ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (১৫)
, ২২শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আর “ঐ যে কাফিরটা দেখেছেন, জাহান্নামের আগুণে দাউ দাউ করে জ্বলছে। সেতো অনেক সম্পদশালী ছিল, তাকে অনেক টাকা-পয়সা দিয়েছিলাম, অঢেল সম্পদ দেয়া হয়েছিল। সেই সম্পদ থাকার কারণে সে ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, কিছু নেককাজ করেছে। যেমন- কিছু রাস্তাঘাট তৈরী করেছিল, পানির ব্যবস্থা করেছিল, গরীব-মিসকীনকে সাহায্য করেছিল। তবে যেহেতু সে কাট্টা কাফির, চিরজাহান্নামী, আমার এটা পছন্দ নয় যে, তাকে আমি জান্নাতে দেই। তার জন্য আমি জান্নাতের নিয়ামত হারাম করে দিয়েছি। এখন তার যে পাওনা রয়েছে, তারতো বদলা দিতে হবে। ” যেটা আমার নিয়ম রয়েছে, উছূল রয়েছে-
فَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَّرَهُ. وَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَّرَهُ
“যে একবিন্দু নেকী করবে, তার বদলা তাকে দিতেই হবে, পাপ করলে তার শাস্তি তাকে ভোগ করতেই হবে। ”
এখন তার যে কিছু পাওনা রয়েছে, সেটা তাকে দিয়ে দিতে হবে। তাই তার মৃত্যুর সময় তার আশা পুরা করে তার যত পাওনা ছিল, সব আমি একসাথে দিয়ে দিলাম। আর যেহেতু সে আমার অপছন্দনীয়, সে আমার শত্রু ছিল, সেজন্য মৃত্যুর সাথে সাথে তাকে আমি জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। নাঊযুবিল্লাহ!
এখন ফিকির এবং চিন্তার বিষয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদেরকে অঢেল সম্পদ দিয়েছেন, ছুরতান (প্রকাশ্যে) অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছেন, তার একমাত্র কারণ হচ্ছে- তারা মারা গেলে জাহান্নামে যাবে, যমীনই তাদের বেহেশত। আর মুসলমানরা মারা গেলে জান্নাতে যাবে, যমীনই তাদের জন্য কারাগার। আর যেহেতু মানুষ মাত্র কিছু ত্রুটি হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি চান না যে, মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দারা যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান এনেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তারা পরকালে জাহান্নামে যাক। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি চান, তারা দুনিয়াতে শাস্তি বা কষ্ট ভোগ করে সরাসরি জান্নাতে চলে যাক। সুবহানাল্লাহ!
আর যারা কাফির রয়েছে, তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি চান তারা যমীনের মধ্যে যা করবে তার বদলা নিয়ে, সুখ-শান্তি কিছু পেয়ে, সরাসরি তারা জাহান্নামে চলে যাক, সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান। সেটাই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ঐ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। হাক্বীক্বত কোন মানুষ যারা দ্বীনদার-পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা হবে, দুনিয়াবী জিন্দেগীতে তার কিছু কষ্ট হতে পারে। সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দী, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্যই সেটা তার সহায়ক। ওটা তার জন্য বিপদের কারণ নয়, আপদের কারণ নয়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন-
عَسٰى أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَّهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسٰى أَنْ تُحِبُّوا شَيْئًا وَّهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন- “সম্ভবতঃ তোমরা যেটা খারাপ মনে করে থাক, সেটাই ভাল। আর তোমরা যেটা ভাল মনে করে থাক, হয়তো সেটাই খারাপ। তোমরা জান না, কোনটা ভাল এবং কোনটা মন্দ। অর্থাৎ তোমাদের সেটা জানা নেই, কোনটা ভাল এবং কোনটা মন্দ। কাজেই আমি যেটা করে থাকি, সেটাই তোমাদের জন্য উত্তম এবং শ্রেষ্ঠ। ”
অতএব, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। সে অনুযায়ীই চলতে হবে। মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনদেরকে যে অবস্থায় রেখেছেন, সে অবস্থায় থেকে শোকর আদায় করতে হবে। আর তাদের মূল দায়িত্ব হবে মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হওয়ার জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নুরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হওয়ার জন্য কোশেশ করে যাওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












