সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২)
(বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)
, ০৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

তিনি হানাফী মাযহাবের মুকাল্লিদ বা অনুসারী, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত ।
সম্মানিত চার মাযহাব উনাদের মুকাল্লিদ বা অনুসারীগণকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বলা হয়। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতই হচ্ছেন নাজী তথা নাজাতপ্রাপ্ত দল। উনারাই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাসলাকের উপর প্রতিষ্ঠিত। উনাদের আদর্শে আদর্শিত। আক্বীদা-বিশ্বাসে বিশ্বাসী। এছাড়া বাকী সবাই বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত, জাহান্নামী দল। ওহাবী, খারিজী, রাফিজী, তাবলীগী, জামায়াতী, লা-মাযহাবী প্রমুখ সকলেই বিদয়াত ও বাতিল ৭২ ফিরক্বার আক্বীদা-বিশ্বাসে বিশ্বাসী এবং তার প্রচার-প্রসারকারী।
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নাজাতপ্রাপ্ত দল তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, যুগে যুগে যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এসেছেন এবং আসবেন উনারা সকলেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং থাকবেন। কেননা বাতিল ৭২ ফিরক্বার লোকদের ঈমানের মধ্যে ত্রুটি আছে। আর যাদের ঈমানের মধ্যে খলল রয়েছে, ঈমান-আক্বীদাই যাদের বিশুদ্ধ নয় তারা কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বন্ধু হতে পারে না। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِيْنَ اَمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ.
অর্থ: “যাঁরা খালিছ ঈমানদার এবং তাক্বওয়া বা পরহেযগারীতা ইখতিয়ার বা অবলম্বন করেন উনারাই ওলীআল্লাহ। ”
তথাকথিত আহলে হাদীছ বা লা-মাযহাবী, ওহাবী, খারিজী, বিদয়াতীরা ওলীআল্লাহগণ উনাদের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। নাউযুবিল্লাহ! উপরোন্তু ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত মুবারকে যাওয়া, উনাদের তা’লীম-তরবিয়ত গ্রহণ করা, খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া, তা’যীম-তাকরীম করাকে নাজায়িয ও কুফরী, শিরকী মনে করে এবং তা জোড়ালোভাবে প্রচার করে। নাউযুবিল্লাহ!
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ্বখ্যাত ও সমাদৃত সম্মানিত হানাফী মাযহাবের মুকাল্লিদ তথা অনুসারী ছিলেন। ইমামুল মুসলিমীন, ইমামে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাকলীদ বা অনুসরণ করতেন। এ ব্যাপারে উনার খিদমত মুবারকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হানাফী মাযহাবই হচ্ছে সর্বোত্তম মাযহাব। সুবহানাল্লাহ! (হযরত গরীবে নেওয়াজ পূর্ণাঙ্গ জীবনী-৭৯)
মাযহাব অর্থ: চলার পথ, পন্থা, পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি। যে নিয়ম-নীতি, পন্থা-পদ্ধতি পালন করলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আদেশ নিষেধসমূহ ভালোভাবে জানা ও পালন করত: মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল করা যায় তাকে মাযহাব বলে। মাযহাব চারটি।
হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী, হাম্বলী এই চারটি মাযহাবের উপর ইজমায়ে আযীমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর একথাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, চারটি মাযহাবকে হক্ব বা সঠিক জানতে হবে। সাথে সাথে যে কোন একটিকে অনুসরণ করতে তথা উনাদের আদর্শে আদর্শিত হতে হবে; যা ফরযে আইন।
মাযহাব না মানা গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা। প্রকারান্তরে কুফরীতেও পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। মাযহাব পরিবর্তন করাও জায়িয নেই। বাবা-মা, তথা পূর্ব পুরুষগণ যে মাযহাবে রয়েছেন উত্তরসূরীদেরকে তারই অনুসরণ করতে হবে। এক মাযহাবের লোক অন্য মাযহাব উনার অনুসরণ করা জায়িয নেই। এ ব্যাপারেও উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৫)
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনা ও ইবরত নছীহত (৩)
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হালাল হালালের দিকে আকর্ষণ করে এবং হারাম হারামের দিকে আকর্ষণ করে থাকে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ হতে কুরবানী দেয়া প্রত্যকে উম্মতের জন্যই দায়িত্ব কর্তব্য।
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: পবিত্র হজ্জ পালনের আহকাম
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৪)
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনা ও ইবরত নছীহত (২)
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)