সংস্কার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা হতে হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এবং অংশগ্রহণমূলক। অংশগ্রহণমূলক না হলে, স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে না হলে বৃহত্তর স্বার্থ উপেক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, কস্ট বেনিফিট অ্যানালাইসিস দেখার প্রয়োজন ছিল। অর্থাৎ আমি যে কাজটি করছি, সেটা আমি কতটুকু বেনিফিট পাব, কতটুকু লস হবে, সেটি করা হয়েছে কি না এবং বাস্তব কর বাড়বে কি না। এটা যদি লক্ষ্য হয় তাহলে সেটা কতটুকু অর্জন হবে? এ ধরনের বিশ্লেষণ করার সুযোগ আছে। এটা বিভিন্ন এক্সপার্ট, অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে করা যেত।
এত বছর ধরে কাজ করে যাওয়া একটি স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিসের পুনর্বিন্যাশ হবে অথচ তারা জানতে পারছে না কী হচ্ছে। সংগত কারণে কর্মকর্তাদের মাছে অসন্তোষ থাকবে। রাজস্ব বোর্ড সংস্কার হচ্ছে, কর সম্পর্কিত ব্যবস্থাপনার খোলনলচে বদলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারা অন্ধকারে রয়েছেন। আবার এনবিআর সম্পর্কিত কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারও পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি। আর এই চিন্তা থেকেই যত অস্বস্তি!
প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টিতে বেশ তাড়াহুড়া ছিল। তড়িঘড়ি করার পেছনে যতই যুক্তি থাক না কেন, তা এড়ানো যেত বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর ভাগ করে দু’টি আলাদা বিভাগ করার অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে কলম বিরতি কর্মসূচির মধ্যে সংস্থার কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে বলেন।
অধ্যাদেশে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও বিরূপ’ সংশোধনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণœ করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা প্রভাবশালী মহলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে’ বলেও দাবি করা হয়।
তাদের ভাষ্য, “অধ্যাদেশে এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করা হয়েছে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রমটি একই সাথে বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক।
“পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ”
অধ্যাদেশে বর্তমানের ‘যে নেতৃত্বগত সমস্যা রয়েছে, সেটাকেই অন্য ফরম্যাটে, একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে’ রাখা হয়েছে দাবি করে পরিষদ বলেছে, “সমস্যাকে স্বীকার তো করা হয়েইনি, বরং দুই বিভাগের সর্বোচ্চ পদে দুই নেতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে সমস্যা আরো বাড়বে। ”
বর্তমানে এনবিআরের প্রধান সরকার নিয়োগ করেন সচিবদের মধ্য হতে, এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে নয়। এনবিআরের মত বিশেষায়িত ও পেশাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা মনে করে পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে আগের ধারাবাহিকতাই বহাল রাখা হয়েছে।
“এক্ষেত্রে কোনো সংস্কার হয়নি, যেটি এনবিআর কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এর ফলে রাজস্ব প্রশাসনে উড়ে এসে জুড়ে বসার প্রথা চলতে থাকবে, যা রাজস্ব আদায় কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে। ”
অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের উদাহরণ টেনে পরিষদ বলেছেন, এনবিআর সংস্কারে বিশেষ পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনটি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ‘ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি’, এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকেও ‘সরবরাহ করা হয়নি’।
ফলে এনবিআরের কর্মকর্তারা এ বিষয় সম্পর্কে ‘পুরোপুরি অন্ধকারে’ ছিলেন দাবি করে তারা বলেছেন, অন্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হলেও রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিষদ বলছে, “তড়িঘড়ি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিলুপ্ত করা হলো প্রত্যাশী সংস্থার সাথে কোন আলোচনা ব্যতিরেকেই, যা গভীর সন্দেহের উদ্রেক করে। ”
এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদের দাবি হল-
>> প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা।
>> জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা।
>> পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বিষয়ক শ্বেতপত্র আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রত্যাশী সংস্থাগুলো, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতারাসহ সকল অংশীজনদের মতামত নিয়ে সমন্বিত, অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার করা।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী করনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে বিভাজন নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এই অধ্যাদেশ জারি হয়েছে।
গত ১৭ই মে বিদ্যমান কাঠামো পুনর্গঠন করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন এক আইনজীবী।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্য আইন বাতিল, ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং ২৯(১) অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।
রিটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা না করেই তড়িঘড়ি করে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। অধ্যাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনসংক্রান্ত ১৯৭২ সালের আদেশ (রাষ্ট্রপতির) বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা বাতিল করতে হলে যথাযথ ন্যায্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। রাজস্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বিলুপ্ত করতে যাওয়া সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ ‘সমর্থন করে না’ উল্লেখ করে আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, এখন দুটি বিভাগের শীর্ষ পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার থেকে পূরণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে এনবিআরের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবেন, যা সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ সমর্থন করে না। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা এসব টাকা খনিজ সম্পদ উত্তোলনে ব্যয় করলে ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির সুফল দেশবাসীকে দেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বহুমুখী সমস্যায় পতিত দেশের আগর-আতর শিল্প পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আতর শিল্পে নেই আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ সঙ্কট ও সমস্যা সমাধান করে আগর-আতর শিল্প থেকে ইনশাআল্লাহ রফতানি হতে পারে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কুরবানী আসে-যায় মৌসুমী কসাইরা অরক্ষা আর অবহেলাতেই থেকে যায়। তাদের অনেকে আহত হয়, পঙ্গু হয়, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়- মৌসুমী কসাইদের প্রশিক্ষণ ও পৃষ্টপোষকতার পাশাপাশি ঈদুল আদ্বহায় বিশেষ স্বাস্থসেবা চালু করা দরকার।
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ। সরকারের উচিত- জাতীয়ভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূর করা।
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মানবতা বা মনুষ্যত্ব শব্দ উচ্চারণের অধিকার বিশ্ববাসীর আর নাই গাজার শিশুদের আর্তনাদ, গাজার মায়ের আহাজারি যে বিশ্ব শুনতে পায় না- “সে বিশ্ব বধির”। গাজার শেষ হাসপাতাল ধ্বংস
০৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কেবল কুরবানীর পশুই বিক্রি হয় ১ লাখ কোটি টাকার পাশাপাশি চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খামার সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থান, মশলার বাজার ইত্যাদি মিলিয়ে মোট কুরবানী অর্থনীতির আকার প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার শুধুমাত্র চামড়াই নয় বর্তমানে বাংলাদেশে গরুও রপ্তানী হচ্ছে ভারতের গরু ব্যবসায়ী থেকে কুখ্যাত মোদীর মাথায় এখন হাত
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাজনৈতিক সমালোচক মহল বলছেন দেশে এখন মাফিয়া ও লুটেরা সরকার চলছে তারা দেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছে দুদক, হামলা-মামলা দিয়ে দেশীয় ব্যবসায়ীদেরকে ত্রাসের মধ্যে আটকে রাখা হচ্ছে
০১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
৩১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)