মন্তব্য কলাম
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর।
দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে সোনার বাংলাদেশকে আসলেই সোনায় মুড়ে দেয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ!
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম

বাংলাদেশের আয়তন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ পদ্মা, মেঘনা ও বদ্বীপ অঞ্চলে বিগত বছরগুলোতে প্রায় ৫০ টিরও বেশি দ্বীপ জেগে উঠেছে। আর এগুলো মিলে হিসাব করলে গোটা শ্রীলঙ্কার চেয়ে বড় ভূখ- পাচ্ছে বাংলাদেশ। যা ইতোমধ্যেই মানুষের বসবাস উপযোগী। এর ফলে এই দিক থেকে বাংলাদেশের আয়তন বেড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আয়তন বেড়ে চলেছে। এর কারণ হল বাংলাদেশ উপকূল অঞ্চলে অনেক বেশি দ্বীপ জেগে উঠেছে এবং সেই কারণেই বাংলাদেশের আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশকে অকাতরে জমি দিচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক। দ্বীপ চর কুকরি মুকরি, চর ওসমান, চর কামাল, চর গাঙ্গুলিয়ার মতো শত শত নতুন চর জেগে উঠেছে। বাংলাদেশে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৩২ কিলোমিটার ভূমি নদী ভাঙন ও সমুদ্রে হারিয়ে যায়।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে জেগে উঠেছে বায়ান্ন বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নতুন চর। ভাঙাগড়ার এই খেলায় প্রতিবছর প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের মূল ভূখ-ের। আর এভাবে বাড়তে থাকলে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার চেয়েও একসময় বড় ভূখ- পাবে বাংলাদেশ।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন সমৃদ্ধি নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ভাসানচর, উড়িরচরের মতো অসংখ্য চর ও দ্বীপ। কক্সবাজার থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মধ্যে জেগে উঠছে সুন্দরবনের আদলে নতুন ভূমি। সেখানে তৈরি হচ্ছে নতুন পর্যটনকেন্দ্র। বাংলাদেশ ভূখ-ের পূর্বাঞ্চলের ভবিষ্যৎ রক্ষা করবে এই বন।
নোয়াখালীতেও বইছে উন্নয়নের জোয়ার। ক্রস ড্যাম প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে ১০ হাজার হেক্টর ভূমি। এতে ব্যয় হচ্ছে ৫৮৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সহজ হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে কৃষিজমি, বাড়বে ফসলের উৎপাদন। স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। সোজা কথায় গ্রামীণ অর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার মূল ভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে উড়িরচর। এই উদ্যোগ সফল করতে সমুদ্র থেকে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ভূমি পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য উড়িরচর-নোয়াখালীতে নির্মাণ করা হবে ক্রস ড্যাম। নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচর উপজেলায় সাত কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা ক্রস ড্যাম ও টাই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে উড়িরচরের সঙ্গে নোয়াখালীর মূল ভূখ-ের স্থায়ী যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। এ জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চর আর দ্বীপগুলোর ভূমির মান উন্নত হবে। দেশটি রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। প্রয়োজন অনুসারে শিল্প ও পর্যটন খাত, আর পরিকল্পিত আবাসনের ক্ষেত্রে এসব চর আর দ্বীপ ব্যবহার করা হবে। প্রাকৃতিকভাবে ভূমি গঠন নতুন নয়। তবে যেকোনও দেশের জন্য এটি অনেক বড় পাওয়া।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উড়িরচরের সঙ্গে নোয়াখালীর মূল ভূখ-ের যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। কৃষি জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার দারিদ্র্য হ্রাস করা সম্ভব হবে। ফলে গ্রামীণ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতির আপন নিয়মেই উজানের ঢলে বন্যাকবলিত হয়ে ভাসে গোটা বাংলাদেশ। তবে এই ঢল-বন্যা আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায় যখন উজানে বিশেষ করে হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হওয়া এবং ভারত হয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ, গঙ্গা-পদ্মা নদী ও মেঘনা নদীর অববাহিকাসহ ৫৪টি অভিন্ন বড় বড় নদ-নদী এবং এছাড়াও দেশের এক হাজারেরও বেশি নদ-নদীর স্রোতধারা ভাটির দিকে বয়ে নিয়ে আসে কোটি কোটি টন পলিমাটি, পাথুরে মাটি ও বালু। যা বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বা কোলে প্রতিনিয়তই জমা হচ্ছে। এই পলিমাটির পরিমাণ বার্ষিক অন্তত ১০ কোটি মেট্রিক টন।
বিপুল পরিমাণ এই পলিমাটি ক্রমাগত জমা হচ্ছে দক্ষিণের সমুদ্র উপকূলে। এই প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে গত ২৫ থেকে ৫০ বছরে জেগে উঠেছে অন্তত ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার দ্বীপ ও চরাঞ্চল। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, খুলনা উপকূলে ভূমি জেগে ওঠার হার ক্রমেই বাড়ছে। সেখানে মানুষ চাষবাস ছাড়াও নতুন নতুন বসতি স্থাপন করছে।
গবেষকদের ধারণা, দেশের চর ও দ্বীপাঞ্চলে উত্থিত নতুন পললভূমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মূল ভূখ-ের ১০ ভাগের এক ভাগ সমান আয়তনকে ছাড়িয়ে গেছে। পুরোপুরি জেগে উঠার অপেক্ষায় আছে আরো কয়েকগুণ বেশি। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, ফেনী এবং ভোলা জেলায় সৃজিত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার বর্গকি.মি. চরের নয়া জমি। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার আয়তন প্রায় ৫০ হাজার বর্গকি.মি.। ১৯টি জেলার ৪৮টি উপজেলা এর অন্তর্ভুক্ত। উপকূলীয় এলাকা দেশের আয়তনের ৩০ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ২৮ ভাগ লোক এ অঞ্চলে বসবাস করছে।
পানিবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যাপক অংশই যখন সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখনই বঙ্গোপসাগরের কোলে ক্রমাগত জেগে উঠছে ছোট ছোট দ্বীপ ও চরভূমি। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে যেন জেগে উঠছে অন্য এক নতুন বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বঙ্গোপসাগরের কোলে এবং এর সংলগ্ন উপকূলীয় অনেক নদী-খাল-খাঁড়িতে প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি নতুন ভূমি জেগে উঠছে।
স্বর্ণদ্বীপের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ভাসানচর। ভাসানচরের আয়তন প্রায় ২৫০ বর্গকিলোমিটার। ভাসানচরের দেড় কি.মি. দক্ষিণে প্রায় একশ’ কিলোমিটার আয়তনের গাঙ্গুরিয়া চরের অবস্থান। এ ছাড়া হাতিয়ার দক্ষিণে আরো বেশ কয়েকটি চর জেগে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ পশ্চিমে ঢাল চর, চর মোহাম্মদ আলী, সাহেব আলীর চর, চর ইউনুস, চর আউয়াল, মৌলভীর চর, তমরদ্দির চর, উত্তরে নলের চর, জাগলার চর, কেয়ারিং চর, জাহাইজ্জার চর ইত্যাদি। অনেক চর বা দ্বীপ ভূমি অনেক আগে থেকেই বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে মোহনায় জেগে উঠেছে। তাছাড়া ৩০ থেকে ৪০টি ডুবোচর ভাটার সময় জেগে উঠে, জোয়ারের সময় ডুবে যায়। সেসব চর ও দ্বীপ ভূমি জেগে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে। হাতিয়ার উর্বর চর বা দ্বীপ ভূমিতে চাষাবাদ শুরু হওয়ার সাথে জনবসতি গড়ে উঠেছে এবং তা ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর আশপাশেও ছোট ছোট চর জেগে উঠেছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের প্রায় ১৫০ বর্গকিলোমিটার দ্বীপ ঘিরে চারপাশে নতুন ভূমি গড়ে উঠেছে সন্দ্বীপের আয়তনের চেয়েও দেড় থেকে দ্বিগুণ। এ ছাড়া মেঘনা নদীর পাড় ঘিরে বিভিন্ন সময় সৃষ্টি হওয়া আরো ৬০টির বেশি চর ও দ্বীপ ভূমি জেগে উঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আগামী দুই দশকে বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক সমান নতুন চর ও দ্বীপ ভূমি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
গবেষণা তথ্য মতে, ১৯১৩ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত একশ’ বছরে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে নোয়াখালী উপকূল ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অর্থাৎ সমুদ্রমুখী হয়ে প্রসারিত হয়েছে। মেঘনার ভাঙন থেকে নোয়াখালীকে রক্ষা করতে ১৯৫৭ এবং ১৯৬৪ সালে দুটি ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়। এর ফলে উজানের ঢল-বান হয়ে আসা পলিমাটি জমে নোয়াখালী অঞ্চল উঁচু হয়ে যায়। আশপাশে জাগতে শুরু হয় নতুন নতুন চর।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অতীতে পাহাড়ি খরস্রোতা শংখ (সাঙ্গু) ও মাতামুহুরী এই দুই নদীর তীব্র স্রোতের ধাক্কায় দ্বীপের ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বেশ কয়েক বছর যাবত নদীর খরস্রোত আর নেই; বরং উভয় নদীর স্রোতধারার সাথে অবিরত আসছে লাখ লাখ টন পলিমাটি ও পাথুরে মাটি। এর ফলে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা এ দ্বীপের পূর্ব পাশে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের চকরিয়া-মহেশখালী বরাবর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জমছে পলিমাটি। তাছাড়া দ্বীপের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে এবং বাঁশখালী-চকরিয়া-পেকুয়ার কাছেও পলিমাটি জমছে। এখানে সেখানে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। ভাটার সময় ডুবোচরগুলো জাগছে এবং দৃশ্যমান হচ্ছে। আবার জোয়ার হলে ডুবে যায়। গত কয়েক বছরব্যাপী এসব ডুবোচর বিলীন কিংবা হ্রাস হতে দেখা যাচ্ছে না। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে আজিমপুর এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২০ কি.মি. অংশে জেগেছে নতুন চরভূমি। উত্তর-পশ্চিম পাশে উড়িরচরের দক্ষিণে জেগে উঠেছে প্রায় ১০ কি.মি. দীর্ঘ লক্ষ¥ীচর ও ভবের চর। নতুন চরভূমি জাগছে সন্দ্বীপের পূর্বাংশে। দ্বীপের উত্তরে জেগে উঠেছে কয়েক হাজার হেক্টর নতুন চরভূমি। নতুন চরভূমির একাংশকে দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন হিসেবে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এভাবে সন্দ্বীপের আশপাশে জেগে ওঠা নতুন চরভূমিতে চলছে কৃষিকাজ। চরের ঘাসে হাজার হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ লালন-পালন করছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে এখানে-সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে ছোট ছোট চর ও দ্বীপাঞ্চল। উপকূল ভাগে বাংলাদেশের ভূখ-ের প্রায় ১০ ভাগের এক ভাগ সমান জেগে উঠছে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সম্ভাবনাময় আরেক নতুন বাংলাদেশ। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ, ভোলা হয়ে খুলনার সুন্দরবন পর্যন্ত বিশাল উপকূলীয় অঞ্চলের কাছে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে উত্তাল বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। জেগে উঠছে দিগন্ত বিস্তৃত নতুন নতুন চর। খনিজসম্পদ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব দীপাঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর। তারা বলছেন, দীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যাকাতের নামে আলাদা নিম্নমানের কাপড় তৈরী ও সরবরাহ বন্ধ এবং লোকদেখানো যাকাত দেয়ার প্রবণতা প্রতিহত করতে হবে। যাকাতের কাপড় নিতে গত ৩৫ বছরে নিহত ২৫৪ জন। পবিত্র যাকাতের কাপড়ের নামে সিন্ডিকেট এবং নাম কামানো পবিত্র যাকাতকে অবমাননা করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলাম উনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-২)
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবার্তা ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স! মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কথিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা রোযার উপর গবেষনা করে রোযার মাহাত্ম স্বীকার করে তথাকথিত নোবেল পুরষ্কার পায়! কিন্তু মুসলমান দ্বীন ইসলাম উনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় লজ্জাকরভাবে ব্যার্থ হয়। কথিত বিজ্ঞান ও কথিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে রোযার উপকারিতা অপরিসীম। (পর্ব-১)
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।
০৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজারের অর্ধেকেরও বেশী দখল করতে পারে কিন্তু তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও বোবা বধির অন্ধ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই সোনার বাংলার সব সোনার সমুজ্জল সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
০৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)