ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (১৬)
, ২৩ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কারণ দুনিয়াবী যিন্দিগীতো থাকবে না। যেটা বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলে দিয়েছেন-
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ.حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন- “আধিক্যের আগ্রহ মানুষকে মোহগ্রস্ত করে দিয়েছে। ”
حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
“আর এটা কবর যিয়ারত করা পর্যন্ত, অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত। ” কেননা যখন মানুষের মৃত্যু এসে যায়, তখন সে দুনিয়ার মোহ থেকে ছুটে যায়। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
اَلنَّاسُ نِيَامٌ اِذَا مَاتُوْا اِنْتَبَاهُوْا
“অর্থাৎ মানুষতো ঘুমন্ত রয়েছে, মানুষ ঘুমিয়ে রয়েছে জমিনের মধ্যে। যখন তার মৃত্যু হবে তখন সে সজাগ হবে” মূলত তখন তার যে হাক্বীক্বী উপলব্ধরি ক্ষমতা রয়েছে, শক্তি রয়েছে তখন সেই হাক্বীক্বী উপলব্ধি শক্তি দ্বারা অনুধাবন করতে পারবে মৃত্যুর পর, তার পূর্বে নয়। কাজেই মানুষ ঘুমন্ত রয়েছে, মৃত্যু তাকে সজাগ করে দিবে। তারপর সে হাক্বীক্বত বুঝতে পারবে।
কাজেই সেটাই বলা হয়েছে-
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ.حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
অর্থাৎ মানুষকে দুনিয়ার মোহ, মোহগ্রস্ত করে দিয়েছে। আধিক্যের আগ্রহ মানুষকে মোহগ্রস্ত করে দিয়েছে, মানুষ হুশহারা হয়ে গিয়েছে। তবে কবর যিয়ারত করলে, অর্থাৎ মৃত্যু হলে কবরস্থানে যখন সে গিয়ে পৌঁছবে তখন সেই হাক্বীক্বত সে বুঝতে পারবে। তখনই তার হাক্বীক্বী ফায়সালা হয়ে যাবে। এর পূর্বে তার হাক্বীক্বী ফায়সালা হবে না।
কারণ যতই দিন যাবে, ততই সে দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হতে থাকবে। যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে অন্যান্য পবিত্র আয়াত শরীফ এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَوْ كَانَ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لاَبْتَغَى ثَالِثًا ، وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ
“আদম সন্তানের যদি দুই পাহাড় পরিমাণ র্স্বণ থাকে, মাল থাকে, সে তৃতীয় আর একটা উপত্যকা হাছিল করার জন্য কোশেশ করতে থাকে, কি করে আর একটা উপত্যকা হাছিল করা যেতে পারে। আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া কখনই ভরবে না”
এখানে মাটি অর্থ মৃত্যু। অর্থাৎ কবরস্থান ব্যতীত আদম সন্তানের পেট কেউ ভরাতে পারবে না। আদম সন্তানের মধ্যে যে খাছলত রয়েছে, মৃত্যু ব্যতীত সেই খাছলত তার দূর হবে না। অর্থাৎ সে চাইতেই থাকবে, সে চাইতেই থাকবে একটার পর একটা। মৃত্যু পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে।
মৃত্যু যখন এসে যাবে, তার সমস্ত আশা-আকাঙ্খা, তার চাহিদা সব পুরা হয়ে যাবে কবরস্থানে পৌঁছার সাথে সাথেই।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (৭)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র শবে বরাত উনার রোযা নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১১)
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১১)
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র ঈমান বা আক্বায়িদ সম্পর্কিত পবিত্র কালিমা শরীফসমূহ
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই শবে বরাত প্রমাণিত (৪)
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)