সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক তা’লিমী মজলিসে কৃত সুওয়ালের জাওয়াব মুবারক
, ০৮ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০১ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০১ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
সুওয়াল-৪২: একজন লোক পাঁচটি বিবাহ করেছে এবং তার পাঁচজন আহলিয়াই বর্তমান রয়েছে। জানার বিষয় হলো ৫ম আহলিয়া তার জন্য বৈধ হবে কি? আর সেই আহলিয়ার ঘরে সন্তান হলে, তাদের কি ফায়সালা হবে?
জওয়াব মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ছেলেদের জন্য বিবাহ করার ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ.
অর্থ মুবারক: আর যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তোমরা ইয়াতীমদের মধ্যে ইনসাফ করতে পারবে না তাহলে মহিলাদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের ভালো লাগে তাকে বিয়ে করো -- দুই, তিন বা চারজন পর্যন্ত। কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তোমরা সমতা রক্ষা করতে পারবে না, তা হলে একজনকেই (বিবাহ করবে), অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত বাঁদীদেরকে (গ্রহণ করো)। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, যে সময়ে গাইলান ইবনু সালামা আস সাকাফী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন সে সময়ে উনার দশজন আহলিয়া ছিল, যাদের তিনি জাহেলী যুগে বিবাহ করেছিলেন। উনার সাথে সাথে উনার আহলিয়ারাও মুসলমান হন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে আহলিয়াদের মধ্যে থেকে যে কোন চারজনকে বেছে নেয়ার নির্দেশ দেন। (সূনান ইবনে মাজাহ ১৯৫৩, সূনান আত তিরমিজী ১১২৮)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, পুরুষরা সর্বোচ্চ চারটি বিবাহ করতে পারবে। এর চেয়ে অধিক বিবাহ করলে সে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। কেউ যদি ৫ টি বিবাহ করে, তার ৫ম আহলিয়া তার জন্য বৈধ হবে না এবং সেই আহলিয়ার মাধ্যমে সন্তান হলে, সেই সন্তান অবৈধ বলে গন্য হবে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












